Viswa Bharati Agitation : ‘অনলাইনে পড়িয়ে অফলাইনে পরীক্ষা কেন’- ফের উত্তাল বিশ্বভারতী, নবম শ্রেণিরও ক্লাস বন্ধ

দফায় দফায় খোলা হচ্ছে স্কুল কলেজ। অনলাইন শিক্ষ্যার বেহাল দশা। আর এর মধ্যেই বারংবার উত্তপ্ত হয়ে উঠছে কলেজ-ইউনিভার্সিটির মত উচ্চশিক্ষ্যার প্রতিষ্ঠানগুলি। আজ ফের উত্তাল হয়ে উঠল বিশ্বভারতী ( Viswa Bharati Agitation)। অবিলম্বে হোস্টেল খোলা, অনলাইনে পরীক্ষা, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের সময়সীমা বাড়ানো-সহ একাধিক দাবিতে এই মুহূর্তে উত্তাল ইউনিভার্সিটি ( Viswa Bharati Agitation) চত্বর। দাবি না মেটা পর্যন্ত বিশ্বভারতী বনধের ডাক দিয়েছেন পড়ুয়াদের একাংশ। সকাল থেকেই সব ছাত্র সংগঠন বনধে সামিল। অন্যদিকে আবার নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে বিক্ষোভকারীদের।
আজ সকাল ৮ টা নাগাদ ছাত্র সংগঠনের নেতারা প্রথমে বিশ্বভারতী ( Viswa Bharati Agitation) প্রাঙ্গনে জড়ো হন। প্রথমে পাঠভবন, পরবর্তীতে কলাভবন, শিক্ষাভবনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। সেখানকার পঠনপাঠন-সহ অনান্য নানান অফিসিয়াল কাজও বন্ধ করে দেন। অন্যান্য বিভাগগুলিকেও অচল করতে উদ্যোগী হন তাঁরা। গেট টপকে পাঠভবনের ভিতরে ঢুকে যান বিক্ষোভকারীরা ( Viswa Bharati Agitation)। বাধা দেওয়ার নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তাঁদের। বিশ্বভারতীর পাঠভবনের নবম শ্রেণির ক্লাস বন্ধ করে দেন বিক্ষোভকারীরা। সবমিলিয়ে উত্তাল বিশ্বভারতী।
‘অবিলম্বে হোস্টেল খুলতে হবে’, ‘অনলাইনে পড়িয়ে অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না’ এই সমস্ত দাবীর পাশাপাশি ‘অবিলম্বে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সীমা বাড়াতে হবে’ – এই নিয়ে সোমাবর সকাল থেকে ফের উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী। ছাত্র-ছাত্রীদের তরফ থেকেই বিশ্বভারতী ( Viswa Bharati Agitation) অচল করার ডাক দেওয়া হয়। সেই মতোই সকালেই সব ছাত্র সংগঠনের নেতারা উপস্থিত হন।
বিক্ষোভরত ( Viswa Bharati Agitation) পড়ুয়ারা পাঠ ভবনে ঢুকতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরা প্রথমে বাধা দেন। আর তারপরই তাঁদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন পড়ুয়ারা। প্রথমে বচসা, পরে ধস্তাধস্তি দিকে গড়ায় সম্পুর্ন বিষয়। উপাচার্যের নামে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে দিতে, পাঠভবনের গেট টপকে পড়ুয়ারা ভিতরে ঢুকে যান। সেসময়ে নবম শ্রেণির ক্লাস চলছিল পাঠভবনে। সেই ক্লাসও বন্ধ করে দেন বিক্ষোভরত ( Viswa Bharati Agitation) পড়ুয়াদের একাংশ।
আরও পড়ুন- “সিট-এর উপর নেই ভরসা, জেলা জজ ছাড়া দেহ তোলা যাবে না!” বললেন আনিসের বাবা
ক্লাস নাইনের পড়ুয়াদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পাঠ ভবনের বিভিন্ন অফিস বন্ধ করতে যান বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা। সেইসময় বিশ্বভারতীর আধিকারিকদের সঙ্গে পড়ুয়াদের তুমুল বচসা হয়। আবার বেশ কিছুক্ষণ ধরে নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় ছাত্র ছাত্রীদের একাংশের। বিশ্বভারতীতে সমস্ত ছাত্র সংঘঠন একত্রিত হয়ে এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। ফলে দাবি না মেটা পর্যন্ত আন্দোলন তাঁরা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।