বিজেপি নেতারা দেখতে ভালো নয় তাই তাদের বান্ধবী নেই, কটাক্ষের সুর মদন মিত্রের গলায়
সব পাখি মাছ খেলেও দোষ হয় মাছরাঙার, বান্ধবী প্রসঙ্গ টেনে জ্যোতিপ্রিয় ও মদন মিত্রকে এক হাত নিলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ

“সব পাখিতেই মাছ খায় দোষ হয় শুধু মাছরাঙার” বনমন্ত্রী জ্যোতপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতারের পর তৃণমূল নেতা মদন মিত্র কে কটাক্ষ করে এমনটাই মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ।
প্রসঙ্গত, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরে আবার আতশকাচের তলায় উঠে আসছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়-অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ। এ তথ্য ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে যে, রেশন দুর্নীতিতে মূল অভিযুক্ত বাকিবুর রহমান প্রযোজিত ছবিতে অভিনয় করেছিলেন পার্থের বান্ধবী অর্পিতা। জ্যোতিপ্রিয় (বালু) গ্রেফতার হওয়ার পর জানা যাচ্ছে, শুধু অভিনয়ই নয়, অভিনেত্রী বান্ধবীকে ভোটের রাজনীতিতেও আনতে চেয়েছিলেন তৃণমূলের তৎকালীন মহাসচিব পার্থ। বালু গ্রেফতার হওয়ার পরে বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে আবার আলোচনা শুরু হয়েছে। যদিও প্রকাশ্যে কেউই এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। কিন্তু বালুর ঘনিষ্ঠেরা জানাচ্ছেন, উত্তর ২৪ পরগনার একটি পুরসভা থেকে অর্পিতাকে প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন পার্থ। কিন্তু সেই উদ্যোগে জল ঢেলে দেন বালু। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্যের ১০০টির বেশি পুরসভায় পুরভোট হয়েছিল। সেই পুরভোটে কামারহাটি পুরসভার একটি ওয়ার্ড থেকে অর্পিতাকে প্রার্থী করতে চেয়ে দলের কাছে দরবার শুরু করেছিলেন পার্থ। যদিও ওই উদ্যোগ শুরু হয়েছিল পুরভোটের অনেক আগে থেকেই। নির্বাচনে লড়ার জন্য কামারহাটি পুরসভা এলাকার ভোটারও হয়েছিলেন অর্পিতা। প্রার্থীতালিকা ঘোষণার আগে পর্যন্ত বান্ধবীর টিকিটের জন্য চেষ্টা চালিয়েছিলেন পার্থ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সফল হননি। কারণ— জ্যোতিপ্রিয়। এদিন এ বিষয়ে নিয়ে কটাক্ষ করতে গিয়ে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন তৃণমূলের প্রত্যেক নেতা মন্ত্রীর বান্ধবী রয়েছে তবে নাম ওঠে শুধুমাত্র মদন মিত্রের! বলতে গেলে সব পাখিতেই মাছ খায় তবে দোষ হয় শুধু মাছরাঙ্গারই। এদিন তিনি কটাক্ষ সুরে বলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক মদন মিত্রকে ছাপিয়ে গিয়েছে তার তো প্রতিটি জায়গায় একটি করে বান্ধবী রয়েছে এবং তারা সকলেই কাউন্সিলর এক কথায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় তার বান্ধবীর জন্য যা করতে পারেনি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তা করে দেখিয়েছে প্রত্যেক বান্ধবী জন্য তাদের করে খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে বলে কটাক্ষের সুর তোলেন তিনি।
মূলত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্যের ১০০টির বেশি পুরসভায় পুরভোট হয়েছিল। সেই পুরভোটে কামারহাটি পুরসভার একটি ওয়ার্ড থেকে অর্পিতাকে প্রার্থী করতে চেয়ে দলের কাছে দরবার শুরু করেছিলেন পার্থ। যদিও ওই উদ্যোগ শুরু হয়েছিল পুরভোটের অনেক আগে থেকেই। নির্বাচনে লড়ার জন্য কামারহাটি পুরসভা এলাকার ভোটারও হয়েছিলেন অর্পিতা। প্রার্থীতালিকা ঘোষণার আগে পর্যন্ত বান্ধবীর টিকিটের জন্য চেষ্টা চালিয়েছিলেন পার্থ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সফল হননি। কারণ— জ্যোতিপ্রিয়। এদিকে সজল ঘোষের এই মন্তব্য কে ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর তরজা এ বিষয়ে মদন মিত্র কটাক্ষের সুরে বলেছেন “বিজেপির কোন নেতাই দেখতে ভালো নয় তাই তাদের কোন বান্ধবী নেই থাকলে এরকম মন্তব্য করতেন না, কারণ বান্ধবী থাকাটা কোন দোষের নয় যদি বন্ধু থাকতে পারে তাহলে বান্ধবী থাকতে নেই কেন রীতিমতো কটাক্ষের সুর চরিয়ে বলেন আসলে দেখতে ভালো নয় তাই বান্ধবী জোটে না এরকম দুদিনের উটকো লোকের কথায় তার কোন যায় আসে না বলেও এদিন জানান তিনি।” জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে চাপানউত্তর তৈরি হয়েছে। তারই মাঝে মদন মিত্র ভার্সেস সজল ঘোষের এই বাক-বিতন্ডা রাজনৈতিক মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।