Bhutan Civilian Award: ভুটানের সর্বোচ্চ নাগরিকের খেতাব অর্জন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

বুধবার(Wednesday) এক বিশেষ ঘোষণার(Announcement) মাধ্যমে ভুটান(Bhutan) সরকার(Goverment) তথা ভুটানের(Bhutan) রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক জানালেন, তাদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী(Prime Minister) নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)কে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘গাদাগ পেল গি খোরলো’ দেওয়া হবে। এই সম্মানের বিশেষ কারণ হিসাবে উঠে আসছে বছরের পর বছর ধরে ভুটানের পাশে ভারতের থাকা এছাড়াও মহামারী চলাকালীন মোদী তার নিঃশর্ত বন্ধুত্ব এবং সমর্থন দিয়েছেন ভুটানকে সেই দুঃসময়ে। তাই রাজার মতে নরেন্দ্র মোদি এই সম্মানের প্রাপ্য অধিকারী।
ভুটানের(Bhutan) রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক(Jigme Khesar Namgyel Wangchuck) নিজের বক্তব্যে জানান,”ভারতের সঙ্গে আমাদের নিঃশর্ত বন্ধুত্বের সম্পর্ক আছে। প্রধানমন্ত্রী(Prime Minister) নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)র শাসনকালে বছরের পর বছর ধরে ভুটান(Bhutan)কে সাহায্য করে চলেছে ভারত(India)। বিশেষ করে করোনা আবহে ভুটানের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত।”
ভুটান(Bhutan)-এর প্রধানমন্ত্রীর(Prime Minister) দফতরের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায়(Social Media) এই সম্মানের বিষয়ে যে পোস্ট হয়েছে সেখানে জানানো হয়েছে,”রাজাজিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক ভুটানের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান গাদাগ পেল গি খোরলো প্রাপক হিসেবে নরেন্দ্র মোদির নাম ঘোষণা করায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। রাজা উল্লেখ করেছেন, বছরের পর বছর ধরে মোদিজি ভুটানের সঙ্গে নিঃশর্ত বন্ধুত্ব বজায় রেখেছেন এবং আমাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। বিশেষ করে করোনার সময় তিনি আমাদের সাহায্য করেছেন। এই পুরস্কার তাঁর প্রাপ্য ছিল। ভুটানের মানুষের পক্ষ থেকে আপনাকে অভিনন্দন জানাই। যখনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা হয়েছে, তাঁকে মহান, ধার্মিক মানুষ বলে মনে হয়েছে। আপনার উপস্থিতিতে এই সম্মান প্রদান অনুষ্ঠান উদযাপন করার দিকে তাকিয়ে আছি।”
আরও পড়ুন…….PM NARENDRA MODI: জানুয়ারিতে বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী, উদ্দেশ্য ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’
এছাড়াও বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছেন ভুটানের সাথে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে। বাণিজ্য এবং উন্নয়ন দুই ক্ষেত্রেই ভুটানের সাথে ভারত অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত। দুই দেশের মধ্যেই অবাধ বাণিজ্যের চুক্তিও আছে বহু বছর থেকেই। যথাক্রমে ১,০২০ মেগাওয়াটের টালা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, পারো বিমানবন্দর, ভুটান ব্রডকাস্টিং স্টেশন সহ বিভিন্ন প্রকল্পের মানোন্নয়নে ভুটানকে সাহায্য করেছে ভারত। এছাড়াও ভারত বিভিন্ন সময়ে ভুটানকে উপহার হিসাবে অনেক কিছুই দিয়ে থাকে। উদাহরণ স্বরূপ বলা চলে সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরী প্রথম করোনার ভ্যাকসিন প্রথম ভুটানকেই উপহার দেয় ভারত। তাছাড়াও এই বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের(2020 Year) জানুয়ারি(January) মাসে দেড় লক্ষ ডোজ কোভিশিল্ড(Covishield) পাঠানো হয় ভারতের(India) তরফ থেকে ভুটান(Bhutan)কে।