নিলামে ১২০০০ বছর পুরোনো ম্যামথের দাঁত, ইউক্রেনের পাশে মৎস্যজীবী

রিমা শিয়ালী,কলকাতা: রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ( Russia-Ukraine War ) অনেক সাধারণ মানুষই ইউক্রেনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন এবং নিজেদের সাধ্য মত ইউক্রেনের মানুষদের সাহায্য করেছিলেন। তবে এবার ইউক্রেনিয়ানদের সাহায্যে এগিয়ে আসলেন এক মৎস্যজীবী ( fishermen ) । নিউ ইংল্যান্ডের ( new england ) মৎস্যজীবী ক্যাপ্টেন টিম রাইডার সম্প্রতি নিজের খুঁজে পাওয়া এক বিরল জীবাশ্ম পশমী ম্যামথের একটি দাঁত ( woolly mammoth tooth ) নিলামে ( auction ) তুললেন রাশিয়া ইউক্রেনের এই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনিয়ানদের সাহায্যের জন্য।

ক্যাপ্টেন টিম রাইডার হলেন ইংল্যান্ডের একজন মৎস্যজীবী যিনি নিউ ইংল্যান্ড ফিশমঙ্গারস্ নামক একটি দলের সদস্য।গত বছর ডিসেম্বর মাসে তিনি ম্যাসাচুসেটসের নিউবুরিপোর্টের উপকূলের কাছে স্ক্যালপ মাছ ধরার জন্য গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে মাছ না পাওয়ায় তিনি একটু হতাশ হয়েছিলেন। তবে মাছের পরিবর্তে হঠাৎই তার হাতে আসে অনেক বেশি মূল্যবান এবং বিরল একটি উপাদান।১২০০০ বছর পুরোনো একটি পশমী ম্যামথ এর দাঁত খুঁজে পান তিনি।

নিউ ইংল্যান্ড ফিশমঙ্গার্সের ক্যাপ্টেন তথা সহ-মালিক, টিম রাইডার নিউ হ্যাম্পশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে তার পাওয়া সেই বিরল খোঁজটি নিয়ে যান এবং সেখানে বিশেষজ্ঞরা এটিকে হাজার হাজার বছর পূর্বের পৃথিবীতে বিচরণকারী পশমী ম্যামথের দাঁত হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন।নিউ হ্যাম্পশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক উইল ক্লাইডের মতে দাঁতটি অনেকটাই বড় ছিল।তাদের মতে দাঁতটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১১ ইঞ্চি হবে।উইল ক্লাইড আরও বলেন অন্যান্য জেলেরাও অনেক জীবাশ্মই নিয়ে আসে তাদের কাছে,কিন্তু সেসব জীবাশ্মের কোনোটিই মিস্টার রাইডারের আনা জীবাশ্মের মতো ভালভাবে সংরক্ষিত নয়।

ক্যাপ্টেন টিম রাইডারের কথায় তিনি সবসময়ই নিউ ইংল্যান্ডের আশেপাশের ভূপ্রকৃতি সম্পর্কে ভাবতে ভালোবাসতেন। তিনি এও মনে করতেন যে কদিন আগেই ম্যামথ এবং মাস্টোডনরা পৃথিবীতে হেঁটে বেড়াতে। কিন্তু তিনি কখনোই ভাবতে পারেননি যে তিনি একটি পশমী ম্যামথ এর দাঁত পেতে পারেন। এছাড়াও তিনি বলেছেন যে সেই বিরল জীবাশ্মটি তিনি ইবে তে নিলামে রেখেছেন যা ইতিমধ্যেই ৫০ জনের বেশি লোক নিতে চেয়েছেন। এবং ইতিমধ্যে এর সর্বোচ্চ মূল্য ছিল ৭৩০০ ডলার যা ভারতীয় হিসাবে প্রায় ৫.৫ লাখেরও বেশি।

আরও পড়ুন: আইটেম ড্যান্সই বিবাহ জীবনের বাঁধা, বিচ্ছেদের পর উঠে এলো অন্য কাহিনী

ক্যাপ্টেন রাইডার বলেছিলেন তার কাছে অনেকেই জানতে চেয়েছিল যে তিনি এই বিরল উপাদানটি দিয়ে কি করতে চলেছেন। তখন তার কাছে কোন উত্তর না থাকলেও এখন রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তিনি সেই বিরল জীবাশ্মটিকে জনস্বার্থেই কাজে লাগাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এর জন্যই ম্যামথের দাঁতটি নিলাম করেন রাইডার এবং নিলামের পর যা কিছু আয় হবে, তা পুরোটাই ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনে যাবে বলে জানানো হয়।ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন পোল্যান্ডের এমন একটি সংস্থা যা ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের খাদ্য সরবরাহের কাজ করে।

আরও পড়ুন:“বাবাই মাকে কুপিয়ে খুন করেছে”, কাঁদো কাঁদো গলায় মায়ের মৃত্যু বয়ান দিল শিশুকন্যা




Leave a Reply

Back to top button