Girls abducted- পিছমোড়া করে বাধা নাবালিকার হাত, দিনে-দুপুরেই অপহরণ কলকাতার বুকে
রাখী পোদ্দার, কলকাতা- নারী ও শিশু পাচার (Women and Child Trafficking) ঘটনা আমাদের কাছে নতুন নয়। এর আগেও প্রত্যন্ত গ্রামীণ (village) এলাকার অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে (economically backward) পড়া নাবালিকাদের (Juvenile) শহরে কাজের ব্যবস্থা করে দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাচার (Traffick) করে দেওয়ার ঘটনা উঠে এসেছে বহুবার। নারী ও শিশু পাচার এখন অন্যতম মুনাফা অর্জনকারী ব্যবসায়ে (business) পরিণত হয়েছে, যে কারণে এইরকম ভয়ানক অপরাধের (crime) সংখ্যা অত্যন্ত দ্রুত হারে বাড়ছে। এরফলে পাচারকারীদের মনে ধরা পড়ার ভয় হচ্ছে ক্রমশ কম, আগে নারী ও শিশু-পাচার করা হত রাতের অন্ধকারে সকলের আড়ালে লুকিয়ে। বর্তমানে প্রকাশ্য দিবালোকেই করা হচ্ছে নারী পাচারের মতো জঘন্য অপরাধ।
এদিন শনিবার সকালে ঘড়িতে বাজে তখন সোয়া ১১টা। প্রগতি ময়দানের (maidan) দিক থেকে একটি বাইক রুবি হাসপাতালের (rubi hospital) দিকে যাচ্ছিল। বাইক (bike) আরোহীর পিছনে বসেছিল ১৩ থেকে ১৪ বছর বয়সী দুই নাবালিকা (Juvenile)। পাশ দিয়ে অপর একটি বাইক আরোহী তার বাইক নিয়ে অতিক্রম করার সময় লক্ষ্য করেন, নাবালিকাদের হাত দড়ি দিয়ে বাঁধা। স্বাভাবিকভাবেই যা দেখে সন্দেহ হয় তার মনে। আর তাই পরিস্থিতি নাগালের বাইরে যাওয়ার আগেই ওই ব্যক্তি সামনে কিছুটা এগিয়ে গিয়ে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশদের (traffic police) ঘটনাটি খুলে বলেন। এরপরই ওই ট্রাফিক পুলিশরা তিলজলা (tinjala) ট্রাফিক গার্ডে খবর দেয়। ট্রাফিক গার্ডের ওসি তৎক্ষণাৎ নির্দেশ দেন বাইকটিকে যেন আটকানো হয়। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান তিলজলা ট্রাফিক গার্ডের ওসি সৌভিক চক্রবর্তী। সন্দেহভাজন বাইক আরোহীকে ওই দুই নাবালিকা প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, তাঁরই দুই মেয়ে। অথচ মেয়ে দুটিকে একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলে মেয়ে দুটি উত্তরে জানায় যে তাদের বাবা মারা গেছেন। আর এই লোকটি তাদের জোর করে অন্য জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে। এই বলেই দুজনেই কান্নায় ভেঙে পড়ে।
কলকাতা শহরের ব্যস্ততম সড়ক বাইপাসে ঘটে এই ঘটনা। উদ্ধার করা হল দুই নাবালিকাকে। প্রকাশ্যে তাদের পাচার করার অভিযোগ ওঠে এক বাইক আরোহীর বিরুদ্ধে। আপাতত অভিযুক্ত যুবক ও দুই নাবালিকাকে তিলজলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নাবালিকারা পুলিশকে জানিয়েছে, পুলিশ যেন তাদের দিদিমার কাছে রেখে আসে। মায়ের কাছে না যেতে চেয়ে কেন দিদিমার কাছে যেতে চাইছে এই দুই মেয়ে, তা ভাবতেই সন্দেহ আরও তীব্র হয়। দুই নাবালিকার বক্তব্য শুনে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এই সন্দেহ ভাজন ব্যক্তির সাথে আগে থেকেই আলাপ ছিল তাদের মায়ের। যদিও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিলজলা থানার পুলিশ কর্মকর্তারা। পুলিশ সূত্রে খবর, দুই নাবালিকার বয়স ১৩ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। আপাতত দু’জনকেই থানায় উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত যুবককেও তিলজলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।