কেজিবি-র গুপ্তচর থেকে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি, একনজরে রহস্যে ঘেরা পুতিনের রাজনৈতিক জীবন

রাজকুমার মণ্ডল : রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি হওয়ার অনেক আগে, ভ্লাদিমির পুতিন ( Vladimir Putin ) একজন কেজিবি গুপ্তচর ছিলেন। কে এই পুতিন? কিভাবে পুতিনে আবির্ভাব? প্রশ্ন রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। বিগত শতাব্দীতে বিশ্বে স্নায়ু যুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে ভ্লাদিমির পুতিনের উত্থানের শুরু। ভ্লাদিমির পুতিন একজন রাশিয়ান রাজনীতিবিদ এবং কেজিবি গোয়েন্দা কর্মকর্তা ছিলেন। ২০১৮ র মে মাসে রাশিয়ার চতুর্থ রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত। পুতিন রাশিয়ার ফেডারেশনকে ১৯৯৯ সাল থেকে তার প্রধানমন্ত্রীর, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বা রাষ্ট্রপতি হিসাবে নেতৃত্ব দেন। দীর্ঘকাল ধরে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির ( Vladimir Putin ) সমান হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। শক্তিশালী সরকারি অফিস, পুতিন আগ্রাসীভাবে রাশিয়ার প্রভাব এবং বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক নীতি করায়ত্ত করেছেন।
ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরভিচ পুতিনের জন্ম ১৯৫২সালের ৭ অক্টোবর, সোভিয়েত ইউনিয়ন লেননিগ্রাদে(বর্তমানে সেন্ট পিটার্সবার্গে, রাশিয়া) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মা, মারিয়া ইভানোভনা শেলোমোভা একটি কারখানা কর্মী ছিলেন এবং তার পিতা ভ্লাদিমির স্পিরিডোনিভিচ পুতিন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সোভিয়েত নৌবাহিনীর সাবমেরিন নৌযানে সেবা করেছিলেন এবং ১৯৫০ এর দশকে একটি অটোমোবাইল ফ্যাক্টরিতে ফোরাম্যান হিসেবে কাজ করেছিলেন। প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার সময় ( Vladimir Putin ) পুতিন চলচ্চিত্রে দেখা সোভিয়েত গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের অনুকরণ করতেন। তিনি জুডোতে ব্ল্যাকবেল্ট এবং একই রকম রাশিয়ার মার্শাল আর্ট স্যামোতেও জাতীয় মাস্টার। সেন্ট পিটার্সবার্গে উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়া শেষ করে জার্মানিতে পড়াশোনা। ১৯৯৬ এ মস্কোতে পদার্পনের পর পুতিন রাশিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলসিনের প্রশাসনিক কর্মীদের সাথে যোগ দেন। পুতিনকে ( Vladimir Putin ) ক্রমবর্ধমান তারকা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ায়, বরিস ইয়েলসিন তাকে ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের(এফএসবি) কেজিবি-এর পোস্ট কমিউনিস্ট সংস্করণ এবং প্রভাবশালী নিরাপত্তা পরিষদের সচিব নিযুক্ত।
আরো পড়ুন Russia:রাশিয়ায় পন্য বিক্রিতে রাশ টানলেন অ্যাপল,নাইকি
শেষবার যখন তিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন, তখন তিনি ৭৬ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট পুতিনের কথায় এমন একটা ইঙ্গিতও স্পষ্ট – রাশিয়া যেন এখনো তাদের প্রেসিডেন্ট পদে নতুন কাউকে দেখার জন্য প্রস্তত নয়। রাশিয়াবাসীর সমর্থন বাক্যে স্পষ্ট, মিস্টার পুতিন তাদের অপছন্দের লোক হলেও তাকে আরও বেশিদিন ক্ষমতায় দেখতে তারা আপত্তি করবেন না। বহু মানুষ তাকে একজন বলিষ্ঠ নেতার চোখে দেখেন। পশ্চিমের দেশগুলোর বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিচ্ছেন ভ্লাদিমির পুতিন । আর এমন কথা নিয়মিতই শোনা যায় যে মিস্টার পুতিনের কোন বিকল্প নেই।