West Bengal: রাজ্যপালের পদ নিয়ে মশকরা করছেন, ধনকড়কে আক্রমণ তৃণমূলের

রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান এর ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। নির্বাচনী ব্যাপারে মাথা গলানো থেকে, বিধানসভায় পাস হওয়া বিলে সই না করার চেষ্টা, সরকারের কাজে বাধা সৃষ্টি। এভাবেই সরকারের সঙ্গে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠছে তাঁর বিরুদ্ধে।

 

West Bengal: রাজ্যপাল

 

গত বছরে ভোটের সময় থেকেই পার্থক্য চওড়া হচ্ছিল সাংবিধানিক ও জনপ্রধানের মধ্যে। বিজেপির প্রাক্তন নেতা হিসেবে তৃণমূল বারবারই অভিযোগ করে উঠেছে যে রাজ্যপাল নিরপেক্ষ নন মোটেই, বরং তার রাজনৈতিক অভিসন্ধি আছে যার মাধ্যমে বিজেপি এ রাজ্যে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে।

 

সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর উপরে হলেও ক্ষমতার দিক থেকে মুখ্যমন্ত্রী অনেক এগিয়ে, তিনি সাধারণত অনেক বেশি জনপ্রিয়ও বটে। তাই দুই প্রধানের এই ক্রমাগত দ্বন্ধে ক্রমশ অস্থির হয়ে উঠছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক আবহাওয়া ও তৈরি হচ্ছে যে অবিশ্বাসের বাতাবরণ তা নিয়ে চিন্তিত অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

West Bengal Governor

বিজেপির তরফ থেকেও রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির অনুরোধ উঠেছে বারবার। তাদের অভিযোগ তৃণমূল রাজত্বে লঙ্ঘিত হয়েছে সংবিধান, কণ্ঠরোধ হয়েছে গণতন্ত্রের এবং বিরোধী নির্যাতনও বেড়েছে আগের থেকে অনেক বেশী। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যপালকে তৃণমূলের এই সরাসরি আক্রমণ তেমন কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা নয় বলেই মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: Gossips : প্রতিভাবান তাই আজও ব্রাত্য, স্বজনপোষণ নিয়ে মুখ খুললেন কনীনিকা

দলীয় মুখপত্রে তৃণমূলের দাবি, রাজ্যপাল পদে বসার জন্য কোনও যোগ্যতা লাগে না। শুধু দিল্লির মসনদে বসে থাকা গেরুয়া নেতাদের গোমস্তাগিরি করলেই সরকারি বিলাসব্যসনের সুযোগ পাওয়া যায় খুব সহজেই। এদের চাকরি, রিটায়ারমেন্ট সবটাই নির্ভর করে দিল্লির নেতাদের অনুগ্রহের উপর। কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া বিলাসব্যসনের সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না বলেই জগদীপ ধনকড়ের মতো লোকেরা দিল্লির গোমস্তাগিরি করেন। তাই তাঁদের নিরপেক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই মাত্র। কেন্দ্রীয় সরকারের অঙ্গুলিহেলনে বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচিত সরকারদের কাজে বাধা সৃষ্টি করায় এ ক্ষেত্রে প্রচলন বলে মনে করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: Bajrang Dal: ফের উত্তপ্ত কর্ণাটক, বজরং দল কর্মীর হত্যায় চড়ছে রাজনৈতিক পারদ

ভোট বহুদিন আগে মিটে গেলও রাজ্য ও দেশের বিপরীত মতাদর্শী সরকারের উপস্থিতি এখনও মেটেনি তাই রাজনৈতিক বিবাদ। বুধবার “জাগো বাংলা”য় বলা হয়েছে বিজেপির সফল এজেন্ট হিসাবে আগামী দিনে ‘ভারতরত্ন’ পুরস্কার পেতে পারেন ধনকড়। তবে এই সব নিয়ে রাজ্যপালের বক্তব্য এখনও অজানা। তিনিও এই বিষয়ে খুব তাড়াতাড়ি নিজের মত প্রকাশ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে ক্রমাগত অসহযোগিতার এই আচরণ ও অভ্যাস যে পরবর্তীকালে এ রাজ্যের রাজনীতিকে আরও হিংসাত্মক করে তুলবে তা নিয়েও চিন্তিত অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক।




Leave a Reply

Back to top button