Corona Vaccine- দ্বিতীয় ডোজে অনীহা, সময় পেরলেও এখনও টিকা নেননি ৫ লক্ষের বেশি কলকাতাবাসী
সময় পেরিয়ে যাচ্ছে, কোভিডের দ্বিতীয় ডোজ (Second Dose) নিতে অনীহা (Ignore) প্রকাশ কলকাতাবাসীর। স্বাস্থ্য মন্ত্রক দপ্তর থেকে পাওয়া সূত্রের নিরিখে, বুধবার পর্যন্ত কলকাতার প্রায় ৫ লক্ষ ৩ হাজারের কাছাকাছি মানুষ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও নেননি কোভ্যাক্সিন (Covaxine) বা কোভিশিল্ডের (Covishield) দ্বিতীয় ডোজ। সমগ্র রাজ্যের মধ্যে এমন ঔদাসীন্যতা (irresponsibility) কলকাতাতেই সর্বাধিক লক্ষনীয়। রাজ্যে টিকাকরণের ভারপ্রাপ্ত অসীম দাস মালাকার (Asim Das Malakar) সোমবার এক সাংবাদিক সাক্ষাৎকারে বলেন, “পুরসভাকে আমরা বলেছি, প্রতিটি বাড়ি যেতে। কোনও ভাবেই যাতে কারও দ্বিতীয় ডোজ বাকি না-থাকে, সে জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করতে হবে।”
সূত্র মারফত খবর, ১৮ বছরের বেশি বয়সী শহরের প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ ইতিমধ্যে ডবল ডোজ গ্রহণ করেছে। তবে জেলার ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি মাত্র ৩৫-৪০ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই মোট জনসংখ্যার ৯০ শতাংশের মধ্যে কোভিড ভ্যাকসিনেশনের প্রথম ডোজ সম্পন্ন করেছে। কিন্ত দ্বিতীয় ডোজের পরিসংখ্যান সেক্ষেত্রে অনেকটাই কম।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে দাবী এই বিষয়ে পৌরসভাগুলির (Municipality) আরও বেশি সক্রিয়ভাবে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বাড়ি বাড়ি পৌরসভার কর্মী পাঠিয়ে সমীক্ষা করে টিকাকরণ অসম্পূর্ণ রয়েছে এমন নাগরিকদের খুঁজে বার করার পাশাপাশি পৌরসভা গুলিকে টিকার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে প্রচার করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।চিকিৎসকদের মতামত অনুযায়ী, যাঁদের টিকার দু’টি ডোজই সম্পূর্ণ হয়ে গেছে, তাঁদের শরীরে সে ভাবে সংক্রামিত হচ্ছে না করোনা। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে হোর্ডিং, পোস্টার ও ব্যানার দিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। প্রয়োজনে টিকা অসম্পূর্ণ রয়েছে এমন নাগরিকদের ফোন এবং এসএমএস করে টিকা নেওযার আবেদন জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সোমবার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলছেন, “টিকার জোগান এখন আগের তুলনায় বেড়েছে। কিন্তু এমন কিছু নাগরিক আছেন যাঁদের ধারণা, একটি ডোজই রোগ মোকাবিলায় যথেষ্ট। আবার, কারও টিকার প্রতি ভয় বা অনীহা রয়েছে। ঐ সব নাগরিকদের টিকা কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য যা যা করণীয়, সে সবই আমরা স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশমতো করছি”