ব্রাম্ভণ হয়েও মসজিদে গিয়ে আল্লাহ’কে স্মরণ মিমি’র, সেকুলার ডগ বলে ধর্ম বদলের হুমকি নেটিজেনদের

আবারো ঘটল ধর্ম নিয়ে টানাপোড়েনের পুনরুত্থান। মাজারে যাওয়া নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী। যেমন কিছুদিন আগে এই সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন রাজ চক্রবর্তীও। তবে এবারে আবার নতুন করে কটাক্ষ হলেন মিমি চক্রবর্তী মাজারে যাওয়া প্রসঙ্গ নিয়ে।
অভিনয় সহ কর্মসূত্রে মিমি কলকাতাতেই থাকেন। কিন্তু সুযোগ পেলেই তিনি ছুটি নিয়ে চলে যায় নিজের দেশের বাড়িতে। সময় কাটান নিজের পরিবারের ও আত্মীয়-স্বজনদের সাথে। সম্প্রতি নতুন ছবি মিনি মুক্তি পাওয়ার পর তিনি খানিকটা ছুটি পেয়ে এবারও চলে গিয়েছিলেন নিজের দেশের বাড়িতে। সেখানেই তিনি উপস্থিত হন হলদিবাড়ি তে। যেখানে তিনি নিজের হুজুর সাহেবের মাজারে গায়ে সাদা চাদর জড়ান। গোলাপি সালোয়ার কামিজের ওপর সাদা চাদর মিলিয়ে এক সুন্দর লুক দেখা যায় তার। সেই ছবি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন। সাথে দেখা যায় মিমির বোনঝিকেও।
কিন্তু এই ছবি আপলোড এরপরই তার কমেন্ট বক্স জুড়ে শুরু হয় কটাক্ষ সঙ্গে সমালোচনা। মিমির জাত নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। কট্টরপন্থীদের অভিমতে ভরে যায় মিমির সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট। কেউ কেউ আবার বলে বসেন তাঁকে সেক্যুলার ডগ। অনেকেই বলতে শুরু করেন ব্রাহ্মণ হয়ে মাজারে কি করে যায় একজন ব্রাহ্মণ মহিলা। কেউ কেউ আবার ধর্ম পরিবর্তন করে নেওয়ার উপদেশও দিয়েছেন মিমি চক্রবর্ত্তীকে।
বিশেষভাবে উল্লেখিত, ঠিক একইভাবে রাজ চক্রবর্তীকে ঈদের সময় কটাক্ষ করা হয় তার টুপি পড়ে মাজারে যাওয়া নিয়ে। ঠিক যেভাবে রাজ চক্রবর্তীর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে কটুক্তিতে ভরে গিয়েছিল কট্টরপন্থীদের সমালোচনায় । ঠিক একইভাবে মিমির সোশ্যাল মিডিয়ায় মাজারে যাওয়ার পোস্টের কমেন্টে ভরে গেল সমালোচনায়।
যদিও এসব সমালোচনা সহ কটাক্ষ মিমির গায়ে লাগেনি একদমই. তিনি খুশি রয়েছে নিজের আত্মীয় পরিজন , বন্ধু পরিষদের সাথে ছুটি কাটাচ্ছেন নিজের প্রিয় বোনঝির সাথে।উল্লেখ্য গত ৬ ই মে মুক্তি পেয়েছে মাসি বোনঝির মিষ্টি রসায়ন নিয়ে তৈরী মুভি “মিমি” । যা দেখে ইতিমধ্যেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া আসছে দর্শকদের মধ্য থেকে।