Museum Of The Future: খুলে গেল ভবিষ্যতের দ্বার! বিশ্বের বুকে সবথেকে সুন্দর ইমারত গড়ে নজির গড়ল দুবাই

ভবিষ্যত দেখতে কে না চাই। আমি, আপনি যে কেউ হইনা কেন বর্তমানে দাঁড়িয়ে ভবিষ্যতকে জানার ইচ্ছা কার না থাকে বলুন। তবে এই ভবিষ্যত, সেই ভবিষ্যত না। এ হচ্ছে, নবাগত প্রযুক্তির এক ভবিষ্যত চিত্র ।
দুবাইয়ের (Dubai) মিউজিয়াম অফ দ্য ফিউচার (Museum of the Future), এখানেই বর্ণিত হচ্ছে প্রযুক্তিগত ভবিষ্যত। মঙ্গলবার থেকেই বিশ্বের জন্যে খুলে দেওয়া হবে এর দরজা। মহামান্য শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক, সরকারি কর্মকর্তা ও সংবাদ মাধ্যমের উপস্থিতিতে দুবাইয়ের (Dubai) এই বিশেষ মিউজিয়ামের উদ্বোধন হয়।
মিউজিয়াম অফ দ্য ফিউচারকে (Museum of the Future) “পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ভবন” হিসাবে ইতিমধ্যেই স্থির করা হয়েছে। যা নির্মাণ করতে সময় লেগেছে ৯ বছর। ৭৭ মিটার লম্বা এই মিউজিয়াম (Museum), মূলত ভবিষ্যতের পৃথিবী কেমন হবে তার এক ব্যাখ্যা দিচ্ছে প্রযুক্তিগত ভাবে।
সাত তলা উপবৃত্তাকার ভবনটি ৩০ হাজার বর্গ মিটারজুড়ে বিস্তৃত ও ৭৭ মিটার উঁচু। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে পৃথিবীর উচ্চতম ভবন বুর্জ খলিফার পাশেই এই নবনির্মিত ভবনটি। এই মিউজিয়ামটি শুধু যে মিউজিয়াম তা কিন্তু নয়, এর মধ্যে থাকছে গ্লোবাল ইন্টেল্যাকচুয়াল সেন্টার (Global Intellectual Centre)। এছাড়াও এটি একটি “জীবন্ত গবেষণাগার” (Living Laboratory) যা আরব বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীদের মধ্যে সহযোগিতামূলক উদ্ভাবনের চেতনাকে উৎসাহিত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। যাতে ভবিষ্যতের সর্বশ্রেষ্ঠ চ্যালেঞ্জগুলির জন্য নতুন নতুন সমাধানগুলিকে অনুপ্রাণিত করা যায় এবং এই অঞ্চলে এবং এর বাইরেও বৈজ্ঞানিক (Scientific) আবিষ্কারের একটি নতুন যুগকে উৎসাহিত করা যায়৷
ভবনের সম্মুখভাগটি তৈরি করতে সময় লেগেছে ১৮ মাসেরও বেশি। ১০২৪টি প্যানেল বেছে নেওয়ার কারণ হলো, এটি ১০২৪টি চরিত্র নিয়ে গঠিত এক কিলোবাইটকে নির্দেশ করে। গোটা ভবনের আলোকবর্তিকার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪ কিলোমিটার। দুবাইয়ের শাসক শেখ মহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুমের তিনটি উদ্ধৃতি এই ভবনের দেওয়ালে নকশার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
এক জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রিসভা বিষয়ক মন্ত্রী এবং দুবাই ফিউচার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মহাম্মদ আল জেরজউই জানান, ‘মিউজিয়াম অফ দ্য ফিউচার’ কার্যত একটি ‘জীবন্ত জাদুঘর’। কারণ এটি ক্রমাগত অভিযোজিত এবং রূপান্তরিত হয়। ক্রমাগত পরিবর্তিত হয় এখানে আয়োজিত প্রদর্শনীগুলোও। ‘কিল্লা ডিজাইন’ নামের সংস্থার শন কিল্লা এই ভবনটির মুখ্য স্থপতি। বৃহৎ উপবৃত্তাকার এই ভবনটিকে দুবাইয়ের স্থাপত্য এবং সংস্কৃতির মূর্ত প্রতীক হিসেবে কল্পনা করা হচ্ছে। এটি আধুনিক কম্পিউটারকে ব্যবহার করে গড়া নকশা এবং প্রযুক্তির সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিদর্শন।
উদ্ধৃতির একটিতে লেখা রয়েছে, ‘আমরা শত শত বছর বাঁচতে পারি না, তবে আমাদের সৃজনশীলতার সৃষ্টিগুলো আমাদের চলে যাওয়ার পরও থেকে যেতে পারে’। জাদুঘরে রয়েছে ‘ফিউচার হিরোজ’ নামের একটি বিভাগ, যা তরুণ প্রজন্মের মনকে নিজেদের এবং চারপাশের বিশ্বকে নতুন করে আবিষ্কার করতে উৎসাহিত করবে। সবার উপরে রয়েছে মহাকাশের থিমযুক্ত ‘ওএসএস হোপ এক্সপেরিয়েন্টাল ডিসপ্লে’। এখানে ২০৭১ সালে একটি বিশাল মহাকাশ স্টেশনের ভিতরের জীবন কেমন হতে পারে তা চিত্রিত হয়েছে। ‘ওএসএস হোপ’ আদপে ভবিষ্যতের একটি আশা জোগায় দর্শনার্থীদের মনে।
ভবিষ্যতের আইকনিক মিউজিয়ামটি জুমেইরা এমিরেটস টাওয়ারের ঠিক পাশেই অবস্থিত, এবং জাদুঘরে পৌঁছানোর সবচেয়ে সুবিধাজনক উপায় হল দুবাই মেট্রো নিয়ে। একজন একক ব্যক্তির জন্য প্রবেশ মূল্য Dh১৪৫ (ভারতীয় মূল্য হিসেবে ২,৯৪৫টাকা), যেখানে তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের বিনামূল্যে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এবং প্রবীণ দুবাই-নাগরিকদের জন্য প্রশংসামূলক টিকিটও পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে পর্তুগালে পাঠানোর চক্রান্ত হচ্ছে, রসিকতা রাল্ফ রাঙ্গনিকের
আরও পড়ুন কপিল দেবকে টপকালেন ঋষভ পন্থ, বিশ্ব তালিকায় সামনে আরো দুজন