অন্য দেবতাদের সুঠাম দেহ! কিন্তু জগন্নাথ দেব ‘ঠুঁটো’ কেন? জানুন নেপথ্যের কারণ

পয়লা জুলাই পড়ছে রথযাত্রার শুভ মহরত। রথযাত্রা মানেই বলা চলে এককথায় তিনজন ঠাকুরের নাম জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। হিন্দুদের চার ধামের অন্যতম শ্রীক্ষেত্র হল পুরী। আর এই পুরীতে এই সময় হয় কাতারে কাতারে মানুষের ভিড়। অবশ্য সবটাই রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে। কিন্তু, রথযাত্রা যাদের নিয়ে, মানে জগন্নাথ, বলভদ্র আর সুভদ্রা- তাদের ব্যাপারে ভক্তদের কৌতূহলের ইতি নেই। তাই জেনে নেওয়া যাক এই তিন দেবতাদের নিয়ে কিছু আদি তথ্য।
সাধারণত হিন্দুদের যেমন দেবদেবীর আদল হয় তার সাথে কিন্তু এক কোনাও মেলেনা জগন্নাথ, বলভদ্র আর সুভদ্রার মূর্তি । হিন্দুদের মূর্তি মানেই দেখা যায় দেবতারা বেশ সাজানো গোছানো, সুন্দর, পরিপাটি চেহারা। সাথে থাকে হাতে অস্ত্র, সঙ্গে বাহন তো থাকবেই। ফলতই হিন্দুদের দেবতা জগন্নাথদেবেরও তেমনটাই হওয়ার কথা ছিল রূপের দিক থেকে। সাথে বলভদ্র, সুভদ্রারও তাই। কিন্তু, হয়নি। কেন হয়নি তার পিছনে রয়েছে এক বিরাট কারণ। আসুন জেনে নেওয়া যাক।
প্রথম জগন্নাথ মন্দিরের নির্মাণ করিয়েছিলেন রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন এরকমই কথিত আছে ওড়িশার পুরোনো নথি পত্রে। তিনি স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন মন্দির নির্মাণের। বলা হয় স্বপ্নে স্বয়ং জগন্নাথ তাঁকে আদেশ দিয়েছিলেন, নীলাঞ্চল পর্বতের গুহা থেকে তাঁর মূর্তি নিয়ে আসার। স্বপ্ন দেখার পরই রাজা রাজপুরোহিত বিদ্যাপতির সঙ্গে কথা বলেন। বিদ্যাপতি বলেছিলেন রাজাকে যে নীলাঞ্চল পর্বতের গুহায় নীলমাধবের মূর্তি লুকিয়ে রেখেছে শবররা। শবরদের দলপতি বিশ্ব বসু যিনি নিলমাধবের বড় ভক্ত তিনি প্রতিদিন সেই মূর্তির পুজো করেন ।
রাজার আদেশে মূর্তি হাতিয়ে নেওয়ার জন্য বিদ্যাপতি বিশ্ব বসুর মেয়েকে বিয়ে করেন। এবং বিয়ের পরই বিশ্ব বসুর মেয়ের সাহায্যে গুহা থেকে বের করে আনেন নীলমাধবের মূর্তি। বিদ্যাপতি যদিও এসব ঘটনা কিছুই জানতেন না। তিনি মূর্তি না খুঁজে পেয়ে যথারীতি কান্নায় ভেঙে পড়েন। আবারও রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নকে জগন্নাথ স্বপ্নাদেশ দেন মূর্তি সেই স্বপ্ন দেখার পরই জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ করান রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন। এভাবেই হয় মন্দিরের নির্মাণ।