“ইন্ডাস্ট্রিতে সব নিজের ঢাক নিজেই পেটায়”, নাম না করেই দেব-জিৎকে এক হাত নিলেন ত্রমিলা

বাংলা টেলিভিশন এর চরিত্র গুলির মধ্যে নায়ক-নায়িকার পাশাপাশি সবথেকে বড় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যেকোনো ধরনের ভিলেন চরিত্র। অর্থাৎ নেগেটিভ সেই চরিত্রটি যতটা জোড়ালো হবে ততই সেই ধারাবাহিকের নায়িকা সহানুভূতি পাবেন। এছাড়াও সিরিয়ালটি ক্রমশই টিআরপি লিস্ট এর প্রথমে চলে আসে অনেক সময় ভিলেন চরিত্রের তুখর অভিনয়ের জন্য। যে ধারাবাহিকের নায়িকা যত বেশি ভয়ঙ্কর সেই ধারাবাহিক যে হিট হবেই তার নিশ্চয়তা রয়েছে বাংলা সিরিয়ালের ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে বাংলা সিরিয়াল হিট করানোর জন্য অভিনেত্রী ত্রমিলা ভট্টাচার্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি তার করা প্রজেক্ট গুলোতে বেশ দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য সীমারেখা ধারাবাহিকের হাত ধরেই তার অভিনয় জগতে প্রথম পা দেওয়া। একটা সময় ছিল যখন তিনি ভালো-খারাপ সব চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কিন্তু এ মুহূর্তে তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করছেন খল নায়িকা হিসেবে। পটল কুমার গানওয়ালা, ময়ূরাক্ষী সহ বিভিন্ন ধারাবাহিকে তিনি কাজ করে গেছেন বহু বছর ধরে। এবং বলাই বাহুল্য যতগুলো সিরিয়ালে তিনি কাজ করেছেন সবকটি টিআরপি লিস্টের প্রথম দিকে জায়গা করে নিয়েছিল নিজেদের। উল্লেখ্য বেশ কয়েক বছরের অভিনয় জগতে থাকার ফলে তার একটি অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তিনি জানান যে আগেকার দিনে ডাইরেক্টরদের কথাই শেষ কথা হতো তবে এখন সেই পদ্ধতি উলটে গিয়েছে। এখন চ্যানেলের কথাই শেষ কথা হিসেবে গণ্য করা হয় টলিউডে। ও সেই অনুযায়ী কাজ করতে হয়।
এছাড়াও নায়িকা ত্রমিলা বেশ সরাসরিভাবে টলিউডের লবিবাজি নিয়ে নিজের মুখ খুলেছেন সম্প্রতি। তিনি জানান যে টলিউডের লবিবাজি যতক্ষন না বন্ধ হচ্ছে ততক্ষণ কেউই ঠিকঠাক কাজ পাবেন না ইন্ডাস্ট্রিতে। এছাড়াও এখন ট্রেন্ড হয়ে গেছে অনস্ক্রীন খলনায়িকা এবং মূল নায়িকাকে অফস্ক্রিনে একসাথে হাসি খুশি দেখার। এক্ষেত্রে তিনি বলেছেন যে এটিতে অডিয়েন্সের উপর এক ইলুশান ব্রেক করা হয়। এছাড়াও তিনি ডিপ্রেশন নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি জানান যে ডিপ্রেশন হলো বড়লোকদের রোগ। খেটে খাওয়া মানুষদের ডিপ্রেশন হয় না তারা ব্যস্ত থাকে নিজের কাজ নিয়ে। বেশ সরাসরিভাবে সব বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন এই টলি অভিনেত্রী।