corona positive : “প্রিয়জনকে স্পর্শ করতে না পারার কষ্ট আমাকে ভোগাচ্ছে”- টানা ৭৮ বার করোনা পজিটিভ প্রৌঢ়

অহেলিকা দও, কলকাতা : ২০২০ সালে “বিন বুলায়ে ম্যাহেমান” এর মতো ভারতে ঢুকে পড়ে করোনা ভাইরাস ( corona virus)। মৃত্যুপুরে পরিনত হয়েছিল গোটা বিশ্ব ( world)। ইতিমধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ ওমিক্রন ( omicron) গোটা বিশ্ব কাঁপিয়েছে। এখন আবার নিওকোভ ( Neokov) বাজারে নতুন করোনা স্টেন। ২০২০ সাল থেকে এক বছরে ৭৮ বার ( 78 times) করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তুরস্কের ( Turkey) প্রৌঢ় মুজফ্ফর কায়াসন ( Muzaffar Kayasan)।
corona positive – তুরস্কের প্রৌঢ় মুজফ্ফর কায়াসন
মুজফ্ফর কায়াসনের বয়স ৫৬। ৫৬ বছর বয়সী এই ব্যক্তি একজন লিউকোমিয়ার রোগী ও ইমিউনোকম্প্রোমাইজড। ২০২০ সাল থেকে এক টানা ১৪ মাস হাসপাতাল এবং বাড়িতে কোয়ারেনটাইন কাটিয়েছেন তুরস্কের প্রৌঢ় মুজফ্ফর কায়াসন। আর টানা এত দিন সংক্রমিত থাকতে আর কাউকে দেখা যায়নি বলেই বক্তব্য দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের।
corona positive – ‘পজিটিভ’
২০২০ সালের নভেম্বর মাসে মুজফ্ফর কায়াসন প্রথম করোনায় সংক্রমিত হন। কয়েকদিন হাসপাতালে কাটান তিনি। রোগের তীব্রতা কিছুটা কমলে বাড়ি ফেরেন। সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার অপেক্ষায় ইস্তানবুলের বাড়িতে কোয়ারেনন্টিন থাকেন তিনি। করোনার গুরুতর লক্ষণগুলো কাটিয়ে উঠলেও শরীরে থেকে ভাইরাসটি দূর হয়নি তাঁর। মুজফ্ফর কায়াসন কয়েকদিন অন্তর অন্তর করোনা পরীক্ষা করেছেন। প্রতি বার এসেছে ‘পজিটিভ’। মাসের পর মাস এভাবেই কেটেছে তাঁর। সম্প্রতি সপ্তাহ দুই পর থেকে করোনা রোগীদের মুক্তির কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর ক্ষেত্রে নিয়মটা ছিল ব্যতিক্রম।
আরও পড়ুন-New Rupee: ২কোটি দাম হলেও আজও ভালবাসার মূল্য পায়নি অভাগা রাজাhttps://thebengalichronicle.com/king-edward-copper-coin-2-core/
আরও পড়ুন-Viral News : ভগবানের আসনে বসানো মা-বাবার মূর্তি, বর্ধমানের ব্যক্তি আজ সমাজের কাছে দৃষ্টান্তhttps://thebengalichronicle.com/viral-news-burdwan/
corona positive – চিকিৎসকদের বক্তব্য
মুজফ্ফর কায়াসনের চিকিৎসকরা জানান, “তাঁর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম। তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেই আমরা দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যদিও এ প্রক্রিয়াটি বেশ কঠিন ও দীর্ঘমেয়াদী। এতদিন সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে মোজাফফরের সামাজিক জীবন কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে। যার ফলে তিনি পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অক্ষম হয়ে পড়েছেন”। দীর্ঘ ১৪ মাস ধরে তিনি জানালা দিয়ে তার সন্তান ও নাতি-নাতনিদের সঙ্গে দেখা করেন। শুধু তার স্ত্রী ও ছোট ছেলে তার সঙ্গে থাকতেন। তাঁর ছেলে তাঁর সঙ্গে থাকলেও তিনি কোভিড পজিটিভ হননি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “প্রথমে ভেবেছিলাম আমিও হয়তো করোনা পজিটিভ। তবে পরীক্ষা করানোর পর জেনেছি আমার নেগেটিভ”।
corona positive – মোজাফফর কায়াসনের বক্তব্য
মোজাফফর কায়াসন জানান, “প্রিয়জনকে স্পর্শ করতে না পারার কষ্ট আমাকে ভোগাচ্ছে। একা থাকা খুব কষ্টের, বিশেষ করে বৃদ্ধ বয়সে। এমনকি আমার অবস্থার কারণে আমি টিকাও নিতে পারছি না”। ১৪ মাস ক্রমাগত কোভিড পজিটিভ থাকা ও ৭৮ বার করোনা টেস্ট করানোর বিষয়টি হয়তো তাঁর সাথেই প্রথমবার হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।