Sree Bhumi Sporting Club: ‘বুর্জ খলিফা’র পর শ্রীভূমিতে এবার নতুন চমক, কলকাতার বুকে তৈরি হচ্ছে ‘ভ্যাটিকান সিটি’

প্রত্যুষা সরকার,কলকাতা: আর মাত্র কয়েকটা দিন তারপরই বাঙালির একটা বছর অপেক্ষার অবসান শেষ। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ হলেও দূর্গা পুজোর মধ্যে লুকিয়ে থাকে এক অন্যরকম ভালবাসা। পুজো মানে শপিং, খাওয়া দাওয়া থে শুরু করে প্যান্ডেল হপিং। কে কটা ঠাকুর দেখল চলতে থাকে হিসেব নিকেশ। তবে কলকাতার ঠাকুর দেখা শ্রীভূমি ছাড়া একে বারেই অসম্পূর্ণ। যে যেখানেই যাক না কেনও শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবে ( Sree Bhumi Sporting Club ) যাওয়া চায়ই চায়।
প্রতি বছর নতুন নতুন রূপে সামনে আসে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব ( Sree Bhumi Sporting Club )। কখনও মা দূর্গাকে তো আবার কখনও প্যান্ডেল সজ্জায় একেবারে তাক লাগিয়ে দেয় সকলকে। গত বছর, ‘বুর্জ খলিফা’-এর আদলে একটি বিশাল প্যান্ডেল তৈরি করে দর্শকদের মুগ্ধ করে দিয়েছিল এই ক্লাব। এর জাঁকজমকপূর্ণতার কারণে, পূজা প্যান্ডেলটি লক্ষাধিক লোকের ভিড় হয়েছিল। এমনকি শেষ পর্যন্ত দর্শকদের ভিড় এবং কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা নিয়ে আপত্তির পরে এটি বন্ধ করতে হয়েছিল।
প্রতি বছরের মতো এবছরেও শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব ( Sree Bhumi Sporting Club ) আনতে চলেছে এক নতুন চমক। এবছরে তাঁদের পুজোর থিম ‘ভ্যাটিকান সিটি’। ‘ভ্যাটিকান সিটি’, আসলে রোম, ইতালি দ্বারা বেষ্টিত একটি রাষ্ট্র-শহর। এই শহরেই অবস্থিত রোমান ক্যাথলিক চার্চের সদর দফতর। এবার সেই সিটি-কেই প্যান্ডেলের থিম করার ঘোষণা করেছে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব। এটি দিয়েই এবছর তাঁদের সুবর্ণ জয়ন্তীর জন্য একটি বড় উদযাপন করতে চলেছেন তাঁরা।
শ্রীভূমি স্পোর্টস ক্লাবের ( Sree Bhumi Sporting Club ) সভাপতি সুজিত বোস এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন,”প্রতি বছর আমরা কিছু আকর্ষণীয় করে থাকি। এটি আমাদের ৫০ তম বছর। গত বছর আমরা বুর্জ খলিফা তৈরি করেছি। লোকেরা এটি খুবই পছন্দ করেছিল। এই বছর আমরা ভ্যাটিকান সিটি করব। প্রতিদিন প্রায় ৫০ লক্ষ ভক্ত ভ্যাটিকান সিটিতে যান। তবে এই বছর তারা আমাদের সাথে দেখুন।”
প্যান্ডেল এবং প্রতিমার প্রস্তুতির কাজ পুরোদমে চলছে ( Sree Bhumi Sporting Club )। ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ মহালয়ার দিন থেকেই দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এই প্যান্ডেল। এবারের এই পুজো রেড রোড কার্নিভালেও অংশ নিতে চলেছে। কোভিড-১৯ মহামারীর পর এবার এই প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণভাবে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে কলকাতায়। হিন্দু বাঙালিদের কাছে এটি শুধু একটি উৎসবই নয়, বাংলার মানুষের জন্য এটি একটি আবেগময় অভিজ্ঞতাও বটে।