দীপাবলির ধোঁয়াশায় ভরেছে আকাশ, বিষাক্ত পরিবেশে ফুসফুসের কিভাবে খেয়াল রাখবেন জেনে নিন
করোনা আবহে কালীপুজোয় বাজি পোড়ানোর অনুমতি পাওয়া যাবে কি যাবে না তা নিয়ে আশঙ্কায় ছিল সাধারণ মানুষ এবং বাজি ব্যবসায়ীরা। অবশেষে হাই কোর্টের রায়কে খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট ‘সবুজ বাজি’ অর্থাৎ ‘পরিবেশ বান্ধব বাজি’ পোড়ানোর অনুমতি দিয়েছিল। কিন্ত অনুমতি পাওয়ার পর কোনোকিছুকে গ্রাহ্য না করে সব রকমের বাজি পোড়ানোয় মত্ত হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ। ফলেই তার পরের দিন থেকেই আকাশের সর্বত্র ধোঁয়াশা বিরাজমান।
অন্যদিকে, প্রতিদিনই করোনার প্রকোপ ঊর্ধ্বমুখী। তার উপর এই ধোঁয়াশা, যা ফুসফুসের জন্য অতিমাত্রায় ক্ষতিকারক। এই পরিস্থিতিতে ফুসফুসের খেয়াল রাখা অত্যন্তই গুরুত্বপূর্ণ।শারীরিক জোর অক্ষুণ্ন থাকলে দূষণের সঙ্গে লড়াই করাটাও অনেক সহজ হবে। তাই খাওয়া-দাওয়া এবং ব্যায়াম উভয় দিকেই খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও চিকিৎসকেরা যেই পদ্ধতিগুলি বারংবার মেনে চলতে বলছিলেন ফুসফুসের খেয়াল রাখতে:
১)ফুসফুসের মধ্যে আটকে থাকা ধূলিকণা সহজে দূর করতে ডায়াফ্রাম ও নাকের মাধ্যমে ধীরে ধীরে শ্বাস নেওয়া প্রয়োজন।
২)মুখ বন্ধ করে নাক দিয়ে পেটভর্তি শ্বাস নেওয়া প্রয়োজন এবং তারপর ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস ত্যাগ করা উচিত। এর ফলে শরীরে অনেক বেশি বায়ু প্রবেশ করে, যা আমাদের শরীরকে অনেক বেশি সচল রাখতে পারে।
৩) অনুলোম-বিলোম ব্যায়ামের সাহায্যে শ্বাসনালী পরিষ্কার করে দেহে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলা সম্ভব। এরফলে ফুসফুস সচল রাখার পাশাপাশি মনঃসংযোগ বাড়িয়ে তোলা যায়।
৪) শ্বসন তন্ত্রকে স্বাভাবিক, সচল ও বিশুদ্ধ রাখতে কপালভাতি ব্যায়ামও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে
৫) প্রতিদিন গরম জলের ভাপ নেওয়া প্রয়োজন। এতেও শ্বাসনালী অনেকাংশে পরিষ্কার হয়।
৬) শীতকালে অনেকেই জল খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেন, এটা করা একদমই ঠিক হবে না বরং ঈষৎ উষ্ণ জল করে সেটি মাঝে মাঝে খাওয়া প্রয়োজন। ফলের রস বা ডাবের জলও খাওয়া যেতে পারে।
৭) নিকোটিন, তামাকসেবন ও ধূমপান বন্ধ রাখা উচিত, কারণ এই পরিস্থিতিতে এগুলি ফুসফুসকে আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
৮) মাস্ক ব্যবহার করুন। বাড়িতে ফুসফুসের রোগী থাকলে প্রয়োজনে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন।