রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেই চোখ রাঙানি চিনের, জোরকদমে এগোচ্ছে নৌ-বাহিনীর মহড়া

বিশ্ব জুড়ে বেজে উঠেছে যুদ্ধের রণডঙ্কা। গত বৃহস্পতিবার থেকে লাগাতর আক্রমণের মুখে ইউক্রেন। রাশিয়ার বোমা বর্ষণের জেরে একেবারে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গোটা দেশ। রাশিয়ার আগ্রাসী মনোভাবের জেরে ভয়ে শিউরে আছে ইউক্রেন ছাড়াও বিশ্বের অধিকাংশ দেশ। চিন্তা হয় তো যেকোনও মুহূর্তে রুশ রাক্ষসের আগ্রাসনের শিকার হতে হবে যে কাউকে। এমতাবস্থায়, রাশিয়ার পাশাপাশি চিন্তা বাড়াচ্ছে ( China ) চিনও। এমনিতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষেই ইউক্রেন। তারই মধ্যে বিশ্বকে আবার নতুন হুমকি দিচ্ছে চিন।
এদিন দক্ষিণ চিন ( China ) সাগরে ভিয়েতনাম উপকূলের কাছে বিতর্কিত জায়গায় দেখা গেল চিনা নৌ-বাহিনীর মহড়া। যার জেরে ইতিমধ্যে এক নতুন অস্বস্তিতে পড়েছে বিশ্বের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক। দক্ষিণ চিন সাগরে নতু উত্তেজনা বাঁধিয়েছে চিনা ( China ) সেনা বা চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। বিতর্কিত ওই জলপথে বাণিজ্যিক জাহাজে পরিবর্তে চিনা নৌ-বাহিনীর মহড়া চিন্তা বাড়াচ্ছে বেশ। মহড়া যদি জোরকদমে শুরু হয় তাহলে ওই অঞ্চলে বাণিজ্যিক জাহাজ যে একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যাবে এই নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই। চিনের পক্ষ থেকে যদিও এটিকে রুটিন মহড়া বলা হয়েছে। আগামী ১৫ই মার্চ থেকে সেখানে মহড়া শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।
চিনা নৌ-বাহিনীর এই মহড়া স্থল ভিয়েতনাম উপকূলের হুয়ে শহর থেকে মাত্র দু’শো নটিক্যাল মাইল দূরে। আর যা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বিশ্ব রাজনীতিতে। বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ চলাকালীন চিন ( China ) ও ভিয়েতনামের ওই এলাকা নিয়ে কোনও রকম উত্তেজনা তৈরি হলে বিশ্ব রাজনীতির ক্ষেত্রে সেই ফলাফল ডেকে আনতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধকে। এমনিতেও দক্ষিণ চিন সাগরে জলসীমা সংক্রান্ত মতবিরোধ দীর্ঘদিনের। ১৯৮৮ সালের চিন-ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর থেকেই চিন ও ভিয়েতনামের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে পারদ চড়েছে চিরকাল। সেই যুদ্ধের সময় ভিয়েতনামের হাত থেকে স্প্র্যাটলিস আর্কিপেলাগোর অনেকগুলি দ্বীপ ছিনিয়ে নেয় চিন। সেই যুদ্ধে ভিয়েতনামের নৌ-বাহিনীর অনেক ক্ষতি হলেও, এখন সেই নৌ-বাহিনী আগের থেকে বেশি শক্তিশালী।
আরও পড়ুন..বিশ্ব বাজারে রাশিয়ার আক্রমণ, নির্বাচন মিটতেই জ্বালানির জ্বালায় জ্বলতে পারে সাধারণ
প্রসঙ্গত, বিগত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সরগরম বিশ্ব রাজনীতি। রাশিয়ার আক্রমণে বিধ্বস্ত ইউক্রেন। ক্রমাগত বোমা বর্ষণের জেরে ওই দেশ পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ বিশ্ব রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলছে যথেষ্ট। গুলি, বোমার বর্ষণ নরক করে তুলেছে সেখানকার মানুষদের জীবন। আর এই যুদ্ধের প্রভাব যে শুধুই ইউক্রেনে পড়ছে এমনটা মোটেই নয়। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রকোপ পড়েছে বিশ্ব বাজারেও। ১৪ বছর আকাশ ছোঁয়া দাম অপরিশোধিত তেলের। ব্যারেল প্রতি ১৩০ মার্কিন ডলার ছুঁয়েছে ক্রুড তেলের দাম। এছাড়াও, বিশ্বের বহু দেশে শেয়ার বাজার ক্রমাগত নিম্নমুখী গমনের দিকে পা বাড়িয়ে দিয়েছে। এই পরিস্থিতি চিন ( China ) ও ভিয়েতনামের চাপানউতোর পরিস্থিতি বিশ্ব জুড়ে তৈরি করছে চিন্তার মেঘ।