Calcutta University: ফের অনলাইনে পরীক্ষা, করোনা কাঁটা দূর হলেও এখনও কমছে না উদ্বেগ

অবশেষে স্নাতক, স্নাতকোত্তর পর্যায়ের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনলাইনেই নেবে বলে সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে। করোনার সংক্রমনের বাড়বাড়ন্ত-র জন্যই এই বিশেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান হয়েছে বিশ্ববদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে।বুধবার ৮ই ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে সর্ব সম্মতিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অবশেষে স্বস্থি ছাত্র ছাত্রীদের। ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে আগামী ১৫ই জানুয়ারি থেকে হবে অনলাইনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা, যথাক্রমে তৃতীয় ও পঞ্চম সেমিস্টার।২০২০তে করোনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত পরীক্ষা অনলাইন পদ্ধতিতে নেওয়া হয়েছে। অড ও ইভেন, দুই সেমেস্টারের পরীক্ষাই অনলাইনে হয়। এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালের ইভেন সেমেস্টারের পরীক্ষার আয়োজন করে অনলাইনে। সুতরাং বছরের শেষে সেপ্টেম্বর মাস থেকে অনলাইনে পঠনপাঠন শুরু হয়ে গেলেও হঠাত্‍ই কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। শুধু কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ই নয় নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্তও স্বাভাবিকভাবে পঠনপাঠন শুরু করা হয়েছে এই রাজ্যে।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা,কলকাতার খবর,বিশ্ববিদ্যালয়ের খবর,অধ্যাপকের মন্তব্য,বাংলার খবর,পরীক্ষার খবর,Exams at Calcutta University,Kolkata News,University News,Professor's Comments,Bengali News,Exam News

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই সর্বসম্মতিক্রমে অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট।”তিনি আরও জানান, এক জায়গায় অনেক ছাত্র ছাত্রী সমাগমের ফলে করোনা সংক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা অধিক হয়ে যায়। তাই, পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।কলেজ শুরুর সঙ্গেই ছাত্র ছাত্রীদের মনে চলছিল পরীক্ষা নিয়ে জল্পনা। অনলাইন নাকি অফলাইন মাধ্যমে পরীক্ষা হবে সে নিয়ে সব ছাত্র ছাত্রী একটা দোটানা পরিস্থিতির মধ্যে ছিল। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের এই সিদ্ধান্তের ফলে শেষ হল সমস্ত জল্পনার।

আরও পড়ুনঃ Higher Secondary Exam- নাও হতে পারে উচ্চমাধ্যমিক, সংশয়ে রাজ্যের শিক্ষামহল

এখন প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে এই অনলাইন মোড কতদিন অবধি কার্যকরী হবে। এর ফলাফল অনুযায়ী পড়ুয়াদের ক্ষতি হচ্ছে কতটা। সমীক্ষায় জানা গেছে অনলাইন পড়া অর্ধেক অংশ ছাত্র ছাত্রীদের বোধগম্য হচ্ছেনা। অনেকে সে বিষয়ে তাদের শিক্ষক কে জানাচ্ছে, অনেকে দ্বিধা বোধ করছে। অনেকে অনলাইন ক্লাস দীর্ঘ এক বছর যাবত করতে পারছে না ঠিক করে, কারণ নেট মাধ্যমের সমস্যা বা ফোন নেই। থাকলেও বাড়িতে একটা ফোন যার মধ্যে অন্যান্য সমস্ত ফোন কল আসে। ফলে বিঘ্ন ঘটছে অনেকটা। খামতি থাকছে পড়াশুনায়। এর মধ্যে অনলাইন পরীক্ষার জন্য ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে “মনে রাখা” বা “মুখস্ত” করার প্রবণতা ক্রমেই কমে চলেছে। ফলত এই অনলাইন পরীক্ষা “স্বস্তি” হলেও ভবিষ্যতের জন্য কতটা কার্যকরী তা প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।




Back to top button