নিজেদের ভেদাভেদেই ছড়াচ্ছে সন্ত্রাস, মসজিদে বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠদের দিকেই উঠছে আঙুল

গতকাল বোমার বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পাকিস্তানের ( Pakistan Mosque ) পেশোয়ারের একটি মসজিদ। তখন মসজিদে সকলেই মগ্ন ছিল নামাজ পড়ার কাজে। হটাৎই যেন কেঁপে উঠল বিশ্ব। এক বিশাল আওয়াজ ফাটিয়ে দিল কানের পর্দা। আর তারপর শুধুই শূন্যতা। চারপাশে পড়ে রয়েছে একাধিক মৃতদেহ। রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে প্রায় ১৯০ কিলোমিটার বা ১২০ মাইল পশ্চিমে – পেশোয়ারের কোচা রিসালদার এলাকায় বিস্ফোরণটি ঘটেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। গোটা ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় পড়শি দেশে। সন্ত্রাসী ( Pakistan Mosque ) হামলা বলেই দাগিয়ে দেওয়া হয় গোটা ঘটনাকে। তবে কী কারণেই বা এই সন্ত্রাস হামলার মুখে পড়তে হল ওই ব্যাক্তিদের? ইতিমধ্যে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিস্ফোরণের মাঝে পড়ে মৃত্যু হয় ৩০ জনের এবং আহত হয় ৫০ জন।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েকবছর ধরেই পাকিস্তানে অত্যাচারিত সংখ্যালঘু ( Pakistan Mosque ) মুসলিমরা। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদ্ধতিতে চলে তাঁদের উপর অত্যাচার। সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে দেখতে গেলে পাকিস্তানে বসবাসকারী অধিকাংশ মুসলিম সুন্নি সম্প্রদায়ের। আর যে মসজিদে এই বিস্ফোরণ হয় সেটি শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের। বিগত কয়েকবছর ধরেই প্রতিবেশী দেশে অত্যাচারিত হয়ে আসছে এই শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলিমরা। ভারতবর্ষের ( Pakistan Mosque ) দলিত সম্প্রদায়ের মতোই তাঁদের বর্তমান পরিস্থিতি। প্রতিটা মুহূর্ত কাটে ভয়ে ভয়ে। এই বুঝি ফের নতুন কোনও সন্ত্রাসের শিকার হতে হল তাঁদের। তবে ইসলাম ধর্মকে আপন করেও নিজেদের মধ্যে কেনই বা এই ভেদাভেদ?
উল্লেখ্য, এক ধর্মকে আপন করেও এক নয় তাঁরা। নিজেদের ধর্মীয় চিন্তার মতভেদের জেরেই তৈরি করে ফেলছে সন্ত্রাস। সুন্নি ও শিয়া মুসলিমদের মধ্যে সন্ত্রাসের ( Pakistan Mosque ) সব থেকে বড় কারণ তাঁদের চিন্তাধারা। সুন্নি সম্প্রদায়রা মনে করেন, আল্লাহ কিংবা মহম্মদ তাঁর কোনও উত্তরসূরি মনোনীত করে যাননি। অপরদিকে, শিয়াদের ধারণা, আল্লাহ কিংবা মহম্মদ তাঁর চাচাতো ভাইকেই তাঁর উত্তরসূরি হিসাবে মনোনীত করে গেছেন।
আরও পড়ুন……আতঙ্ক মিশ্রিত স্বস্তি, বাড়ি ফিরেও ইউক্রেন ফেরত ছাত্রছাত্রীর চোখেমুখে উদ্বেগ
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকবছরে ভারতের দুই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও বাংলাদেশে বেড়ে চলেছে সাম্প্রদায়িক হিংসা। কিছু মাস আগেই বাংলাদেশে হনুমান মূর্তির কোলে কোরান রাখা নিয়ে শুরু হয় উত্তেজনা। আর সেই উত্তেজনা গোটা দেশ জুড়ে রূপ নেয় এক সাম্প্রদায়িক হিংসার। মারধর-দাঙ্গার মধ্যে দিয়ে যেন এক অন্য দেশকে দেখতে পায় ( Pakistan Mosque ) বিশ্ববাসী। একই রূপ দেখা যাচ্ছে ভারতেও। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি আর সেই রাজনীতি মানুষের মনে এমন জায়গা করে নিয়েছে যে সেখান চরমপন্থীদের উত্থান ঘটছে দেশে। দিল্লি দাঙ্গা, কর্ণাটকের হিজাব বিতর্ক ইত্যাদি ইত্যাদি। আর ধর্মের এই বেড়া জালকে এড়িয়ে যেতে পারেনি প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানও। যার ফলাফল গতকালের বিস্ফোরণ।