ফের ইডির দপ্তরে হাজিরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের, ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু রাজনৈতিক তরজা
তদন্তে সাহায্য করছি ইডির দপ্তরে এক ঘন্টার জেরার পর বেরিয়ে মন্তব্য অভিষেকের

কলকাতা: আজ ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বেলা এগারোটা নাগাদ তাঁর হাজির হওয়ার কথা ইডি দফতরে। যদিও অভিষেকের হাজিরা ঘিরে সকাল থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন।এর আগে, চলতি বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ”এর আগে নিট ফল ছিল জ়িরো। এখন আরও দু’নম্বর কমল। মাইনাস টু। নিট ফল মাইনাস টু।” গত ২০ মে সিবিআই যে দিন অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল, সে দিন প্রায় ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট জেরা করা হয়েছিল তৃণমূল সাংসদকে। নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার সূত্রে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ঠিক ৯ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর ইডির দফতর থেকে বেরিয়েছিলেন অভিষেক।
এরপরেই আবার আজ নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে ফের তাঁকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তে সহযোগিতা করতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক যে হাজিরা দেবেন, তা আগেই দলীয় সূত্র খবর ছিল। সেই মতো বৃহস্পতিবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির (Enforcement Department) দপ্তরে উপস্থিত হলেন তিনি। এদিন বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ কালো গাড়িতে চেপে কালীঘাট থেকে রওনা দেন অভিষেক। বেলা ১১টা ৫ মিনিটে নাগাদ পৌঁছে যান সিজিও কমপ্লেক্সে। তার আগেই ইডি দপ্তর চত্বর নিরাপত্তা চাদরে মুড়ে ফেলা হয়। আগে থেকেই ইডি দপ্তরে হাজির হয়েছে মামলার তদন্তকারী অফিসাররা। মূলত শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা, কুন্তল ঘোষের চিঠি নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে খবর।
এদিন জিজ্ঞাসাবাদের পর এক ঘণ্টার মধ্যে বাইরে আসেননি অভিষেক। আগের বার অভিষেককে টানা ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। তার আগেও কখনও ৬ ঘণ্টা, কখনও বা ৮ ঘণ্টা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জেরার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। সিজিওর বাইরে অপেক্ষারত নিরাপত্তারক্ষী এবং সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা তাই ভাবতেই পারেননি এমন হতে পারে। আচমকাই অভিষেককে ওই ভাবে হেঁটে বাইরে বেরোতে দেখে ছুটে যান তাঁরা। জানতে চান, তবে কি জেরা এর মধ্যেই শেষ হয়ে গেল! জবাবে অভিষেক বলেন, ‘‘ওঁরা তথ্য চেয়েছিলেন। আমি ওঁদের ৬০০০ পাতার নথিপত্র জমা দিয়ে এসেছি। ওঁরা বলেছেন, এত নথি দেখতে সময় লাগবে। দরকার পড়লে আপনাকে আবার ডেকে পাঠাব।’’ অর্থাৎ, আপাতত অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না বৃহস্পতিবার। ফলে এক ঘণ্টার মধ্যে সিজিও দফতরের কাজ মিটেছে তাঁর এবং তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি তদন্তে বরাবর সহযোগিতা করেছি। চাইলে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক নথি পাঠিয়ে দিয়ে দায় সারতে পারতাম। কিন্তু আমার লুকোনোর কিছু নেই। ওরা মাত্র দু’দিন আগে আমাকে নোটিস পাঠিয়ে নথি নিয়ে সশরীরে হাজির হতে বলেছিল। তাই আমি আজ নথি নিয়ে এসেছিলাম। ভবিষ্যতেও যত বার ডাকবে, তত বার আসব।’’