ফের চোখ রাঙানি করোনার! সংক্রমণ ছড়িয়ে করোনার নতুন ঢেউ

একদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত। এরই মাঝে চিন, হংকংয়ে বাড়ল করোনা (Covid 19 Resurgence) দাপট। সোমবার সে দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩৪ হাজার ৪৬৬ জন। পাশাপাশি বেড়ে চলেছে মৃত্যুও। প্রাথমিকভাবে লকডাউউনের ভাবনা উড়িয়ে দিলেও ফের সেই নিষেধাজ্ঞাই আরোপ করতে চলেছে সেই দেশ। বর্তমানে হংকং করোনাভাইরাসের (Covid 19 Resurgence) পঞ্চম ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই করছে।
আবারও সেই চিন! প্রথম চিনের উহান প্রদেশ থেকে করোনার উৎপত্তি। যদিও ক্রমশ নিম্নমুখী হচ্ছে করোনা গ্রাফ। তবুও স্বস্তি কমছে না চিনাবাসিন্দাদের। চিনে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা গ্রাফ (Covid 19 Resurgence)। যার জেরে অনেক শহরে করা হয়েছে লকডাউন। বন্ধ শপিং মল থেকে স্কুল। প্রায় প্রত্যেক দিনই কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে শুরু করেছে। লাফিয়ে লাফিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা। ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে গতকালের থেকে আজকের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ন্যাশনাল চিনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় ৩ হাজার ৫০৭ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের দিনের তুলনায় ১ হাজার ৩৩৭ জন বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভারত সহ বিশ্বের বহু দেশেই করোনা ভাইরাসের প্রকোপ অনেকটাই কমেছে। কিন্তু যে দেশ থেকে ২০১৯ সালে করোনা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল, সেখানেই আবার কোভিডের ত্রাস (Covid 19 Resurgence) ফিরেছে। ড্রাগনের দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় চিনে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৫ হাজার ছুঁইছুঁই। সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে সাংহাই সহ চিনের ১১টি শহর কঠোর লকডাউনে চলে গিয়েছে। আর সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে আগামী কয়েকদিন চিনের আরও কিছু শহর ও কাউন্টিতে লকডাউন করা হবে।
‘স্টিলথ ওমিক্রনেই করোনার (Covid 19 Resurgence) গ্রাফই ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার একমাত্র কারণ। এই ভাইরাসটি ২০২০ সালে প্রথম উৎপত্তি। আর এই এই প্রজাতির প্রাদুর্ভাবের কারণেই ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা গ্রাফ। উত্তর-পূর্ব চিনের জিলিন প্রদেশ সবথেকে বেশি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পাওয়া গেছে। যেখানে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬০১ জন।
চিন প্রশাসন সেখানের বাসিন্দাদের, মানে যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের উত্তর-পূর্ব প্রদেশ ছেড়ে যেতে নিষেধ করছে। করোনাভাইরাস ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণেই তাঁদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে। এক জায়গায় জমায়েত করা নিষেধ করেছে। সেই সঙ্গে স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া চলছে। কোভিড, ওমিক্রনের পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সর্তকতা ও সাবধানতার সঙ্গে রাখা হচ্ছে। চিনের বাসিন্দাদের স্কুল-কলেজ, শপিংমল রেস্তোরাঁ একাধিক জায়গা বন্ধ করা হয়েছে। যারা এখনও করোনার ভ্যাকসিন নেয়নি বা পাননি তাঁদের এখনি টিকা নেওয়ার কথা জানাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’দিন ধরে করোনা কেস ক্রমশই শীর্ষে উঠছে। প্রায় ১ হাজার করে মানুষ কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। মোট আক্রান্তের কেস ৩১০০ শোর বেশি।ক্রমশ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে চিনের শেনজেন শহরে। এই শহরে প্রায় ১৭ মিলিয়নের বেশি মানুষ বসবাস করেন। আক্রান্তের সংখ্যা কমাতে এই শহরটিতে কিন্তু লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আজ, সোমবার থেকে শহরের বাস ও মেট্রো পরিষেবা রাখা হবে। ভিড় এড়াতে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মোটের ওপর এখন চিনের ৩ কোটি মানুষ কঠোর লকডাউনের কারণে গৃহবন্দি। অথচ ক দিন আগেও চিনকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল না করোনা নিয়ে কোনও মাথাব্যথা আছে বলে। কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও বেজিংয়ে হয়ে গেল শীতকালীন অলিম্পিক্স, শীতকালীন প্যারালিম্পিক্স। কোভিডে ঢিলেঢালা মনোভাবেই চিনের এই হাল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। চিনের টিকা নীতিও প্রশ্নের মুখে পড়ছে। চিনের পাশের হংকংয়ের কোভিড পরিস্থিতি একেবারে উদ্বেগজনক
গত ২ বছরে চিনে যাতে করোনা না ছড়ায়, তারজন্য জিরো কোভিড পলিসি নেওয়া হয়। জিরো কোভিড পলিসি নেওয়া সত্ত্বেও এবার চাংচুনসহ চিনের একাধিক প্রদেশে কোভিড (Corona)নতুন করে থাবা বসাতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট, পাকিস্তানের মাটিতে ভারতের খেলার জল্পনা তুঙ্গে
আরও পড়ুন বিষ্ময় বালকের কীর্ত্তি, বেহালার মুচিপাড়া থেকে পাড়ি মুম্বইয়ে মাস্টার ব্লাস্টারের ডেরায়