Bangladesh : পিতার শ্রাদ্ধ পালন করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু সন্তানদের, ঘটনায় ভাষা হারিয়েছেন মা

দিন দশেক আগেই মৃত্যু হয়েছিল বাবার। শোকের মেঘে আচ্ছন্ন হয়েছিল পরিবার। এমতাবস্থায় ফের একবার নিয়তির নির্মম আঘাতের শিকার হতে হল এই বাংলাদেশি ( Bangladesh ) পরিবারকে। বাবার মৃত্যুর দশ দিনের মাথায় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ৫ সন্তানের। নিজের হাতে তাঁদের শেষকৃত্য সারলেন সদ্যবিধবা মা মৃণালিনী শীল। তবে বাংলাদেশের ( Bangladesh ) কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার এই ঘটনায় খুনে অভিযোগ তুলেছে পরিবার।

উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারি চকরিয়া হাসিনাপাড়া ( Bangladesh ) এলাকার বাসিন্দা সুরেশ চন্দ্রের মৃত্যু হয়। তাঁরই শ্রাদ্ধের কাজে ব্যস্ত ছিলেন তাঁর ছেলেমেয়েরা। ৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে চট্টগ্রাম কক্সবাজার হাইওয়ের মালুমঘাট এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সকলে। পারলৌকিক ক্রিয়ানুষ্ঠানের আচার হিসাবে নির্জন স্থানে ‘দন্ডি’ দিতে যাচ্ছিলেন ৯ ভাই-বোন।

এমতাবস্থায় আচমকা একটি ট্রাক এসে সজোরে ধাক্কা মারে তাঁদের। ঘটনাস্থলেই ( Bangladesh ) মৃত্যু হয় ৫ ভাইয়ের। তাঁদের নাম অনুপম শীল, দীপক শীল, চম্পক শীল, নিরুপম শীল ও স্মরণ শীল। কোনও রকমে প্রাণে বাঁচেন আরও দুই ভাই ও বোন। হীরা শীল নামের এক বোনের পা বাদ দিতে হয়। আরও দুই ভাই প্লাবন ও রক্তিম আপাতত হাসপাতালে পাঞ্জা লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে।

Bangladeshসুরেশবাবুর আরেক মেয়ে মুন্নি শীল রক্ষা পেয়েছে আশ্চর্য ভাবে। তাঁর দাবি, ‘এটা দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। চালক ইচ্ছা করে চাপা দিয়েছে।’ ঘটনার চারদিন পর পুলিশের হাতে পাকড়াও হয় সেই ঘাতক চালক। এই প্রসঙ্গে মুন্নি বলেন, ‘গত ১০ বছর ধরে আমাদের বাড়িতে দুর্গাপুজো হওয়ায় সেই নিয়ে অনেকেরই সমস্যা ছিল। চোখ রাঙাতেন অনেকই। দিন কয়েক আগেই আমার এক ভাই একটি ছোট মন্দির করার জন্য প্রায় ৪ হাজার ইট এবং ১৫০ ফুট কঙ্কর এনেছিলেন। এর পরেই ২৯ জানুয়ারি ৪০-৫০ জন দুষ্কৃতী আমাদের ( Bangladesh ) বাড়িতে হামলা করে আমার বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সকলে বাইরের লোক, ফলত চিনতে পারা যায়নি কাউকেই। মন্দির তৈরি না করার জন্য হুমকি দেয় সেই দুষ্কৃতিগুলো। এরপরই ৩০ জানুয়ারি বাবা হার্ট অ্যাটাকে মারা যান।’

আরও পড়ুন…..Happy Valentines Day 2022 : প্রেমিক আপনাকে দেখবে আখি ভরে, দেখে নিন প্রেমদিবসের মেকআপ টিপস

মুন্নি ও তাঁর মা মৃণালিনীর দাবি, এই হুমকির জেরেই প্রাণ খোয়াতে হল ৫ ভাইকে। অন্য ধর্মের মৌলবাদীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছেন তারা। এদিন পাঁচ ভাইয়ের শ্রাদ্ধ-পরবর্তী মৎস্যমুখী অনুষ্ঠান পালন হয়। বৃদ্ধা মৃণালিনী একসঙ্গে স্বামীহারা ও পুত্রহারা হয়ে রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন। খাবারের টেবিলে বসে কান্নায় ভেঙে পড়ে মৃণালিনী ( Bangladesh ) শীলের পাঁচ পুত্রবধূ। খাবার মুখে তুলতে পারছিলেন না তাঁরা। পিতাশোকে ভাষা হারিয়ে মৃণালিনী শীলের নাতি-নাতনিরা।




Leave a Reply

Back to top button