আর ১০ বছর, সুস্থ জীবন ফিরে পাবেন ক্যানসার রোগী, আশার আলো দেখাচ্ছেন দুই গবেষক
ক্যানসার, নেই কোন অ্যানসার। এই ধারণা বদলাতে চলেছে।

ক্যানসার, নেই কোন অ্যানসার। মানে কর্কট রোগের কোন চিকিৎসা নেই। এক সময় এমনই ধারনা ছিল সাধারণ মানুষের। বর্তমানে সময় বদলেছে। প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসা ব্যবস্থায় এসেছে বিপ্লব। কিন্তু তারপরেও ছবিটা খুব একটা বদলায়নি। এখনও ক্যানসারের নাম শুনলে মুখ শুকিয়ে যায় রোগীর পরিবারের। অবধারিত মৃত্যু ছাড়া আর কিছুই মাথায় আসে না।
আগামী দশ বছরের মধ্যে হয়ত ছবিটা পাল্টে যাবে। ক্যানসারের নিয়ে এমনই আশার কথা শোনালেন দুই বিদেশি গবেষক লুইস কর্দেরো এবং ডেভিড উড। পাঁচ বছর ধরে ক্যানসার নিয়ে গবেষণা করছেন তাঁরা। এই নিয়ে একটি বইও লিখেছেন। নাম ‘দ্য ডেথ অফ ডেথ’। গত মাসেই এই বইয়ের আন্তর্জাতিক সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। সেখানেই ক্যানসার নিয়ে বেশ কিছু আশার কথা শুনিয়েছেন কর্দেরো এবং উড।
বর্তমানে ক্যানসারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপিই ভরসা। আক্রান্ত স্থানের কোষগুলিকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। কিছু ওষুধপত্রও আছে। তবে স্থায়ী সমাধান নেই। কর্দেরো এবং উডের গবেষণা সফল হলে ক্যানসারকে বাগে আনা সম্ভব হবে বলেই মনে করছেন তাঁরা। তাছাড়া চিকিৎসা খরচও এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যাবে। চিকিৎসকরা বলেন, প্রথমদিকে ক্যানসার ধরা পড়লে সারিয়ে তোলা যায়। কিন্তু রোগ তৃতীয় বা চতুর্থ স্টেজে পৌঁছে গেলে নিরাময় সম্ভব নয়। সেদিক থেকে কর্দেরো এবং উডের দাবি তাতৎপর্যপূর্ণ।
ক্যানসার চিকিৎসাও ব্যয়বহুল। খরচ অনেক সময়েই রোগীর সাধ্যের বাইরে চলে যায়। অনেকে বাধ্য হলে হাল ছেড়ে দেন। খরচ যোগাতে ভিটে মাটি বিক্রির উদাহরণও অনেক আছে। কর্দেরো এবং উড বলছেন, এক দশকের মধ্যেই চিকিৎসা খরচ কমবে। স্মার্টফোনের দামেই পাওয়া যাবে নতুন অঙ্গ। শুধু তাই নয়, ক্যানসারের সম্পূর্ণ নিরাময় করা যাবে।
শুধু ক্যানসার নয়, যৌবন ধরে রাখা নিয়েও একাধিক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন কর্দেরো। তিনি বলেছেন, ‘এখন আমি প্রৌঢ়। কিন্তু কোন একদিন আবার যুবক হয়ে উঠতে পারি’। এই প্রসঙ্গে আমেরিকার জৈব প্রযুক্তি সংস্থার কর্ণধার এলিজাবেথের উদাহরণ দিয়েছেন তিনি। তাঁর বয়স ৫২। কিন্তু বিশেষ চিকিৎসায় তিনি নিজের শরীরকে ২৫ বছর বয়সে ধরে রাখতে পেরেছেন। কর্দেরো বলেছেন, খুব শীগগিরই সাধারণ মানুষও এই চিকিৎসা পদ্ধতি কাজে লাগানোর সুযোগ পাবেন।