Zero Covid Rule : জোর করে আটকে রাখা হচ্ছে লোহার ঘরে, করোনা ঠেকাতে আরও কঠোর চিন

দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনা(Corona)। দেখা যাচ্ছে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৪ জন ব্যাক্তিই এখন করোনা আক্রান্ত। এই পরিস্থিতি সরকার কী করছে? নয় হাসপাতালে চিকিৎসারত আর নয় বাড়িতেই নিভৃতবাসে থাকতে বলছে সাধারণ মানুষকে। কিন্তু পরিস্থিতিটা যদি এই রকম হত, আপনার করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসার সঙ্গে সঙ্গে একটি চারদিক বন্ধ লোহার ঘরে আপনাকে বন্দী করে দিত। পরিস্থিতির চাপে হয়তো দম আটকে আসার অবস্থা হত। নির্দোষ হয়েও থাকতে হচ্ছে জেল খানার মতো বন্দী ঘরে। গোটাটাই কল্পনা লাগছে তাই না?

কিন্তু যদি বলি এমনই ঘটনার শিকার আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের বহু মানুষ তাহলে? আসলে এই গোটা চিত্রটিই চিনের। বর্তমানে চিনে “করোনা শূন্য দেশ ( Zero Covid Rule )” নামে একটি নীতি চালু করেছে। এই নীতির ভিত্তিতেই নাগরিকদের(Citizen) একাধিক কঠোর নিয়মের মধ্যে দিয়ে জীবন-জীবিকা সরবরাহ করতে হচ্ছে।

Zero Covid Rule

গত ৯ জানুয়ারি টুইটার একটি ভিডিও ভীষণ ভাবে ভাইরাল হয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায় সারি সারি লোহার বাক্স(Metal Box) পর সাজানো। ভালো করে দেখলে বোঝা যাবে আদতেই সেগুলো কোনও সামগ্রী রাখার বাক্স নয়। সেগুলো এক একটি লোহার ঘর। যার মধ্যে রাখা হয়েছে দেশের অসংখ্য নাগরিক(Citizen)কে। কিন্তু কেন? যাচাই করে জানা যায়, আসলে এই লোহার ঘরগুলি তৈরি হয়েছে নিভৃতবাসে থাকার জন্য। করোনা আক্রান্ত হলেই এই ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে রোগীকে। বাচ্চা, বৃদ্ধ কিংবা কোনও গর্ভবতী মহিলা কাউকেই পরোয়া করা হবে না। একটি কাঠের ছোট বিছানা আর তার পাশেই ছোট বাথরুম।

জানা গিয়েছে, কোনও ব্যাক্তি করোনা(Corona) আক্রান্ত হলেই জোর করে তাঁকে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে এই ঘরে। অন্তত দু’সপ্তাহ তাঁকে থাকতে হবে সেখানেই। দেশের কিছু কিছু জায়গায় এমনও হয়েছে কোনও ব্যাক্তির বা গোটা পরিবারের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে জিংপিং-এর কর্মীরা মাঝরাতেই তাদের নিজেদের ঘর থেকে বের করে বাধ্যতামূলক ভাবে সেই লোহার ঘরে নিয়ে গিয়ে ঢুকিয়ে দিয়েছে ( Zero Covid Rule ) ।

প্রসঙ্গত, চিনে(China) এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়। গণপ্রজাতান্ত্রিক কথা নিজেদের দেশের নামের আগে ব্যবহার কোনও দিক থেকেই সেই কথাটি পালন করে না ওই দেশের সরকার। একাধিক ক্ষেত্রেই চিনের কঠোর নিয়ম ও তার জেরে মানুষের দৈনিক জীবনযাপন কঠিন হয়ে ওঠার বহু খবরই বিশ্ববাসীর সামনে উঠে এসেছে। চিনেই(China) করোনার(Corona) প্রথম রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। এরপর করোনা যখন তাঁদের গোটা দেশ তথা বিশ্ব কবজা করে ফেলেছিল। তখন থেকেই চিন করোনা শূন্য দেশ হওয়ার উদ্দেশ্যে একাধিক কঠোর নিয়ম জারি করে। জারি হয় কঠোর লকডাউন।

আরও পড়ুন……Coronavirus Update in India : ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমন, দেশে করোনার রিপোর্ট বাড়ল দ্বিগুণ

বিশ্ববাসীর সামনে উঠে আসে কঠোর লকডাউনের জেরে গর্ভবতী চিনা মহিলার আর্তনাদ। জানা যায়, কঠোর লকডাউনের মধ্যেই তাঁর গর্ভপাত হয়েছে এবং সরকার তরফে কোনও চিকিৎসা মেলেনি তাঁর। কারণ, দেশ জুড়ে তখন লকডাউন চলছে। সরকার শুধুই করোনা নাশে ব্যস্ত।

 




Leave a Reply

Back to top button