Russia-Ukraine War: চেরনোবিল- এ পারমানবিক বিপর্যয়ের থেকে অল্পের জন্য রক্ষা, জেনে নিন

ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমানবিক শক্তি কেন্দ্রে এবার আক্রমন করলো পুতিনের দেশ(Russia-Ukraine War)। ইউক্রেনে অবস্থিত চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রে আক্রমনের জেরে এক বড় বিপর্যয় হতে পারত, বলে জানিয়েছে ইউক্রেন সরকার। চেরনোবিল- এ আক্রমণের পর ইউক্রেনের ইমার্জেন্সী সার্ভিস ইউনিট সেখানে গিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়, এমনই জানিয়েছেন তারা তাদের ফেসবুকে(Russia-Ukraine War)।
ইতিমধ্যে তারা এও জানা যায়, আক্রমণের কারণে কোনো রকম পারমাণবিক রশ্মি বিকিরণ হয়নি। এদিকে ইউনাইটেড স্টেটস- এর সচিব এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে এই পারমাণবিক কেন্দ্র পুরোপুরি সুরক্ষিত রয়েছে এবং এর অন্দরে অবস্থিত রিয়েক্টরটিকে বন্ধ আছে যা একেবারে সুরক্ষিত(Russia-Ukraine War)। তিনি আরো জানান যে তাদের পাঠানো দল এখনও পর্যন্ত সেখানে কোনো রকম পারবানবিক রশ্মি বিকিরনের প্রমাণ পায়নি।

আরও পড়ুন: রুশ হামলার মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ ভারতীয় পড়ুয়া, এ যেন বারংবার মোদীকে পুতিনের চোখ রাঙানি

এই ঘটনার পর ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির জেলেনস্কি জানান যে এই ঘটনার মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় যে মস্কো আবার চেরনোবিল পারমাণবিক বিপর্যয়কে ফিরিয়ে আনতে চাইছে। তিনি আরো জানান যে তিনি ইতিমধ্যেই আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেছেন এই বিষয়ে। রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি জানান, “আমাদের ইতিহাসে এই প্রথম। মানবজাতির ইতিহাসে এই প্রথম। সন্ত্রাসী রাষ্ট্র এখন পারমাণবিক সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে। বিস্ফোরণ হলেই সব শেষ। ইউরোপের শেষ। এটি ইউরোপের উচ্ছেদ। শুধুমাত্র তাৎক্ষণিক ইউরোপীয় পদক্ষেপই রুশ সেনাদের থামাতে পারে”।পারমাণবিক শক্তির উপরে ভিত্তি করে ইউক্রেনের অনেক জায়গায় আলো সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এই আক্রমণের ফলে তাতে বিঘ্ন ঘটেছে(Russia-Ukraine War)।

আরও পড়ুন: এ যেন হিংস্রতারই পরিণতি, বেজিং প্যারালিম্পিক থেকে বিতাড়িত রাশিয়া

১৯৮৬ সালে চেরনোবিল – এ পারমাণবিক বিপর্যয় ঘটে। সাধারন মানুষকে তাদের ঘর ছেড়ে চলে যেতে হয় এই বিপর্যয়ের জেরে। ইঞ্জিনিয়ার এবং কয়েকজন কর্মীর ভুল পদক্ষেপ নেওয়ায় ঘটে এই দুর্ঘটনা। পারমাণবিক রশ্মি এইভাবে ছড়িয়ে পড়ায় সেইসময় চেরনোবিল কেপে উঠছিলো একাধিক বিস্ফোরনের শব্দে। অনেক দেশই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে ইউক্রেনের দিকে। অন্যদিকে রাশিয়াকে ইউটিউব, গুগল প্রভৃতি ডিজিটাল সংস্থা কোণঠাসা করেছে। ন্যাটো দেশগুলো রাশিয়ার আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক লেনদেনে রাশ টেনে ধরতে চাইছে। ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সাথে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ভারত এতাবস্থায় কোনো পক্ষকেই সমর্থন জানায়নি। ভারতের মতে শান্তিপূর্ণ ভাবে কথা বলার মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান হবে।




Leave a Reply

Back to top button