সারা দেশে লাগানো হবে ১০ লাখ গাঁজা গাছ, উচ্ছাসে মেতেছে মন্ত্রী থেকে আমজনতা

জয়িতা চৌধুরি, কলকাতাঃ আমাদের দেশ ভারতের প্রায়শই সংবাদ মাধ্যমে একটি খবর উঠে আসে। গাঁজা পাচার করতে গিয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে অমুখ। কারন ভারতে গাঁজা ( Marijuana weed) আইনত নিষিদ্ধ। সব সময়ে তা নিয়ে কড়া নজরদাড়িও করে পুলিশ প্রশাসন। একই মহাদেশের অপর প্রান্তে আবার একেবারেই অন্য ছবি। দেশটি আবার ভারতীয় পর্যটকদের বেশ পছন্দের জায়গা। যারা একটু কম খরচে বিদেশ ঘুরতে ভালবাসেন তাদের এক নম্বর পছন্দ ব্যাংকক, থাইল্যান্ড ( Bangkok, Thailand)।
এবার থাইল্যান্ড সরকার নতুন একটি আইন নিয়ে এসেছেন। যেই আইন অনুসারে, থাইল্যান্ডের নাগরিকদের বাড়িতে গাজা চাষের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর এই নতুন আইনকে উদযাপন করার জন্য গোটা দেশের লোককে দেওয়া হয়েছে দশ লক্ষ গাজার চারা। আগামী মাস অর্থাৎ জুন মাসে এই চারা দেওয়ার কাজও পুরো করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনুতিন চারনভিরাকুল।
অনুতিন চারনভিরাকুল আটই মে ফেসবুকে একটি পোস্টে এই পদক্ষেপের কথা ঘোষনা করেন। তিনি চান এটি যাতে থাইল্যান্ডের প্রত্যেকটি বাড়িতে বাড়িতে চাষ হয় এবং গৃহস্তালির ফসল হয়ে ওঠে। স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা করতে পারবেন গাজার চাষ। তবে সেই গাজাগুলিকে হতে হবে মেডিকাল গ্রেডের। যা শুধু ওষুধ তৈরির উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া সরকার আরো জানিয়েছে লাইসেন্স ছাড়া এই গাজা বানিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
আরও পড়ুনঃ ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ফিরছে মির্জাপুর ৩! সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল গুড্ডু ভাইয়া ওরফে আলি ফজলের পোস্ট
উলেখ্য, থাইল্যান্ডের অন্যতম অর্থকরী ফসল হলো গাজা। এই উদ্যোগ ছিল সেটিকে সারা পৃথিবীর সামনে তুলে ধরার একটি প্রচেষ্টা। বিশ্ব ব্যাঙ্কের একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী থাইল্যান্ডের এক তৃতীয়াংশ মানুষ যুক্ত কৃষিকাজের সাথে। যেখানে দক্ষিন – পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে প্রশাসনের তরফে ড্রাগের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়ে থাকে সেখানে থাইল্যান্ডই হলো দক্ষিন – পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ যারা 2018 সালে চিকিত্সা ক্ষেত্রে গবেষণা ও ব্যবহারের জন্য গাজাকে বৈধ করে দেয়।
ইতিমধ্যে, সেই দেশে গাঁজা ঘিরে স্থানীয় আইনগুলি অনেকটাই শিথিল হয়েছে। গত বছর, বিভিন্ন থাই পানীয় ও প্রসাধনী সংস্থাগুলি হেল্প ও সিবিডি যুক্ত পণ্য চালু করার উপর জোর দিয়েছিল। দিয়েছেন থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনুতিন চারনভিরাকুল দশই মে তার ফেসবুকে আরও লেখেন যে, থাই সরকারের কাছে রেজিস্টার করা কম্পানিগুলি গাঁজা পন্য হিসেবে বিক্রি করতে পারে যাতে ০.২ এর কম টেত্রাহাইড্রকনাবিনল বা THC উপস্থিত রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ Rabindra Sarbar: ‘দক্ষিণ কলকাতার ফুসফুস’ রবীন্দ্র সরবর, জানেন কি তার ইতিহাস