ঘর গেল রাহুল-দিলীপের, শোরগোল রাজ্য নেতাদের মধ্যে

দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহা দীর্ঘদিন রাজ্য বিজেপির সভাপতি থেকেছেন। দিলীপ ঘোষের সভাপতিত্বেই রাজ্য বিজেপির উত্থান ঘটে। দিলীপ ঘোষ বিজেপির সর্বভারতীয় পদও সামলেছেন। কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি থেকেছেন তিনি

শুভঙ্কর, কলকাতা: রাজ্য বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল এবার একদম প্রকাশ্যে চলে এল। ঝামেলা নিচু তলার কর্মী সমর্থকদের মধ্যে নয়। সরাসরি রাজ্য বিজেপির উচ্চ নেতৃত্ব ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে গেল। ঘটনার সূত্রপাত সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষদের রাজ্যের সদর দপ্তর নিয়ে। ৬ নম্বর মূলরিধর সেন রোডে এ রাজ্যে বিজেপির প্রধান কার্যালয়। সেই কার্যালয়ে দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহাদের নিজস্ব একটি করে ঘর রয়েছে। সেই ঘরই এবার ছাড়তে হবে দিলীপ ও রাহুলকে। যানিয়ে দলের অন্দরেই বিভিন্ন কানাঘুষো শুরু হয়েছে। তবে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কোন গোষ্ঠী কোন্দল বা অন্য কোন বিষয় মানতে নারাজ। তিনি বলেন, “সংস্কারের জন্য তাদের ঘর ছাড়তে হয়েছে। আমার ঘরও ভাঙ্গা হবে”।

দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহা দীর্ঘদিন রাজ্য বিজেপির সভাপতি থেকেছেন। দিলীপ ঘোষের সভাপতিত্বেই রাজ্য বিজেপির উত্থান ঘটে। দিলীপ ঘোষ বিজেপির সর্বভারতীয় পদও সামলেছেন। কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি থেকেছেন তিনি। রাহুল সিনহাও কেন্দ্রীয় কমিটির অংশ ছিলেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন বর্তমানে এই দুই নেতার প্রাসঙ্গিকতা কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই আবহেই এবার রাজ্য বিজেপির প্রধান কার্যালয়ের দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহারকে ঘর ছাড়া হতে হল। কার্যালয়ের একতলাতেই রয়েছে রাহুল ও দিলীপ ঘোষের ঘর। সেখানেই কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করেন তারা। সম্প্রতি দিলীপ ঘোষ নিজের ঘরে গিয়ে দেখেন তার এসির প্লাগ খোলা রয়েছে। যা নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলে জানা গেছে। জানা যাচ্ছে দিলীপ ও রাহুলের ঘরগুলোকে অন্য কাজে ব্যবহার করা হবে। কেন্দ্রীয় পর্যপক্ষের সিদ্ধান্তেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি এক বিজেপি নেতার। এই নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কাছে অভিযোগও জানিয়েছেন দলের সংখ্যালঘু মোর্চার প্রাক্তন সহ-সভাপতি শামসুর রহমান।

Sukanta Majumdar,Dilip Ghosh,Rahul Sinha,BJPএই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল শোরগোল শুরু হয়েছে দলের অন্তরে। দিলীপ-রাহুল ঘরছাড়া বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। এই বিষয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ কাউকে ঘরছাড়া করার কোনও বিষয় নেই। মূলত সংস্কারের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমার ঘরও ভাঙ্গা হবে। ওখানে আইটি সেলের বিশেষ ঘর তৈরি করা হচ্ছে”।




Leave a Reply

Back to top button