পাকিস্তানের ওপর ক্ষেপে লাল চীন, বন্ধ হয়ে যেতে পারে এই দুই দেশের স্বপ্নের প্রকল্প সিপিইসি
চীন পাকিস্তানের গলায় গলায় ভাবের কথা সবাই জানে। তবে সেই পরিস্থিতির বদল ঘটতে চলেছে। চীনা ইঞ্জিনিয়ারদের ওপর ঘটা হামলায় রেগে লাল চীন।

শুভঙ্কর, নিউ দিল্লী: পাকিস্তান এবং চীনের মধ্যেকার বন্ধুত্বর কথা কারোর অজানা নয়। চীন পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে একটা উন্নয়নমূলক প্রকল্প করছে সে কথা সবার জানা।সেই প্রক্লপের নাম চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর বা সিপিইসি। তবে এবার সে কাজ বন্ধ হতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ কয়েকদিন আগে পাকিস্তানে চিনা ইঞ্জিনিয়ারদের একটি গাড়িতে হামলা চালানোর ঘটনা ঘটেছে।পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের গোয়াদরে চিনা ইঞ্জিনিয়াররা যখন গোয়াদার বিমানবন্দর থেকে বন্দরের দিকে যাচ্ছিল তখনই এই হামলা চালানো হয়। তবে হামলা চালানো হলেও এই ঘটনায় কেউ হতাহত খবর পাওয়া যায়নি।
এই হামলার কথা স্বীকার করে নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে বিএলএ।এই নিয়ে পাকিস্তানকে এখন অনেক মূল্য দিতে হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্পে এই হামলা বাধা হতে পারে মনে করা হচ্ছে। শুধু প্রকল্প থেমে থাকবে তাই নয়, পাকিস্তান ও চীনের সম্পর্কেও চির ধরবে। তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক তিক্ততায় পরিণত হওয়ারও আশঙ্কা থাকছে। কূটনীতিদের মতে, চীনা নাগরিকদের ওপর পাকিস্তানে হামলার ঘটনা বেড়েছে। আর এইভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে বন্ধুত্বের সম্পর্ক খুব তাড়াতাড়ি তেতো হয়ে যাবে। শুধু বন্ধুত্ব বা প্রকল্প নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পাকিস্তানে বিদেশি বিনিয়োগের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা।শুধু চীনের সঙ্গে নয় অন্যান্য দেশের সঙ্গেও সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে। এছাড়াও নিরাপত্তার স্বার্থে অনেক দেশই পাকিস্তানের সঙ্গে বিনিয়োগ করতে চাইবে না। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানের অর্থনীতির ওপর একটা প্রভাব পড়বে।
চিনা ইঞ্জিনিয়ারদের ওপর এই হামলার ঘটনার জন্য পাকিস্তানের প্রাক্তন পরিকল্পনা উন্নয়ন ও সংস্কার মন্ত্রী আহসান ইকবাল বলেন, “ চীনা বিনিয়োগের ওপর আক্রমণ পাকিস্তানের সিপিইসির জন্য একটা বড় ক্ষতি। ওরা এখন এমন একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে যা বিনিয়োগের জন্য মোটেও ভালো নয়। এই ধরনের হামলা বিদেশি বিনিয়োগের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। এই ঘটনা তীব্র নিন্দা জানাই। এ ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর না হয় সেই সতর্ক থাকতে হবে।‘ মূলত এই প্রকল্প করা হচ্ছে পাকিস্তানের গোয়াদার বন্দরকে জিনজিয়াম প্রদেশের সাথে যুক্ত করার জন্য। একটি সড়ক ও রেলপথ তৈরি করা হচ্ছে। তাই পাকিস্তান ও চীন মিলে এই প্রকল্পে হাত দেয়। কিন্তু এই হামলার ঘটনার পর কতটা কাজ হবে তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন ঝুলে গেছে।