আশঙ্কায় সত্যি হলো ! মহানবমীতে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়
পুজোর মধ্যেই ঘনিয়েই আস্তে চলেছে ঘূর্ণিঝড়

চোখ রাঙাচ্ছে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়। জানা যাচ্ছে , বিশালাকার রূপ নেবে এই ঘূর্ণিঝড় । গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগরে । এছাড়াও আবহাওয়ায় দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিয়ে এটি সুন্দরবন এলাকায় দিকে প্রস্থান করবে । ঠিক পুজোর শেষেই কি এই ঘূর্ণিঝড় মাটি করবে সবকিছুকে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে মানা করছে প্রশাসন কর্তপক্ষ।
এছাড়াও আবহাওয়াবিদরা নজরে রাখছেন,এই নিম্নচাপটিকে। আজ মধ্য বঙ্গোপসাগরে রিজার্ভ করবে গভীর নিম্নচাপ। শেষপর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিম ভাগে না পূর্ব ভাগে যায় তার জন্য সতর্ক থাকছেন প্রশাসন সহ আবহাওয়া দফতর।
পুজোর মধ্যেই এমন দুর্যোগের বার্তার দরুন দশমী ও একাদশীর দিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নিষেধ করা হয়েছে । নিম্নচাপের হানায় রাজ্যের উপকূলে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। উপকূলের জেলায় হালকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে। আজ অষ্টমী পর্যন্ত রাজ্যে উত্তর পশ্চিমের শীতল হাওয়ার প্রভাব। রবিবার পর্যন্ত পরিষ্কার আকাশ থাকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে বৃষ্টির হানা পুজোতে সোমবার অর্থাৎ নবমীর দিন থেকেই হবে বলে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড়টি বাক নিচ্ছে উত্তর – পশ্চিম দিকে।উত্তর বঙ্গোপসাগরে এটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় কিনা সেদিকেই নজর রাখছেন আবহাওয়াবিদরা।
আপাতত আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা দেখেছেন অভিমুখ হবে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন উপকূল। বাংলাদেশের পশ্চিমভাগে না পূর্বভাগে যায় তার উপর নির্ভর করছে আমাদের রাজ্যে বৃষ্টি ও ঝড়ের পরিমাণ কতটা বাড়বে। এই নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণা বাতাসে ভর করে জলীয় বাষ্প ঢুকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে উপকূলের জেলাগুলিতে। সমুদ্র উত্তল হবে উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া বইবে।
আপাতত এই গভীর নিম্নচাপ ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং দিঘা থেকে ৭৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৯০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।
এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ তেজ ‘। আরব সাগরের গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ পশ্চিম আরব সাগরেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত।এছাড়াও জানা গেছে, উত্তর – পশ্চিম দিকে ঢুকছে এই ঘূর্ণিঝড়টি।
এছাড়াও আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এই ঘূর্ণিঝড়টির অভিমুখ মূলত ওমান ইয়েমেনের স্থলভাগে। উত্তরবঙ্গে আজ থেকে শুষ্ক আবহাওয়া। আপাতত সাতদিন বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।দশমী একাদশীর দিন হালকা বৃষ্টির খুব সামান্য সম্ভাবনা থাকবে পার্বত্য এলাকায়।
দক্ষিণবঙ্গে আপাতত মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশ।কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগণা, ও পূর্ব মেদিনীপুর মেঘলা আকাশ হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। বেশি বৃষ্টি হবে উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে।
দশমীর পরেও দু-তিন দিন আবহাওয়া একই রকম থাকতে পারে। দ্বাদশীতে বেশ কিছু জেলাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা। পূর্ব মেদিনীপুর উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, নদিয়ায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা।
কলকাতায় সোমবার সকাল পর্যন্ত মেঘমুক্ত পরিস্কার আকাশ। উত্তরে হওয়ার প্রভাব মনোরম আবহাওয়া। বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই।সোমবার থেকে হাওয়া বদল; বেলার দিকে মেঘলা আকাশ হবে। সোমবার বিকেল বা রাতে এবং মঙ্গলবার দশমীর দিন এবং বুধবার কয়েক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতায়। বৃহস্পতিবারেও আংশিক মেঘলা আকাশ।
কলকাতায় আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রা। বাতাসের জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৪৫ থেকে ৮৬ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।
ঝড় বৃষ্টি হতে পারে আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা। আজ পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। কেরল ও মাহেতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা।
তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, করাইকালে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। দশমী একাদশীর দিন বৃষ্টি হতে পারে নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরা-সহ উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। শুধুমাত্র দক্ষিণ ভারতের কেরল ও সংলগ্ন এলাকা ছাড়া আর কোথাও বৃষ্টির সেভাবে কোন সম্ভাবনা নেই। রবিবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকলে উত্তর-পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকার রাজ্যগুলিতে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে।