রূপসার প্রেম কাহিনী হার মানাবে সিনেমাকেও, নিজে মুখেই জানালেন অজানা সেই গল্প

‘গানের মাস্টারের থেকে মেয়েকে সাবধানে রাখিস’। ৯০-এর দশকে এভাবেই মা-বাবাকে সাবধান করতেন প্রতিবেশীরা।

‘গানের মাস্টারের থেকে মেয়েকে সাবধানে রাখিস’। ৯০-এর দশকে এভাবেই মা-বাবাকে সাবধান করতেন প্রতিবেশীরা। আসলে ‘গানের মাস্টার’রা নাকি একটু রোম্যান্টিক স্বভাবের হন। অল্প বয়সে মেয়ে প্রেমে পড়ে যেতে পারে। তখন কেলেঙ্কারি! তাই একটু সাবধান করা আর কি।

এখন সময় পাল্টেছে। কিন্তু ‘গানের মাস্টার আর ছাত্রীর প্রেম কাহিনী’র গল্পটা বদলায়নি। রূপসা চক্রবর্তীকে কে তো সবাই চেনেন। টেলি জগতের জনপ্রিয় মুখ। প্রযোজক স্নেহাশিস চক্রবর্তীর ঘরণী। প্রেম করে বিয়ে। তাঁদের প্রেমটাও শুরু হয়েছিল এভাবেই। স্নেহাশিসের কাছে গান শিখতে যেতেন রূপসা। সেখান থেকেই প্রেম। তারপর বিয়ে।

ছোট থেকেই গানের প্রতি প্রচণ্ড ঝোঁক ছিল রূপসার। সেই সূত্রেই স্নেহাশিসের সঙ্গে আলাপ। রূপসার নিজের কথায়, স্নেহাশিসের কাছে ৬ থেকে ৭ মাস গানের তালিম নিয়েছি। গান শিখতে শিখতেই প্রেমে পড়েন। তারপর আর কি! ছুটতে থাকে প্রেমের এক্কা গাড়ি। দুজনে সাত পাকে বাঁধাও পড়েন।

Tollywood,Rupsha Chakraborty,Jagaddhatri Serial,Snehasish Chakraborty,Love Story

রূপসা আদ্যোপান্ত গৃহবধূ। সংসার সামলাতেন একা হাতে। কিন্তু স্বামী স্নেহাশিসের জোরাজুরিতেই অভিনয়ে নামা। রূপসার বাবা এবং জ্যেঠুও অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত। তাই চ্যালেঞ্জটা নিতে দেরি করেননি ‘কৌশিকী’। হ্যাঁ, জগদ্ধাত্রী সিরিয়ালে এই চরিত্রে অভিনয় করেই তো রূপসার খ্যাতি।

‘জড়োয়ার ঝুমকো’ ‘খোকাবাবু’, ‘রাখিবন্ধন’, ‘বেনে বউ’, ‘দীপ জ্বেলে যাই’ ইত্যাদি ধারাবাহিকে পরপর কাজ করেছেন। দর্শকমহলে প্রশংসিত হয় তাঁর অভিনয়। পরিচালক মন্দার বন্দোপাধ্যায়ের পরিচালিত ছবি ‘অগোছালো’তেও কাজ করেন রূপসা। ২০১৯ এ ‘কলের বউ’- সিরিয়ালের জন্য পান সেরা সহ অভিনেত্রীর পুরস্কার।

তবে স্বামীর স্নেহাশিসের ব্লুজ প্রোডাকসন হাউসের সিরিয়ালেই তিনি বেশি কাজ করেন। অন্য প্রোডাকশন হাউজে তাঁকে খুব একটা দেখা যায় না। স্বামী স্নেহাশিসকে নিজের অভিনয়ের গুরু মানেন রূপসা। ব্লুজ প্রোডাকসন হাউসের অন্যান্য অভিনেতা অভিনেত্রীরাও রূপসাকে কিছুটা সমীহ করে চলেন। যত যাই হোক, বসের স্ত্রী বলে কথা…




Leave a Reply

Back to top button