KMC Result 2021: ববি, মালা, নাকি তৃতীয় কেউ, পুরভোট মিটতেই প্রশ্ন উঠলো মেয়র পদ নিয়ে

ভোট প্রচারকালীন ৭৮ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী মালা রায়কে পরবর্তী মেয়র(Mayor) হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, তাঁর জবাবে তিনি সাফ জানিয়েছিলেন, “দল জানে আর ঈশ্বর জানে।” পাশাপাশি, ভোট প্রচারে বেলেঘাটা সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) প্রাক্তন মেয়র(Former Mayor) ও ডেপুটি মেয়রের(Deputy Mayor) নাম করে বলেছিলেন, “ববি আর অতীন, তোমরা দেখে নিও আর যেন জল না জমে, কলকাতায় ২০০টা আরও পাম্পিং স্টেশন করতে হবে।” মুখ্যমন্ত্রী এই উক্তির পর দলের অন্দরে শুরু হয়ে গিয়েছিল ফিসফাস। প্রশ্ন জাগছিল, তাহলে কি আবারও মেয়র ও ডেপুটি মেয়র পদে বসতে চলেছেন ববি ও অতীন?
এবারের পুরভোটে তৃণমূলের অবশ্যম্ভাবী তা সকলেই জানত। কিন্তু আলোচ্য বিষয় ছিল কে হবেন আগামী মেয়র(Mayor)। কারণ, তৃণমূল(TMC) তরফে আগাভাগেই ঘোষণা করা হয়েছে এক ব্যাক্তি এক পদ। সেদিক থেকে ববি হাকিম(Bobby Hakim) মন্ত্রী হয়েছেন। কলকাতা পুরভোটে যেদিন তৃণমূল প্রার্থী ঘোষণা করেছিল সেদিন তৈরি হয়েছিল এক বিশাল টানটান উত্তেজনা সম্পন্ন পরিস্থিতি। ববি হাকিম, অতীন ঘোষ, দেবাশিস কুমাররা প্রার্থী দেবেন হবেন কি না তা ঠিক ছিল না তবে শেষমেশ দেখা যায় বিধায়ক, মন্ত্রী, সাংসদ সবাই প্রার্থী হয়েছেন। ব্যাতিক্রম শান্তনু সেন।
প্রার্থী নির্বাচনের পরই একটি প্রশ্ন মাথা চাগাড় দিয়ে ওঠে তা হল, অবশেষে তৃণমূল কি নিজেরাই এক ব্যাক্তি এক পদ সিধান্ত খন্ডন করবে? এরই মাঝে এও শোনা গিয়েছিল বাবুল সুপ্রিয়(Babul Supriyo)-কে প্রার্থী করতে চায় দল। তবে তা হয়নি। এরপর গুঞ্জন ওঠে হয়তো মালা রায়(Mala Roy)-কে মেয়র করে দিয়ে সকলকে চমকে দিতে পারে মুখ্যমন্ত্রী(Chief Minister)। দেখাতে পারেন নারী ক্ষমতায়নের পক্ষে তিনি কতটা উদার। দলের মধ্যে কেউ কেউ এও যুক্তি দেন যে, মন্ত্রী হয়ে ববি যদি মেয়র হতে পারেন, তা হলে মালা রায় নন কেন? আবার, ইতিমধ্যে অনেকে বলেন ববিকে সরালে সংখ্যালঘুদের মধ্যে অন্য বার্তা যেতে পারে, তাই দিদি তা করবেন না।
আরও পড়ুন……KMC Result 2021: রামের ভোট এবার বামে, শূন্যের দুঃখ ভুলে এবার দ্বিতীয় স্থানে সিপিএম
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সারা তৃণমূলে একটিই জল্পনা, কে হবে পরবর্তী মেয়র? এদিন দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পরবর্তী বোর্ডের ব্যাপারে যা সিধান্ত হওয়ার ২৩ তারিখ হবে। পাশাপাশি, পর্যবেক্ষকদের মতে, এসব ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগে থেকে বোঝা বড় মুশকিল। যেভাবে তিনি জহর সরকার, সুস্মিতা দেব এবং লুইজিনহো ফেলেইরোকে পর পর রাজ্যসভায় পাঠানোর সিধান্ত নিয়েছেন তাতে কে বলতে পারেন কলকাতায় কোনও নতুন মুখ কে এনে চমকে দেবে না?