প্রথম দিনে কত কিছু করা হল ধ্বংস, হিসেবের খতিয়ান দিল রাশিয়া

ইউক্রেনের উপর তিনদিক থেকে আক্রমণ শুরু করেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। গতকালই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করার কথা ঘোষণা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থল ছাড়াও জলপথেও ইউক্রেনে অনুপ্রবেশ শুরু করেছে রাশিয়ার সেনাদল। ইউক্রেনের মোট ২৩টি প্রদেশ শুরু হয়েছে রাশিয়ার সামরিক অভিযান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের বুকে এটিই সবথেকে বড় যুদ্ধ মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

Russia

Russia: ক্ষয়ক্ষতির তালিকা পেশ

 

দিনের শেষে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে সফল হয়েছে প্রথম দিনের সামরিক অভিযানগুলি। ইউক্রেনের স্থলভাগের মোট ৮৩টি জায়গা কে নিশানা করে মিসাইল ও আকাশপথে হামলা করা হয়েছে। সেগুলিকে সফলভাবে ধ্বংস করা গিয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। অন্যদিকে ইউক্রেনে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে গতকাল মোট ২০৩টি স্থানে হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার বিমান বাহিনী।

ইউক্রেনে উত্তরে বেলারুশ পূর্বে রাশিয়া দক্ষিণ এশিয়া পশ্চিমে ট্রান্সনিস্ট্রিয়া থেকে জল ও স্থল উভয় পথেই হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার সেনা ও বিমান বাহিনী। ইউক্রেনের দক্ষিণে কৃষ্ণসাগর ও দক্ষিণ পশ্চিমে আজভ সাগরের রণতরী থেকেও বোমাবর্ষণ হয়েছে ইউক্রেনের উপরে। ইউক্রেনের রাজধানী কিভেও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। ক্রমাগত বোমাবর্ষণে বিচ্ছিন্ন হয়েছে ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা ও অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে গোটা দেশ।

আরও পড়ুন: সমস্ত প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে আজ তিনি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য, বলিউডের অন্যতম সফল অভিনেতা অন্নু কাপুর

সেই অন্ধকারকে কাজে লাগিয়েই রাতের দিকে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়ার বিমানবাহিনী। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তা হয়েছে বিঘ্নিত এবং তারা বম্ব শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছেন। উত্তর-পূর্বের সুমি ও খারকিভ অঞ্চলে দুই সেনাবাহিনীর মধ্যে শুরু হয়েছে রক্তাক্ত সংঘর্ষ। অন্যদিকে খেরসন ও ওডেসাতেও শুরু হয়েছে লড়াই। উত্তরের চেরনোবিলেও পারমাণবিক শক্তিঘরের দখল নিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আক্রমণে ব্যবহৃত হয়েছে বিমানবাহী সেনারাও।

আরও পড়ুন: নিরাপদ স্থানের খোঁজে এক রত্তি, বিদায়বেলায় বাবা-মেয়ের কান্না দেখে চোখে জল নেটনাগরিকদের

দেশজুড়ে সর্তকতা ও কার্ফু জারি করেছে ইউক্রেন। দেশের রাজধানী কিভেও জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা। দেশের জন্য লড়াই করতে চাওয়া যে কোন ব্যক্তির হাতে সরকারি তরফ থেকে তুলে দেয়া হবে অত্যাধুনিক অস্ত্র সে ব্যাপারেও দেশের জনগণকে নিশ্চিন্ত করেছে ইউক্রেনের সরকার এবং দেশের রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। রক্তাক্ত যুদ্ধ যে আরও চলবে কিছুদিনের জন্য সে ব্যাপারে নিশ্চিন্ত সবাই এবং ইতিমধ্যেই দেশ ছাড়তে শুরু করেছেন বহু মানুষ। সব মিলিয়ে দেশ হিসেবে ইউক্রেনের ভবিষ্যত আজ প্রবল সংকটের মুখে।




Leave a Reply

Back to top button