Viral News : সামান্য বাড়ির কাজ করতে বলায় বাবার নামে “অবৈধ শিশুশ্রমের” কেস করল নাবালক

বাড়ির কাজে মন বসেনা। হোমওয়ার্ক পড়ে রয়েছে এক কোণে। পড়াশুনায় মন নেই একদমই। সর্বদাই হাতে ফোন নিয়ে চ্যাট থেকে গেম খেলায় বিভুর হয়ে থাকে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর। তার বাবা ঠিক করেন ছেলেকে এই ফোন থেকে দূরে নিয়ে যেতেই হবে। ফলতই তাঁকে ঘরের কাজ করতে বলেন ভদ্রলোক। কিন্তু ছেলে নাছোড়বান্দা । কাজ করবেনা বলে ঘটিয়ে ফেলে এক অদ্ভুত কাণ্ড( Viral News )।
ঘটনাটি ঘটে চলতি সপ্তাহে চীনের আনহুই অঞ্চলের মা’আনশান শহরে। কিশোরের বাবা তার আচরণে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিলেন দিনের পর দিন। ছেলের এই অন্যমস্কভাবের সাথে পড়াশুনার ক্ষতি কিছুই মেনে নিতে পারছিলেন না তারা। তাই ভার্চুয়াল জগৎ থেকে বাস্তব জগতে আনার জন্য তিনি তাঁর ছেলেকে বাড়ির কাজ করতে বলেন।
রীতিমত ক্ষিপ্ত হয় কিশোর। বাড়ি থেকে বের হয়ে বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে সোজা চলে যায় পুলিশ স্টেশনে। আর দায়ের করে ‘অবৈধ শিশুশ্রম’ করানোর কেস। উল্লেখ্য পুলিশকর্তা ওর এই অভিযোগ ঠিকঠাক প্রথমে বুঝতে পারেননি। তাই ঘটনাটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তিনি ছেলেটির সঙ্গে ওদের বাড়ি এসে হাজির হন। এরপরই বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সামনে আসে আসল ঘটনা।
প্রসঙ্গত চীনে গৃহকর্মে বাবা-মাকে সাহায্য করা কোনভাবেই শিশুশ্রমের আওতায় পড়ে না। এজন্যই কিশোরের অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ কর্মকর্তা নিশ্চিত হতে চেয়েছিলেন এর পিছনে আরও অন্য কোনো ঘটনা আছে কি না। কিন্তু আসল ঘটনা বেরোতেই পুলিশকর্তা নিশ্চিত হন যে এটি আদতেই একপ্রকার ভুয়ো অভিযোগ। অবশেষে তিনি উল্টো কিশোরটির বাবা-মাকে পরামর্শ দিয়ে যান যেন কিছুদিনের জন্য কিশোরের কাছ থেকে স্মার্টফোন সরিয়ে রাখেন তারা।
এই ধরনের পরামর্শ শুনে পুলিশের ওপরই উল্টে ক্ষেপে যায় ওই কিশোর; সে বলে ‘আপনার কি মনে হয় আমার এই একটাই মোবাইল ফোন? কী বেকুব আপনি!’বিশেষ সূত্রে পাওয়া এই খবর ইতোমধ্যেই চীনের বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন : Mukesh Ambani : একটি গাছকে বশ করেই ধনকুবের হয়েছেন মুকেশ আম্বানি, জেনে নিন আম্বানি বাড়ির গোপন গাছের কথা