নিরাপদ স্থানের খোঁজে এক রত্তি, বিদায়বেলায় বাবা-মেয়ের কান্না দেখে চোখে জল নেটনাগরিকদের

রাশিয়া-ইউক্রেন ( Ukraine-Russia War ) এখন পরিণত হয়েছে রণক্ষেত্রে। একের পর এক বোমার আঘাতে একপ্রকার ধ্বংস স্তূপে পরিণত হচ্ছে ইউক্রেন। দেশবাসীর মনে তৈরি হয়েছে একাধিক চিন্তার মেঘ। প্রাণে বাঁচতে কেউ কেউ পাড়ি দিচ্ছে অন্য দেশে। কেউ কেউ চলে যাচ্ছে দেশের নিরাপদ আশ্রয়ে। এই পরিস্থিতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি নতুন নির্দেশিকায় জানিয়েছেন, ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষরা ( Ukraine-Russia War ) কোনও মতেই এখন দেশ ছাড়তে পারবে না। রাজনীতিবিদদের ধারণা, হয় তো যুদ্ধ পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য দেশের সকল পুরুষদের যুদ্ধে নামাতে পারে ইউক্রেনের সরকার। তবে এই বিষয়ে সরকার তরফে এখনও কোনও নির্দিষ্ট খবর মেলেনি।

গতকাল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে দেখা যাচ্ছে নানা রকম বিস্ফোরণ ও আক্রমণের ছবি ও ভিডিও। তবে এই যুদ্ধ মহড়ার ছবি ছাড়াও এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে আরও একটি ভিডিও। যা মন ছুঁয়ে যায় নেট নাগরিকদের। নেটমাধ্যম ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দেশসেবা ( Ukraine-Russia War ) করতে বাবাকে থেকে যেতে হবে দেশেই। একমাত্র মেয়েকে পাঠিয়ে দিতে হবে নিরাপদ আশ্রয়ে। এই পরিস্থিতিতে বিদায়বেলার আবেগে মেয়েকে জড়িয়ে ধরে বসেন সেই যুবক। নিজেকে শান্ত রাখতে ব্যর্থ হন এবং মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকেন। বাবাকে কাঁদতে দেখে ফুঁপিয়ে ওঠে মেয়েও। তারপর স্ত্রী ও মেয়ে দু’জনকে এক সাথে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে দেখা যায় ওই যুবককে।

ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যম জুড়ে ভীষণ ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে ওই ভিডিও। বাবা ও মেয়ের এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ছুঁয়ে গেছে নেটনাগরিকদের মন। বলা বাহুল্য, যুদ্ধ হচ্ছে অস্ত্রের খেলা। আর সময়ের সাথে সাথে এই অস্ত্রের খেলায় মেতেছে বিশ্বের বিভিন্ন শক্তিগুলি। আর এই খেলার মাঝেই কোথায় যেন হারিয়ে যায় সেই বাসিন্দারা। প্রতিপত্তিশালীরা প্রাণ বাঁচাতে পাড়ি দেন অন্য দেশের আর যার আর্থিক দিক থেকে খানিক দুর্বল তাঁদের ( Ukraine-Russia War ) রণক্ষেত্রেই খুঁজে নিতে হয় এক মুঠো শান্তির স্থান।

আরও পড়ুন..Russia Ukraine Crisis : পড়াশোনার সূত্রে ছেলে রয়েছে ইউক্রেনে, তীব্র আতঙ্কে দিন কাটছে বাংলার মণ্ডল পরিবারের

প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত দ্বিতীয় দিনে পৌঁছল। বৃহস্পতিবার ভোর বেলায় রাশিয়া আক্রমণের পর এই সংঘাত শুরু হয়েছে। প্রথমদিনে সংঘাতের পর ইউক্রেনে ১৬৯ জন সাধারণ মানুষ নিহত বলে খবর পাওয়া গিয়েছে ইউক্রেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রক তরফে।

 




Leave a Reply

Back to top button