Durga Puja 2022: মাঠে কাশফুলেদের ভিড়, আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ! জানেন কি এবার মর্ত‍্যে কীসে চড়ে আসছেন দশভুজা?

জয়িতা চৌধুরি,কলকাতাঃ হাতে গোনা আর কয়েকটা মাত্র দিন। তারপরই কাঠি পড়বে ঢাকে। বাঙালীদের চলছে ঊর্ধ্বশ্বাসে পুজোর কেনাকাটা। গড়িয়া হাট, হাতিবাগান বা বড়বাজারের মতো জায়গাগুলোতে পা ফেলার জো নেই! অনেক বাঙালী আবার পুজোর সময় ঘুরতে যান বাইরে। তারও তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই। মোদ্দা কথা হল, প্রস্তুতি চলছে জমজমিয়ে।

durga puja 1

ইতিমধ্যেই পুজো কমিটিগুলো সেরে ফেলেছে খুঁটি পুজোর রেওয়াজ। এবারের পুজো অক্টোবরের দোরগোড়ায় হওয়ার দরুন হাতে বেশি সময়ও নেই। মণ্ডপ সজ্জার জন্য বাঁশ বা অন্যান্য সরঞ্জামও আসছে একে একে। চারিদিক দেখলেই বোঝা যাচ্ছে মায়ের আগমনের প্রস্তুতি চলছে। অবাঙালীদের আবার মহালয়ার পরদিন থেকেই শুরু করে দেয় নবরাত্রি পালন। এবছরের মহালয়া পড়েছে ৮ই আশ্বিন। ইংরেজী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২৫শে সেপ্টেম্বর, রবিবার। আর দুর্গাষষ্ঠী দিনসূচী ১৪ই আশ্বিন অর্থাৎ ১লা অক্টোবর, রবিবার।

durga puja 2

পঞ্জিকা মতে, এবার দেবী আসছেন গজে। কথিত আছে, ফলস্বরূপ নাকি শস্যশূন্য হবে আমাদের এই বসুন্ধরা। পরদিন ১৫ আশ্বিন। মহাসপ্তমী। এবছর সপ্তমী থাকবে সন্ধ্যা ৬ টা ২২ অবধি। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও সপ্তমীর দিন থাকে নানা বাঙালী রেওয়াজ যেমন নবপত্রিকা স্নান, দুর্গাপুজোর ঘটস্থাপন, সপ্তমীবিহিত পূজা প্রভৃতি। ৩ অক্টোবর, ১৬ আশ্বিন, সোমবার মহাষ্টমী। সকাল ৯টা ২৯-র মধ্যে শেষ করতে হবে বীরাষ্টমী পালন ও মহাষ্টমীর উপবাস। এদিন বিকেল ৪টা পর্যন্ত থাকবে মহাষ্টমী। সন্ধিপূজার সময়ক্ষন ৩টা ৩৬ নাগাদ। এই সময়ই দেবী কালিকা এবং মহিষমর্দ্দিনী দেবীর আবির্ভাব। সন্ধিপূজা শেষ বিকেল ৪টা ২৪ এর মধ্যে।

durga puja 3

মঙ্গলবার পড়ছে মহানবমী। এদিন নবমী থাকবে দুপুর ১টা ৩৪ এ। পঞ্জিকা মতে, এদিন সকাল ৮টা ২৮-এর মধ্যে বীরাষ্টমী ও মহাষ্টমী ব্রতের পারণ শেষ হবে। মহানবমীবিহিত পূজা এবং দেবীর নবরাত্রিক ব্রত সমাপ্ত হবে ওই দিন। আর তারপরই বিজয়া দশমী। সকাল ৮টার মধ্যেই শেষ করতে হবে দশমীবিহিত পূজা ও বিসর্জন। চিরাচরিত রীতি মেনেই এরপর হবে অপরাজিতা পূজা। আর তারপর দেবী গমন করবেন নৌকোয়। পঞ্জিকা মতে, দেবীর নৌকোয় গমন নাকি প্লাবনের ইঙ্গিত।

durga puja 4

প্রসঙ্গত, এক একটি পঞ্জিকায় এক এক প্রকার সময়ের উল্ল্যেখ থাকে। কেউ কেউ দিকসিদ্ধান্ত কেউ আবার বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকার নিয়ম মেনে দেবী বন্দনার সময়সূচী ঠিক করেন। সন্ন্যাসীরা মূলত বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা সময়সূচী মেনে চলেন। আর সেই কারণেই অন্যান্য পুজোর সঙ্গে বেলুড় মঠ-সহ বিশেষ করে বিভিন্ন আশ্রমের পুজোর সঙ্গে বারোয়ারি পুজোর সময়ের সামান্য হেরফের লক্ষ্য করা যায়।




Back to top button