ইন্টারনেট বদলে দিল জীবন! ভিক্ষুক থেকে হয়ে উঠলেন মডেল, রইল ছবি

অনীশ দে, কলকাতা: ভাগ্যে যা লেখা আছে তা কি কেউ বদলাতে পারে। আজকের ডিজিটাল যুগে দাড়িয়ে প্রযুক্তির কারণে আমাদের যেমন ক্ষতি হচ্ছে ঠিক তেমনই কয়েকজনের কাছে এই প্রযুক্তি হচ্ছে আশীর্বাদ। একসময় পর্যন্ত রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা ফিলিপাইনের (Philippines) রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ভিক্ষা করতেন রিতা গভিওলা (Rita Gaviola)। কোনওদিন ভাবেননি খ্যাতির কথা। তবে ২০১৬ সালে তোফার নামের এক ফটোগ্রাফার এসে পৌঁছান ফিলিপাইনের (Philippines) লুচেনা শহরের কুইন্টোতে। সেখানেই তিনি দেখতে পান রিতাকে (Rita Gaviola)।
রিতার মুখ দেখে মুগ্ধ হয়ে যান তোফার। এমনকি রিতার একটি ছবিও তোলেন তিনি। যার পরে রিতার জীবন পুরোপুরি বদলে যায়। ওই ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার হতেই সবাই রিতার সৌন্দর্যতা দেখে মোহিত হয়ে পড়ে। এমনকি নানা বিউটি কনটেস্টের বিজেতাদের থেকেও তাকে সুন্দর দেখতে, এমনটাই দাবি করেন নেটিজেনরা। এই ছবির জেরে মাত্র ১৩ বছর বয়সে রিয়ালিটি শোতে অংশগ্রহণ করেন রিতা (Rita Gaviola)। এরপর রিতার জীবনে ঘটতে থাকে আমূল পরিবর্তন।পরবর্তীকালে সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের রূপের ঝলকানি দেখিয়েছেন রিতা (Rita Gaviola)।
নেটিজেনরা তার ছবির জন্যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন। এই মুহূর্তে রিতার ছবি দেখলেই তার উষ্ণতার আঁচ পাওয়ার চেষ্টা করেন যুবকরা। মাত্র কয়েকবছর আগে যে মেয়ে দুবেলা দুমুঠো ভাতের জন্যে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেরিয়েছে সে এখন ফিলিপাইনের যুবকদের রাতের ঘুম কেরেছে। এর থেকে প্রমাণিত হয় অদম্য ইচ্ছে এবং খানিকটা ভাগ্য মানুষের সাথে থাকলে মানুষ সমস্ত অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে পারে। রিতার বাবা মা ছিলেন ময়লা সংগ্রহকারী। মাত্র ৫ বছর বয়সে লুচেনাতে পা রাখে এই কিশোরী।
রিতাকে বাদজাও গার্ল নামেও ডেকে থাকেন অনেকে। বাদজাও সম্রদায়ের মানুষরা সমুদ্রের পাশে বসবাসকারী জাতি। সেখান থেকেই রিতার আগমন তাই তাকে ডাকা হয় এই নামে। ৫ বছর আগে তোফারের তোলা রিতার ছবি ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায় চারিদিকে। এমনকি রিতার কথা সমস্ত নেটিজেনরা জানতে পেরে তাকে আর্থিকভাবে সহায়তা করেন অনেকে। এরপর রিতাকে নানা ফ্যাশন শো এবং রিয়ালিটি শোতে অংশ নিতেও দেখা যায়। ২০২০ সালে নিজের উপার্জিত টাকা দিয়ে বাড়ি বানান রিতা। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সেই সম্পর্কে সবাইকে অবগত করেন রিতা। তবে এই মুহূর্তে তার প্রাথমিক উদ্দেশ্য পড়াশুনা শেষ করা।