ক্যান্সার উপসমে মহার্ঘ্য! বিহারের মাটিতেই ফলছে পৃথিবীর সবচেয়ে দামী সবজি, কেজি প্রতি দাম ১লাখ টাকা

যেকোনো শাক সবজিই যে শরীরের জন্য উপকারী তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখেনা। কিন্তু আজ যে সবজির কথা আপনাদের জানাব, তা আলু পটলের মত সহজলভ্য এবং সস্তা সবজি নয়। পৃথিবীর সর্বাধিক মূল্যবান ফসল হপ শুটস (Hop Shoots) এর প্রতি কেজির দাম প্রায় ৮২ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকার কাছাকাছি। শুনে গল্প মনে হলেও এ এক্কেবারে বাস্তব।

এই সবজির ফলন হয় মূলত ইউরোপ আমেরিকার কিছু দেশে। কিন্তু এই ফলের চাহিদা সারা পৃথিবী ব্যপীই। জানা গিয়েছে, এই সবজি মারনব্যধি ক্যানসারের কোষ মারতে সহায়তা করে। এছাড়াও বিশেষ প্রজাতির এই সবজিটি নানা ধরণের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। যেমন টিবি রোগের প্রতিষেধক হিসাবে ব্যবহৃত হয় এই সবজি। এছাড়াও আন্টিবায়োটিক তৈরী হয়, এই গাছের ফুল বিয়ার শিল্পে ব্যবহৃত হয়, এমনকি গাছের কিছু অংশ বিশেষ ধরণের চাটনি তৈরিতেও ব্যবহার হয়।

hop shoots,expensive vegetables,india,amaresh singh,bihar,দামি সবজি,ভারত,অমরেশ সিং,বিহার,hop-shoots-the-most-expensive-vegetables-of-the-world-per-kg-rs-1-lakh

অথচ এমন মহাঔষধের ফলন খুবই সীমাবদ্ধ। এবার হাইটেক(High tech) দেশি কৃষকের হাত ধরে ভারতেও শুরু হয়েছে হপ শুটসের ফলন। সুখবর এই যে এবার দেশের মাটিতেই ফলছে এই সোনার ফসল।

hop shoots,expensive vegetables,india,amaresh singh,bihar,দামি সবজি,ভারত,অমরেশ সিং,বিহার,hop-shoots-the-most-expensive-vegetables-of-the-world-per-kg-rs-1-lakh

বিহারের ঔরঙ্গাবাদ জেলার করমডিহি গ্রামের কৃষক অমরেশ সিং এর তত্ত্বাবধানে এই সবজি ফলছে ভারতেও। ২০১২ সালে হাজারিবাদের সেন্ট কলম্বাস কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর এই সবজি চাষ নিয়ে গবেষণা শুরু করেন তিনি। দীর্ঘ ৭ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং গবেষণার পর নিজের ৫ কাঠা জমিতেই হপ শুটসের চাষ শুরু করেন অমরেশ বাবু।

hop shoots,expensive vegetables,india,amaresh singh,bihar,দামি সবজি,ভারত,অমরেশ সিং,বিহার,hop-shoots-the-most-expensive-vegetables-of-the-world-per-kg-rs-1-lakh

কিন্তু দেশে এই সবজির বিশেষ চাহিদা না থাকায় আপাতত বিদেশেই রপ্তানি করছেন তার ফসল। বর্তমানে রাশিয়া, জার্মানি, ব্রিটেন, ফ্রান্স ইত্যাদি পশ্চিমের দেশগুলিতেই মূলত চাষ হয় এই ফসলের। তবে অমরেশ বাবুর কৃপায় ভারতেও ফলছে দুর্দান্ত ভেষজ গুণ সম্পন্ন হপ শুটস। জানা গিয়েছে, তিনি বারাণসীর ভারতীয় উদ্ভিজ্জ গবেষণা ইনস্টিটিউটের কৃষিবিজ্ঞানী ডঃ লালের থেকেই প্রশিক্ষণ নিয়ে এই চাষ শুরু করেছেন। গোটা চাষের বিষয়টি ডঃ লালের তত্ত্বাবধানেই রয়েছে। বিগত দুই মাস আগে তিনি এই চাষ শুরু করেছেন। গরিব কৃষকদের ও এই সবজি চাষ নতুন দিশা দেখাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

 




Back to top button