যানজট কমাতে শ্রীভূমির লাইট সাউন্ড বন্ধ করতে বাধ্য হলো প্রশাসন
বুর্জ খলিফার মতো যেনো এবার একই কাণ্ড না হয় । সেই কথাকে মাথায় রেখেই বন্ধ করা হলো শ্রীভূমির লাইট অ্যান্ড সাউন্ড ।

কলকাতা : সামলানো যাচ্ছে না উপচে পড়া ভিড়কে। সাথে রাস্তার মাঝে মাঝে দাঁড়িয়ে পড়ছেন সকলে । তাই সেই সমস্যার কথাকে মাথায় রেখেই আপাতত বন্ধ রাখা হলো শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ের ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড’ (আলো ও ধ্বনির খেলা) পঞ্চমী থেকেই । ভিআইপি রোডের ট্রাফিক ব্যবস্থা মসৃণ রাখতে বিধাননগর পুলিশের তরফে এটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে মূলত বছর দুই আগের ‘বুর্জ খলিফা’র অভিজ্ঞতা এবং ট্র্যাফিক ব্যবস্থা সচল রাখা নিয়েই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিধাননগর কমিশনারেট জানিয়েছেন, পূর্ব অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে এ বার তারা আলো ও ধ্বনির খেলায় অনুমোদন দেয়নি। কিন্তু পরীক্ষামূলক ভাবে বার কয়েক সেটি চালু করতে গিয়ে উদ্যোক্তারাও জানিয়েছেন, রাস্তায় লোকজন দাঁড়িয়ে পড়ায় ভিড় বাড়ছিল। তাই বৃহস্পতিবার থেকে সেটি বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পূর্ব এমনভাবেই বুর্জ খলিফার আলো ও ধ্বনি বন্ধ হয়েছিল অষ্টমীর রাত থেকে । ভিআইপি রোডে প্রচণ্ড পরিমাণ যানজটের কারণে বাধ্যতামূলক বন্ধ করতে হয়েছিল প্যান্ডেলের মূল আকর্ষণকে।
শ্রীভূমির প্রবেশদ্বার খোলা হয়েছে শনিবার থেকে আরে তাতেই মানুষের উপচে পড়া ভিড় সামাল দেওয়া বেজায় জটিল হয়ে ওঠে। শনি ও রবিবার ভিআইপি রোড ও ইএম বাইপাসে তীব্র যানজট হয়। বিধাননগর কমিশনারেটের দাবি, শনিবার নির্ধারিত সময়ের চার ঘণ্টা পরে মণ্ডপ খুলেছিল। তত ক্ষণে ভিড় বাড়ছিল, যা মহালয়ার দিনে কল্পনা করা যায়নি। ফলে নির্দিষ্ট বাহিনীর পক্ষে তা সামলানো অসম্ভব হয়। কমিশনারেটের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, ভিড় নিয়ন্ত্রণের চূড়ান্ত ব্যবস্থার পরিকল্পনা চতুর্থী থেকে হয়েছিল। এ দিকে, রবিবার সন্ধ্যার তারকা সমাবেশে ফের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি হয়। তখন বাড়তি পুলিশবাহিনী আনিয়ে পরিস্থিতি সামলানো হয়।
এ বার যশোর রোড থেকে ভিআইপি রোডমুখী গাড়িগুলিকে বাঙুর দিয়ে পাস করাচ্ছে পুলিশ। বাগুইআটি উড়ালপুলের নীচে কাটআউট খোলা হয়েছে, যাতে দমদম পার্ক থেকে বিমানবন্দরের দিকে যেতে চাওয়া গাড়ি কলকাতার দিকে যেতে পারে। তা সত্ত্বেও শ্রীভূমি ও দমদম পার্কের একাধিক পুজোর জন্য ভিআইপি রোডে যানজটের আশঙ্কা করছেন না কমিশনারেট এমনটা নয়। শ্রীভূমির ভিড় নিয়ন্ত্রণে গোলাঘাটার কাছে বিকল্প রাস্তা তৈরি থাকছে। মানুষের অত্যধিক ঢল বাড়লেই ওই রাস্তার সাহায্যে দর্শনার্থীদের বের করা হবে বলে এমনটাই জানা যাচ্ছে।