“নবান্ন অভিযান সম্ভব কিন্তু কালীঘাট নয়” স্পষ্ট জানালেন সেলিম

তরুণ সিপিএম নেতা কলতান দাশগুপ্ত বলেন, "কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের বাড়ি আছে। কিন্তু নবান্ন থেকে তৃণমূল সমস্ত কাজ করে। সুতরাং সেখানে যাওয়া যেতেই পারে, কিন্তু কালীঘাটে একেবারেই নয়। এর আগেও আমাদের তরফ থেকে বহুবার নবান্ন অভিযান করা হয়েছে। কিন্তু কারোর বাসার সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পক্ষে আমরা একেবারেই নয়। এই ভাবনার কথাটা সেলিম দা অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন।"

কলকাতা: বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে ইতিমধ্যেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এখনো তাঁরা ধরনা চালিয়ে যাচ্ছে। দরকারে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে হোক কি নবান্ন হোক, বা হোক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিস, সব জায়গাতেই বিক্ষোভে নামছেন তাঁরা। চাকরিপ্রার্থীদের এই বিক্ষোভে রীতিমতো মুখ পুড়েছে তৃণমূলের। চাপ শুধু বঙ্গ বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সিদের তরফ থেকেই নয়, প্রাক্তন শাসকদল সিপিএমের তরফ থেকেও আসছে। তাঁরাও এই বঞ্চিত চাকরির প্রার্থীদের নিয়ে কলকাতার রাজপথে মাঝেমধ্যেই বড় মিছিল করছে।

এবার এই আন্দোলন ঘিরে বড় মন্তব্য করলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। জানা গিয়েছে, সপ্তমীর দিন সাতটি পৃথক অবস্থানমঞ্চে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাঁকে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা আর্জি করেন নবান্ন এবং কালীঘাট অভিযানের। তাঁদের এই দাবি শুনে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে নবান্ন অভিযান করা যেতে পারে, কিন্তু কালীঘাট অভিযান কোনভাবেই সম্ভব নয়।WB,TMC,BJP,CPM

শনিবার চাকরিপ্রার্থীদের একটি মঞ্চের সভাপতি মইদুল ইসলাম মহাম্মদ সেলিমের কাছে আর্জি করেন, “স্যার আপনারা আমাদের পাশে দাঁড়ান। আমাদের জন্য নবান্ন বা কালীঘাটে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান।” এরপরেই সেলিম স্পষ্ট জানিয়ে দেন এই আন্দোলন নবান্নে করা যেতে পারে কিন্তু কালীঘাটের একেবারেই নয়। যদিও তিনি এর পেছনে কারণটি জানাননি। তবে তাঁর সঙ্গে থাকা তরুণ সিপিএম নেতা কলতান দাশগুপ্ত বলেন, “কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের বাড়ি আছে। কিন্তু নবান্ন থেকে তৃণমূল সমস্ত কাজ করে। সুতরাং সেখানে যাওয়া যেতেই পারে, কিন্তু কালীঘাটে একেবারেই নয়। এর আগেও আমাদের তরফ থেকে বহুবার নবান্ন অভিযান করা হয়েছে। কিন্তু কারোর বাসার সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পক্ষে আমরা একেবারেই নয়। এই ভাবনার কথাটা সেলিম দা অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন।”

উল্লেখ্য, এখনো সমস্যার সমাধান হয়নি বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের। বিজেপি হোক কি সিপিএম, সব বিরোধীরাই পথে নেমেছে বিক্ষোভকারী চাকরিপ্রার্থীদের সুবিচার পাইয়ে দিতে। তার উপর কেন্দ্রীয় সরকারের এজেন্সির চাপ। আগামী দিনে তাঁরা সুবিচার পাবে কিনা সেটাই দেখার।




Leave a Reply

Back to top button