International Women’s Day : অধিকার ছিনিয়ে নিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল নারীরা, ফিরে দেখা ইতিহাসের সেই নারী স্বাধীনতার পাতা

অহেলিকা দও,কলকাতা : প্রতি বছর ৮ মার্চ দিনটিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ( International Women’s Day) হিসেবে পালন করা হয়। এই দিনটি প্রতিটা নারীর ( women) জীবনে একটি বিশেষ দিন। কিন্তু কি কারণ ছিল যার কারণে এই দিনে নারী দিবস পালন করা হয়? নারীদের সম্মান দিতেই কি এই দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়? নাকি নারীরা নিজেদের উদ্যোগে ( own initiative) এই দিনে নারী দিবস ( International Women’s Day) পালন করে। তবে কি ভারতের মতো সারা বিশ্বের মহিলারা অধিকার ( Rights) এবং সম্মান ( respect) পেতে এই দিনটিকে বেছে নিয়েছিলেন?
নারী দিবসের ইতিহাস
১৯০৮ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ( International Women’s Day) শুরু হয়েছিল নিউ ইয়র্কে। সেখানে অসংখ্য মহিলারা জড়ো হয়েছিল এবং তাদের চাকরির দাবিতে মিছিল বের করেছিল। এছাড়াও ওই মহিলারা তাদের বেতন বৃদ্ধি এবং ভোট অধিকারের দাবিও জানিয়েছিল। এই ঘটনার এক বছর পরেই এই দিনে জাতীয় নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
১৯১০ সালে ক্লারা জেটকিন শ্রমজীবী মহিলাদের একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এই দিনটিকে আন্তর্জাতিকভাবে উদযাপনের পরামর্শ দেন। এই সম্মেলনে ১৭টি দেশের ১০০জন শ্রমজীবী মহিলা উপস্থিত ছিলেন। এই সমস্ত মহিলারা ক্লারা জেটকিনের পরামর্শকে সমর্থন করেছিলেন। ১৯১১ সালের ১৯ মার্চ প্রথমবারের মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই দিবসটি পালিত হয়। এভাবেই প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা শুরু হয়েছিল।
এরপরে ১৯১৭ সালের প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় রাশিয়ার মহিলারা বিরক্ত হয়ে খাদ্য এবং শান্তির জন্য প্রতিবাদ করেছিলেন। এই প্রতিবাদ এতটাই শক্তিশালী হয়েছিল যে সম্রাট নিকোস তার পদ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। এরপর সেখানে মহিলারা ভোট অধিকার পায়। যেদিন তারা এই প্রতিবাদ করেছিলেন সেই দিনটি ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি এবং গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে ছিল ৮ মার্চ। তখন থেকে ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালিত হয়। ১৯৭৫ সালে তারা এই সরকারী স্বীকৃতি পায়। ওই বছর থেকেই জাতিসংঘ এটিকে একটি থিম দিয়ে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
নারী দিবস পালনের উদ্দেশ্য
বর্তমান সময়ে নারী দিবস ( International Women’s Day) উদযাপনের মূল উদ্দেশ্য হল নারী ও পুরুষের মধ্যে সমতা বজায় রাখা। আজও পৃথিবীর অনেক জায়গাই আছে যেখানে এখনও নারী এবং পুরুষদের সমান অধিকার নেই। যেখানে নারীরা এখনও আত্মকর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। এছাড়াও নারীদের অর্থনৈতিক স্তরও পিছিয়ে রয়েছে পুরুষদের তুলনায়। এমনকি অনেক দেশে নারীরা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে। এছাড়াও পৃথিবীর নানা প্রান্তে এখনও নারী নির্যাতনের ঘটনাও ঘটে চলেছে। এই কারণেই নারী দিবস উদযাপনের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো নারী সমতার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে তোলা।
আরও পড়ুন….দৃষ্টি নেই তবুও পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় প্রথম, পরিশ্রমই পন্থা অন্ধ সন্যাসীর
আরও পড়ুন….আজ কেউ বিবাহিত, কেউ আবার কাজে গেছে! করোনা ছিনিয়ে নিয়েছে তাঁদের শিক্ষা
নারী দিবসের থিম
১৯৭৫ সাল থেকে শুরু করে প্রতি বছর একটি থিম নিয়ে নারী দিবস ( International Women’s Day) উদযাপন শুরু করে। এই নারী দিবসের প্রথম থিম ছিল “সেলিব্রেটিং দ্য পাস্ট, প্ল্যানিং ফর দ্য ফিউচার”। অর্থাৎ অতীত উদযাপন করুন এবং ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করুন। ২০২১ সালে নারী দিবসের থিম ছিল “চ্যালেঞ্জ টু চ্যালেঞ্জ”। ২০২২ সালের নারী দিবসের থিম হল “ব্রেক দ্য বিয়াস”।