“মুসলিমদের নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে” জয়নগর হত্যাকাণ্ড নিয়ে মন্তব্য দিলীপের
নিউটনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে বেরিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় একাধিক ইস্যুইকে কেন্দ্র করে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন বিজেপি সাংসদ।

কলকাতা: বগটুই কান্ডের ছায়া জয়নগরে। এক তৃণমূল নেতার হত্যাকে কেন্দ্র করে জ্বালিয়ে দেওয়া হল একটি গোটা গ্রাম। রেশন দুর্নীতির পর এবার এই জয়নগর কাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপি নেতা, তথা মেদিনীপুরের সাংসদ, দিলীপ ঘোষ। শুধু তাই নয়, অনুব্রত মণ্ডল ও মহুয়া মৈত্রকে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার জন্য শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষও করেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে, নিউটনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে বেরিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় একাধিক ইস্যুইকে কেন্দ্র করে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন বিজেপি সাংসদ।
জয়নগরে, উন্মত্ত জনতার মারে মৃত্যু হয় তৃণমূল নেতা সাইফুদ্দিন লস্করের। মৃত তৃণমূল নেতার বাবার অভিযোগের আঙ্গুল ওঠে সিপিএমের দিকে। এরপর দলুয়াখাঁকি গ্রামে একের পর এক সিপিএম নেতা-কর্মীর বাড়িতে চালানো হয় ভাঙচুর। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, “দেখুন এগুলো শুধু আজ নয়, বহুদিন ধরেই চলছে। বীরভূমের একাধিক জায়গায় এরকম ঘটনা ঘটেছে। আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে মুসলিম সমাজকে টার্গেট করা হচ্ছে। ওদের নিজেদের মধ্যে লড়াই আর সেটা নিয়ে রাজনীতি করে বেড়াচ্ছে তৃণমূল। ওদের শুধু ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের নেতা বানিয়ে দেয়া হচ্ছে আর ওরা নিজেদের ইচ্ছেমতো যা খুশি তাই করে বেড়াচ্ছে। সরকার সংরক্ষণ পাচ্ছে। একের পর এক গ্রামও জ্বলছে। বগটুইতেই এমন হয়েছিল। সরকার কোথায়? মুখ্যমন্ত্রী কোথায়?”
এছাড়াও গতকাল তৃণমূলের সংগঠনিক রদবদল নিয়েও মুখ খোলেন বিজেপি সাংসদ। ধৃত তৃণমূল নেতা, তথা বীরভূম জেলা সভাপতি, অনুব্রত মণ্ডল এবং কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য, “দেখুন তৃণমূলের একমাত্র সফল জেলা সভাপতি বলতে অনুব্রত মণ্ডলই। ও সবকিছুই লুট করে পার্টিকে সুবিধা দিয়েছে। ওই দিদিকে বড় করেছে। সুতরাং ওকে ঝেড়ে ফেলতে তো সময় লাগবেই।” মহুয়া মৈত্রর সম্বন্ধে তিনি জানান, “দেখুন ওনার পার্টি ভাবছে সাংসদ পদ তো এমনিই চলে যাবে তাই কিছু দিয়ে রাখি নাহলে তো যেকোনো মুহূর্তে পার্টি ছেড়ে চলে যেতে পারে।”
এছাড়াও এদিন দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হয় বাবুল সুপ্রিয়র বিজেপিতে ফেরা এবং সৌমিত্র খানের মন্তব্য সম্পর্কে। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, “দেখুন উনি ভালো একজন গায়ক, তবে রাজনীতিতে উনি একেবারেই সুরে গান না। এরা পলিটিক্যাল টুরিস্ট। এদের নীতি, আদর্শ বলে কিছুই নেই। দল এদের প্রয়োজন মতো নেয়, আবার সময় হলে ছেড়েও দেয়।” অন্যদিকে সৌমিত্র খানের লোকসভা নির্বাচনে ২৩টি আসন পাওয়ার মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি জানান, “দেখুন উনি আগে বলেছিলেন ৪ আর এক মাসের মধ্যে হয়ে গেছে ২৩। মানতেই হবে বিজেপি ঠিক দিকে এগোচ্ছে।”