Kolkata model raped- কলকাতার মডেলকে ধর্ষণ হবু স্বামীর, গর্ভপাতের জন্য চাপ পরিবারের
আহেলিকা দত্ত, কলকাতা: সমাজের যে অপরাধকে নক্কারতম অপরাধ বলা যেতে পারে তা হল ‘ধর্ষণ’ (Rape)। বারাসাতের বীভৎস স্মৃতি উস্কে দিয়ে ফের শহর কলকাতার বুকে ধর্ষিত এক তরুণী। এরই সাথে তরুণীর গর্ভপাতের চেষ্টাও নাকি করেছে ওই যুবক। বিয়ের দিন ঠিক হওয়া সত্ত্বেও কেন এই ধর্ষণ (Rape)?
সোশ্যাল মিডিয়ায় দেড় বছরের আলাপ। কলকাতার বাসিন্দা পিয়া দাস (নাম পরিবর্তিত) এবং সোনারপুরের ঘাসিয়াড়ার বাসিন্দা অভিজিত্ সর্দারের। কথা বলতে বলতেই ভালোলাগা, ভালবাসা। অভিজিত্ কলকাতার এক পানশালার বার ম্যানেজার। কলকাতার বাসিন্দা ওই তরুণী মডেলিং করেন। প্রথমে আপত্তি থাকলেও শেষ পর্যন্ত দুই পরিবারও তাদের সম্পর্ককে মেনে নেয়। তারপর দুই পরিবারের সদস্য এক হয় এবং তাঁদের আগামী ২৯ নভেম্বর বিয়ের দিনও ঠিক হয়ে যায়। কয়েকমাস আগে বাবা ও মায়ের সঙ্গে বিয়ে নিয়ে কিছু জরুরি আলোচনা করতে হবে বলে তরুণীকে একটি ফাঁকা বাড়িতে ডাকে সেই যুবক। এবং তারপরই তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে তরুণীর অভিযোগ। তরুণী জানিয়েছেন, একইদিনে তিন তিনবার ধর্ষণ করা হয় তাকে।
এর কিছুদিন পরই তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়ায়, ধরা পড়ে সে অন্তঃসত্ত্বা। তরুণীর অভিযোগ একথা অভিজিতের পরিবারকে জানানোর পর, আবার তাঁকে ডাকা হয় তাদের বাড়িতে। পাত্র বিবাহে রাজী তো হয়ই না বরং তাঁকে জোর করে আটকে রাখা হয়। পরিবারের সকলে মিলে তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করে সন্তান নষ্ট করার জন্য। তারপর তাকে গর্ভপাতও করানো হয়।
এদিন সকালে, তরুণী তাঁর হবু স্বামীর মা-বাবা, বোন-ভগ্নিপতি সকলের বিরুদ্ধেই সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়াও তরুণীর দাবী, অভিজিতই তাঁর পেটে ঘুষি মারে তার বাচ্চাকে নষ্ট করার জন্য। সংবাদমাদ্যমকে তরুণী জানিয়েছে, অভিযুক্ত ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে করা ব্যবস্থা নেওয়া হোক। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অভিযুক্ত যুবক পলাতক। পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানায়, পরিবার সহ সকলকে গ্রেফতার করবে এবং পলাতক যুবকে ধরে এনে যথাযথ কড়া শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।