জীবনের পথে একলা এই ছোট্ট শিশু, কাঁদতে কাঁদতে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন ছেড়ে পোল্যান্ড পাড়ি

যুযুধান রাশিয়া-ইউক্রেন। তবে পরিস্থিতি এখন কিছুটা হাতের মুঠোয়। ইতিমধ্যে ১৪ দিন পর যুদ্ধ বিরতির ডাক দিয়েছে। কিন্তু এই ১৪ দিনে যেন তোলপাড় হয়ে গেছে ইউক্রেনের ( Russia-Ukraine War ) নাগরিকদের জীবন। যখন প্রথম রাশিয়া হামলা করে সেই দেশে, মানুষ তখনও ভেবে উঠতে পারেনি যে হয় তো ১৪ দিনে পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয়ে যাবে। প্রথমদিকে বোমা থেকে প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় নিতে হয় মেট্রো স্টেশনে। তারপর পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গেলে মেট্রো স্টেশন পেরিয়ে ঢুকে পড়তে হয় যুদ্ধ বাঙ্কারে।
টানা ১৪ দিনের যুদ্ধ কেড়ে নিয়েছে অনেক নাগরিকের জীবন। দিনের পর দিন কাটাতে হয়েছে না খেয়ে। নিজ দেশ ছেড়ে বাধ্য হয়ে চলে যেতে হয়েছে অনেককে। গোটা যুদ্ধের মাঝে সামাজিক মাধ্যম জূড়ে ছড়িয়ে পড়ে বহু ছবি ও ভিডিও। যার মধ্যে কিছু কিছু হয় তো চিরকালই থেকে যাবে মানুষের মনে। হাসি-কান্না-মজা-দুঃখের মাঝে মনের কোণ থেকে হয় তো কখনও কখনও উঠে আসবে সেই সব মুহূর্তগুলো। এদিনও সামাজিক মাধ্যমে এমনই এক ভিডিও ( Russia-Ukraine War ) ভাইরাল হয়ে পড়ে বেশ। মানুষের অন্তরকে কাঁদিয়ে দেয় সেই যুদ্ধ পরিস্থিতির ভিডিওটি।
Excruciating pic.twitter.com/PIutGEIN0F
— Josh Campbell (@joshscampbell) March 7, 2022
যুদ্ধের মধ্যে বহু মানুষকে চলে যেতে হচ্ছে নিজ দেশ ছেড়ে। যানবাহনের কোনও পরিষেবা না থাকায় পায়ে হেঁটেই পাড়ি দিতে হচ্ছে অন্য দেশে। আর সেই সব মুহূর্তগুলি বারংবার উঠে আসছে মানুষের ফোনের পর্দায়। চোখে ভেসে উঠছে তাঁদের যন্ত্রণা। এদিনের ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতেও দেখা যায় এমনই চিত্র। একলা শিশুটি হেঁটে চলেছে। হাতে ধরা ব্যাগে উঁকি দিচ্ছে পুতুল। তার আশপাশে কাউকে দেখা যাচ্ছে না। দেখা যায়, শিশুটি হাঁটতে হাঁটতে অঝোরে কাঁদছে।
আরও পড়ুন…ক্রিকেট নিয়মে সংশোধনে এমসিসি, বলে লালা ব্যবহার নিষিদ্ধ, রয়েছে আরোও নিয়ম
তাঁর অসহায় ও বিধ্বস্ত ( Russia-Ukraine War ) মুখ দেখে বিষণ্ণ নেটিজেনরা। জীবনের পথে সে একলাই হাঁটতে শুরু করে দিয়েছে। সংবাদসংস্থা রয়টারস সূত্রে জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের বাসিন্দা সেই ছোট্ট শিশুটি। নিজের ছোট্ট মূল্যবান প্রাণটিকে বাঁচাতে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ থেকে শান্তির পথে পাড়ি দিয়েছে সে। পোল্যান্ড সীমান্ত যাওয়াই তাঁর উদ্দেশ্য। এদিন তাঁর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই যেন তোলপাড় সামাজিক মাধ্যম জুড়ে। তাঁকে দেখে কেঁদে ওঠে নেটিজেনদের মন। সেই ছোট্ট শিশুকে কীভাবে নিজেদের কাছে নিয়ে আসবে এই নিয়েও প্রশ্ন করেন অনেক নেট নাগরিক।