Kolkata Metro Rail : মেট্রোতে বসেই মিলবে চা-পানি, সরকারের নতুন উদ্যোগে হতবাক রাজ্যবাসী

প্রত্যুষা সরকার, কলকাতা: চা মানেই বাঙালির বাঙালির এক ঐতিহ্য। সকাল বেলা চা না হলে দিন টা জেন শুরুই হয় না। সারা দিনের কাজের ফাঁকে এক কাপ চা। এবার এই চায়ের মজা নিতে পারবেন মেট্রোতে ( Kolkata Metro Rail ) বসেই। কলকাতা মেট্রোরেলে শুরু হল চা ও কফির ব্যবস্থা। কলকাতার এলাচি, মুম্বাইয়ে মাশালা, নাগপুরের নিম্বু সবই মিলতে চলেছে কলকাতা মেট্রোরেলে। সাথে পাওয়া যাবে নানা রকম কফিও।

মেট্রো স্টেশনে এতদিন বিভিন্ন খাবারের স্টল দেখা গেলেও আমার মিলবে চা ও কফি। বসানো হবে কফির ভেন্ডিং মেশিন। মেট্রো ( Kolkata Metro Rail ) রেলওয়ে সংবাদ মাধ্যম মেসার্স চেরিস স্বতন্ত্র প্রাইভেট লিমিটেডের সাথে এই কাজটি করেছে। এই ওয়ান স্টাইপ বেভারেজ স্টলে মিলবে বিভিন্ন ধরনের চা, সাথে মিলবে মাদ্রাজ কফিও। আপাতত দমদম, ময়দান এবং কালিঘাটে মেট্রো স্টেশনে মিলবে এই সুবিধা। তবে পরবর্তীতে অনান্য স্টেশন গুলিতেও এর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা গেছে।

Kolkata Metro Rail

এর আগে প্রায় ১১টি মেট্রো ( Kolkata Metro Rail ) স্টেশনে পাওয়া যেত মোমো। ইতিমধ্যে ২টি স্টেশনে খুলেছে কাটলেট, স্যান্ডউইচ, সিঙারা, চপ, চা, কফি, কেক, বিস্কুট পাওয়া যাবে। ন’টি স্টেশনে আছে হালকা পানীয়ের স্টল। দু’টি স্টেশনে মিলবে আইসক্রিম। এমনকি দু’টি স্টেশনে বসানো হচ্ছে পিৎজার স্টলও। কলকাতা মেট্রো সফরে শুরু ও শেষে এবার মিলবে কিছু না কিছু পছন্দের খাবার ও পানীয়। মেট্রো সূত্রে খবর, এই ব্যবস্থা গুলির জন্য সংস্থাগুলিকে তিন বছরের লাইসেন্স দেয়া হয়। ট্রেন আসার আগে যাত্রীরা টুকটাক মুখ চালানোর জন্য অথবা অফিস বা বাড়ির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন মুখরোচক খারাব। তাকা ফেললেই মিলবে আপনার মনের মতো খারার। এই ব্যবস্থায় টাকার মুখ দেখছে মেট্রো কতৃপক্ষ। নতুন সংযোজনে এবার মিলবে পানীয়।

কলকাতা মেট্রো হল একটি দ্রুত ট্রানজিট সিস্টেম। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত, এটির দুটি অপারেশনাল লাইন রয়েছে, দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত একটি ৩১.৩৬ কিমি) লাইন এবং আর একটি সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে ফুলবাগান পর্যন্ত ৬.৯ কিমি। আরও চারটি লাইন নির্মাণের বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ শুরু করার কথা চলছে। কলকাতা মেট্রো ভারতের প্রথম পরিকল্পিত এবং কার্যকর দ্রুত ট্রানজিট ব্যবস্থা । এটি প্রাথমিকভাবে ১৯২০-এর দশকে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, কিন্তু ১৯৭০-এর দশকে নির্মাণ শুরু হয়েছিল। ভবানীপুর (বর্তমানে নেতাজি ভবন ) থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত প্রথম ভূগর্ভস্থ প্রসারিত। অন্যদিকে পূর্ব-পশ্চিম করিডোর, ২০২০ সালে খোলা হয়েছিল। এটি দিল্লি মেট্রো , হায়দ্রাবাদের পরে ভারতের পঞ্চম-দীর্ঘতম অপারেশনাল মেট্রো নেটওয়ার্ক। ২৯ ডিসেম্বর ২০১০-এ, মেট্রো রেলওয়ে, কলকাতা, ভারতীয় রেলওয়ের ১৭ তম জোনে পরিণত হয় , যা সম্পূর্ণরূপে মালিকানাধীন এবং রেল মন্ত্রকের অর্থায়নে থাকে। এটি দেশের একমাত্র মেট্রো যা ভারতীয় রেল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। কলকাতা মেট্রো ভারতের প্রথম পরিকল্পিত এবং কার্যকর দ্রুত ট্রানজিট ব্যবস্থা ।

আরও পড়ুন – জার্সি উন্মোচনে চমক নতুন ও পুরানো দলে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে টেক্কা গুজরাট টাইটান্সের

মেট্রো করিডোরের মাস্টার-প্ল্যানটি ১৯৭১ সালে উত্তর-দক্ষিণ করিডোরের সাথে তৈরি করা হয়েছিল, যা বিধাননগরের অফিস জেলাকে যমজ শহর এবং পরিবহন কেন্দ্র হাওড়ার সাথে শহরের আরেকটি পরিবহন হাব, শিয়ালদহ এবং কেন্দ্রীয় ব্যবসায়িক জেলা এসপ্ল্যানেডের সাথে সংযুক্ত করে। একটি ডুবো মেট্রো লাইন দ্বারা। স্বায়ত্তশাসিত কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন(KMRC) প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য গঠিত হয়েছিল। ভারত সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রত্যেকেরই এতে অর্ধেক অংশ ছিল। পরে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার এটি থেকে প্রত্যাহার করে এবং শেয়ারগুলি রেল মন্ত্রকের কাছে হস্তান্তর করা হয় ।

আরও পড়ুন – জার্সি উন্মোচনে চমক নতুন ও পুরানো দলে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে টেক্কা গুজরাট টাইটান্সের




Leave a Reply

Back to top button