Saraswati Puja : ধর্ম ও বিজ্ঞানের মেলবন্ধন, বাঙালির নিয়মাচারে গোটা সেদ্ধ’র নানা উপকারিতা

বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যায় প্রবেশ। আর সরস্বতী পুজো উপলক্ষে ইতিমধ্যে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা সেদ্ধ রান্নার পালা। সাধারণত, সরস্বতী পুজো ( Saraswati Puja ) হয় পঞ্চমী তিথিতে, এর পরদিন ষষ্ঠী। আর মানুষের কাছে এই ষষ্ঠী সাধারণভাবেই পরিচিত শীতল ষষ্ঠী নামে। নামের প্রথমেই শীতল সুতরাং এদিন খেতেও হয় ঠান্ডা। নিয়ম এতই কড়া যে, ব্রতধারিণী সকালে গরম চাও খান না।

সরস্বতী পুজোর ( Saraswati Puja ) দিন বিকাল হতেই দেখা যায় এক অন্য রকম পরিবেশ। বাড়ি বাড়ি উনুনে চেপে যায় গোটা সেদ্ধ। হাঁড়িতে তেল, জল, নুন দিয়ে সেদ্ধ করা হয় গোটা গোটা সবজি। অবশ্য পরিবারের নিয়মমাফিকই তেল, বা হলুদ ব্যবহার করা হয় কিংবা করা হয় না এই রন্ধন প্রথায়। এদিন এই রান্নায় থাকে গোটা বেগুন, গোটা সিম, গোটা ছোট আলু, গোটা কড়াইশুটি, গোটা শাকালু, গোটা ছোলা-মটর সহ পাঁচরকম কড়াই, সজনে ফুল, শিষওয়ালা পালং এবং পুঁই ডাল। এর সঙ্গে আবার রয়েছে কুলের টক খাওয়ারও রীতি। থাকে জল দিয়ে ঢাকা ঠান্ডা ভাতও। পঞ্চমীর ( Saraswati Puja ) বিকালেই এই সব রেঁধে রেখে দিয়ে পরদিন সকালে অর্থাৎ শীতল ষষ্ঠীর দিন গরম না করেই শুরু হয়ে যায় খাওয়া-দাওয়া।

Saraswati Pujaসাধারণভাবেই, নানা ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে তৈরি এই সেদ্ধ খেতে খুবই সুস্বাদু। পদটির শারীরিক উপকারিতা রয়েছে বেশ। তবে এই বিষয়টি হয়তো বহু মানুষেরই অজানা যে, ধর্ম ও বিজ্ঞানের সুন্দর মেলবন্ধন এই গোটা সেদ্ধ পদটি। সরস্বতী পুজোর ( Saraswati Puja ) পরদিন প্রতিটি মানুষই এই রন্ধন পালন করে থাকেন ধর্মের দৃষ্টিকোণ থেকে। কিন্তু ধর্মের পাশাপাশি রয়েছে বিজ্ঞানেরও ছোঁয়া। একাধিক শারীরিক উপকারিতার জোয়ার মেলে ধরতে সক্ষম এই গোটা সেদ্ধ। রয়েছে বহু পুষ্টিগুণ।

আরও পড়ুন…Saraswati Pujo: পুরোহিত ছাড়াই সরস্বতী পুজো, পাল্টে গেল বিধির বিধান

সাধারণভাবেই এই ঋতু পরিবর্তনের সময় অনেক মানুষের শরীরে বাসা বাঁধে নানারকমের রোগ। আর এই রোগ-ভোগগুলির সঙ্গে লড়াই করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রকারের পুষ্টি প্রদান করে থাকে এই গোটা সেদ্ধ। শরীরে জোগায় রোগপ্রতিরোধের শক্তি। তবে এত রকমের গুণাবলি থাকা সত্ত্বেও মানুষ এই গোটা সেদ্ধ কখনই হটাৎই আয়োজন করে খেয়ে থাকেন না। প্রয়োজন পড়ে ধর্মীয় কারণ। সেই কারণেই যারা হয়তো নিয়মকানুন তৈরি করেছিলেন, তারা শীতল ষষ্ঠী ব্রতের মধ্যে এই রন্ধনকে বাধ্যতামূলক করে দেন।




Leave a Reply

Back to top button