Russia-Ukraine War : “ওটা যেনো একটা নরক”- ইউক্রেন থেকে ফিরে প্রতিক্রিয়া ভারতীয় ছাত্রের

এ যেনো কোনো দুঃস্বপ্ন। ছেলে যে দেশে শিক্ষার উদ্দেশ্যে গিয়েছে, সেখানে নাকি এখন আগুন জ্বলছে। ভারত থেকে যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের এখনও সরকার ফেরাতে পারেনি তাদের প্রিয়জনেরা এখনও দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে। কিন্তু কিছু মায়ের মুখে সন্তানকে ফিরে পাওয়ার জেরে আনন্দের হাসিও ফিরছে। দিল্লি এয়ারপোর্টে এমনই এক মা অপেক্ষায় দাড়িয়ে ছিলেন তার ছেলে কখন ফিরবে। ছেলে সুভাংশু দিল্লি এয়ারপোর্টের টার্মিনাল থেকে বেরোতেই জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লো তার মা। সুভাংশু সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতাকে একটি নরকের তকমা দিয়ে জানালো, ” ওটা যেনো একটা নরক”।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন হিংসার আঁচ, সীমান্তে ভারতীয়দের সঙ্গে পাকিস্তানি ছাত্রদের সংঘর্ষ
সুভাংশু আরও জানায় যে তার মতো আরও অনেক ভারতীয় ছাত্র কিভাবে রোমানিয়ার সীমানায় পৌঁছায় এবং তারপর কতটা অসহনীয় পথ পেরোতে হয় তাদের ঘরে ফেরার জন্য।ইতিমধ্যেই অবশ্য রাশিয়ান মিসাইলে প্রাণ গেলো এক ভারতীয় ছাত্রের। মঙ্গলবার সকালে ইউক্রেনের সরকারি কার্যালয়ে রাশিয়ার মিসাইল আছড়ে পড়ার পরেই মৃত্যু ঘটে বলে জানা যায়। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৬০০০ এরও বেশি ছাত্রছাত্রী আটকে রয়েছে ইউক্রেনে (Russia-Ukraine War)। রাশিয়া সবাইকে কিভ ছাড়ার পরামর্শ দেওয়ার পরেই শুরু হয় মিসাইল হামলা সেখানে। ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে কিভে এই মুহূর্তে কোনো ভারতীয় আটকে নেই। বেলারুশে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে কথাবার্তা সম্পন্ন হলেও তা খুব একটা ইতিবাচক নয়। ভারত ছাড়াও অনেক ইউক্রেনবাসী এবং অন্যান্য দেশের মানুষেরা দেশ ছাড়তে উদ্যোগী হয়েছে যার ফলে বাস স্টপ, রেলওয়ে স্টেশন, বিমানবন্দর সমস্ত জায়গায় ভির উপচে পড়ছে।
আরও পড়ুন:Air India-র সিইও পদে সাফ নাকচ ইলকার আইসিরAir India-র সিইও পদে সাফ নাকচ ইলকার আইসির
অনেক দেশই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে ইউক্রেনের দিকে (Russia-Ukraine War)। অন্যদিকে রাশিয়াকে ইউটিউব, গুগল প্রভৃতি ডিজিটাল সংস্থা কোণঠাসা করেছে। ন্যাটো দেশগুলো রাশিয়ার আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক লেনদেনে রাশ টেনে ধরতে চাইছে। ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সাথে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ভারত এতাবস্থায় কোনো পক্ষকেই সমর্থন জানায়নি। ভারতের মতে শান্তিপূর্ণ ভাবে কথা বলার মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান হবে। এখন দেখার অপেক্ষা ব্রিটেন, আমেরিকার মতো দেশের সমর্থন পাওয়ার পরেও ইউক্রেন এই যুদ্ধ পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন করতে পারে কি না।