“রণবীর থেকে আলিয়া সবাই চেনে এক নামে!” নিজের বড়াই করতে গিয়ে নেটিজেনদের ট্রোলের মুখে টোটা

অনীশ দে, কলকাতা: সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই- এ মুক্তি পেয়েছে দার্জিলিং জমজমাট। সৃজিত মুখার্জিরb (Srijit Mukherji) নির্দেশনায় টোটা রায়চৌধুরীকে (Tota Roy Chowdhury) ফেলুদা রূপে আগেও দেখেছে দর্শক। তবে এবারের ফেলুদাকে নিয়ে জড়িয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক। কিছু দর্শকদের এইবারের ফেলুদাকে একেবারেই ভালো লাগেনি। মানাচ্ছেই না, আড়ষ্ট, কেতাবাজ, চিবিয়ে কথা বলে, এই ধরনের নানা সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছেন টোটা। এই সমস্ত সমালোচনার উত্তর এবার দিলেন এই বাঙালি অভিনেতা। ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন তিনি।
পোস্টের শুরুতেই তিনি সমস্ত দর্শককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। অবশ্য তার পরে তিনি (Tota Roy Chowdhury) এও জানান যে বিগত কয়েকদিন তাকে ঘৃণার বাক্যবাণে নিবদ্ধ করা হয়েছে। টোটা বলেন, তিনি যে কোনও ধরনের সমালোচনাকে আমন্ত্রণ জানান যদি তা গঠনমূলক হয়। পরিচালক হিসেবে সম্প্রতি সময়ে সৃজিত মুখপাধ্যায়ের কাজের মান যে বহুগুণ নেমেছে তা তার ভক্তরাই বলেন। তবে এই বিষয়ে টোটা জানান, যদি পরিচালকের কাজের মান এতটাই নিম্ন হয়ে থাকে তবে সে বলিউডে কাজ পায় কীভাবে? এছাড়াও করন জোহর (Karan Johar) হোক কিংবা আলিয়া (Alia Bhatt) বা রণবীর (Ranveer Singh) সবাই একডাকে চেনে সৃজিতকে।
নতুন ফেলুদা হিসেবে টোটা রায়চৌধুরীকে দেখার পর একাধিকবার তার তুলনা করা হয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (Soumitra Chatterjee) এবং সব্যসাচী চক্রবর্তীর (Sabyasachi Chakroborty) সাথে। এই বিষয়ে টোটা জানান, তিনি কখনও চাইলেও এই অভিনেতাদের মান ছুঁতে পারবেন না। এই দুই বর্ষীয়ান অভিনেতার সাথে নিজের তুলনায় যেতে একেবারে নারাজ টোটা। এছাড়াও ট্রোলারদের বিরুদ্ধে সরব হয়ে তিনি লেখেন, বারবার আমার সাথে এই মহান অভিনেতাদের তুলনা করে এবং ট্রোল করে অনেকে পৈশাচিক আনন্দ পাচ্ছেন, অবশ্য সেটাও একপ্রকার বিনোদন। টোটা (Tota Roy Chowdhury) এও বলেন, তিনি সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) ফেলুদাকে অনুসরণ করার চেষ্টা করেছেন সবসময়।
শেষমেশ নতুন ফেলুদা লেখেন, ‘ আমাদের এই কাজকে অবশ্য ৮০ শতাংশ মানুষই পছন্দ করেছেন। এই গোটা পোস্টের শেষে নিজেকে একটা ছোট্ট মিষ্টির দোকানের সাথে তুলনা করে টোটা লেখেন, “এক চিলতে ঘর, টিমটিম করে আলো জ্বলছে, শো কেসে মোটে ৮-১০ টা আইটেম রাখা। বড় রাস্তার মোড়ে ঝকঝকে, বড়, ব্র্যান্ডেড দোকান আছে। বিপুল মিষ্টির সম্ভার। তবুও পাড়ার মুষ্টিমেয় কিছু বাসিন্দা আমার এই ক্ষুদ্র দোকানে আসেন, জলখাবার সারতে”।