Afghanistan : খিদের জ্বালা মেটাতে শেষ সম্বল মানুষের মাংস, ঘটনায় রীতিমতো শিহরিত বিশ্ববাসী

খিদের জ্বালা বড় জ্বালা! কিছু মাস আগের ঘটনা পেটের জ্বালা মেটাতে নিজের কন্যা সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছিল এক ( Afghanistan ) আফগান মা। পকেট শূন্য অবস্থা তাই খাদ্যের জোগান করতে নিজের কন্যা সন্তানকে বিক্রি করে দেয় সে। এমনকী নিজের অঙ্গ বিক্রি থেকে পিছপা হয়নি সেই আফগান ( Afghanistan ) মহিলা। সংসার চালাতে নিজের কিডনি পর্যন্ত বিক্রি করে দিতে হয়েছিল তাঁকে। এই ধরনের বাস্তব চিত্র এ সমাজে অনেকটাই কম। সাধারণত সিনেমার পর্দাতেই দেখা যায় খিদের জ্বালা মেটাতে ঘাস, পাতা, মরা পশু কিংবা কখনও কখনও নিজের মাংস খেয়ে বসছে মানুষ। কিন্তু এবার সিনেমার পর্দা থেকে বাস্তব জগতেও দেখা গেছে এমন দৃশ্য।
ঘটনার আফগানিস্তানের। ৬ মাস হতে চলল সেই দেশ এখনও তালিবানদের ( Afghanistan ) দখলে। ক্ষমতার দখল নিয়েই তারা জানিয়েছিল, দেশকে মাদক মুক্ত করা হবে। সেই কথা রাখতে অভিনব পন্থা নিয়েছে তারা। দেশের অধিকাংশ মাদকাসক্তকে তিন মাসের জন্য একটি রিহ্যাবে ভরেছে তারা। রিপোর্ট বলছে, সেই নেশামুক্তি কেন্দ্র বা রিহ্যাবে চুড়ান্ত অব্যবস্থা। এক একটি তিন জন করে করছেন দিন গুজরান। নেই খাবারের সঠিক ব্যবস্থা।
সম্প্রতি ডেনমার্কের এক সাংবাদিক রিহ্যাব থেকে ছাড়া পাওয়া এক ব্যাক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। আব্দুল নামে জনৈক ( Afghanistan ) আফগান নাগরিক জানান, রিহ্যাবের অন্দরে ভয়ঙ্কর পরিবেশ। পরিচ্ছন্নতা দুরাস্ত। খাবারের চরম অভাব। সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন কাটাতে হয় না খেয়ে। বন্দিদের থাকার জন্য নেই উপযুক্ত পরিবেশ। এছাড়াও, খিদের জ্বালা মেটাতে মাঝে মধ্যে রিহ্যাবের মাঠের ঘাসও খেতে হয়েছে বলে জানান সেই আফগান ব্যাক্তি।
তিনি আরও জানান, পেটের জ্বালা মেটাতে কয়েকজন মিলে একটি বিড়ালকে হত্যা করে তারপর তার মাথা চিবিয়ে খায় কয়েকজন মাদকাসক্ত। তবে এখানেই শেষ নয়। পরিস্থিতি পৌঁছয় আরও চরমে। কয়েকজন মাদকাসক্ত মিলে এক ব্যাক্তিকে খুন করে পরিণত হয় নরখাদকে। খিদের জ্বালা মেটাতে মৃত ব্যাক্তির শরীর আগুনে পুড়িয়ে খেতে শুরু করে তারা। এই ( Afghanistan ) আফগান ব্যাক্তির জবানিতে রীতিমতো শিউরে ওঠে বিশ্ববাসী।
আরও পড়ুন……..Afghanistan : নেই দু’মুঠো চালও, স্বামী-ছেলের মুখে অন্ন জোগাতে বিক্রি করলেন কিডনি
উল্লেখ্য, বিশ্বে নিষিদ্ধ মাদকের অন্যতম বড় জোগানদাতা ( Afghanistan ) আফগানিস্তান। হিন্দুকুশের পাহাড়ের কাছ থেকে হেরোইনের ব্যবসার রাশ ধরেছে তালিবান। আর সেই বিষ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। “ইউরোপিয়ান ফাউন্ডেশন ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিস” রিপোর্টে বলা হয়েছে, ক্ষমতায় এসে আফিম চাষে লাগাম টানার কথা বলে ছিল তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ। কিন্তু সেসব আন্তর্জাতিক ত্রাণ পাওয়ার জন্য শুধুমাত্র লোক দেখানো প্রতিশ্রুতি। আফগানিস্তানে তৈরি হওয়া অফিস থেকে পাকিস্তানে ল্যাবরোটারিতে বিশাল পরিমাণে হেরোইন তৈরি হচ্ছে। এবং তা ইউরোপের বাজারে পৌঁছে যাচ্ছে। দেশেও সস্তা হচ্ছে মাদক। আর যার জেরেই বাড়ছে মাদকাসক্তের পরিমাণ।