ধর্ষণের চেষ্টা! জামিন পেতে অভিযুক্তকে গ্রামের সমস্ত মহিলাদের কাপড় কাচার বিধান আদালতের
ধর্ষণের চেষ্টার শাস্তি স্বরূপ এবার অভিযুক্তকে আগামী ৬ মাস নির্যাতিতার কাপড় কাচার নিদান দিল বিহারের আদালত। নির্যাতিতা বাদেও গ্রামের সমস্ত মহিলাদেরই কাপড় কাচতে হবে তাকে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, গ্রামের প্রায় ২ হাজার নারীর কাপড় ধোয়ার জন্য ডিটারজেন্ট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে হবে অভিযুক্ত লালন কুমারকেই (২০) । এমনকী কাপড় কাচার পর তা অভিযুক্তকে ইস্ত্রিও করে দিতে হবে বলে জানায় কোর্ট। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের মধুবনী জেলায়।
অন্যদিকে কাপড় কাচার পাশাপাশি সকলের জামাকাপড় ইস্ত্রিও করে দিতে হবে বলে রায় দিল বিহারের মধুবনী আদালতের বিচারক এডিজে অবিনাশ কুমার। এমনকী এই কাজ করতে হবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। অন্যদিকে জামিনের শর্ত হিসাবে ১০ হাজার টাকার দুটি ব্যক্তিগত বন্ড অভিযুক্তকে জমা করতে হবে আদালতে। এদিকে যার বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সই লালন কুমার পেশায় একজন ধোপা বলেই জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে
এই প্রসঙ্গে বিহারের মধুবনী জেলার পুলিশ সুপার সন্তোষ কুমার সিং এপ্রিল মাসে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল লালনকে। নির্যাতিতা যখন রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন তখন তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে অভিযুক্ত। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদলত। বর্তমানে সেই মামলা চলছে। কিন্তু অভিযুক্ত নিজের অল্প বয়সের দোহাই দিয়ে জামিন চায় ।আর তাতেই আদালত কর্ণপাত করে নতুন বিধান দিয়েছে।’
অন্যদিকে আদালতের রায়ে আপাত ভাবে খুশি মধুবনী এলাকার মানুষেরা। অন্যদিকে এর আগেও একাধিক ক্ষেত্রে অদ্ভূত ধরণের সাজা শোনানোর নজির রয়েছে এডিজে অবিনাশ কুমারের। করোনা লকডাউন চলাকালীন সময়ে বিহারে স্কুল খুলেছিলেন এক শিক্ষক। মহামারি আইন মোতাবেক তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগও জমা পড়ে পুলিশের খাতায়। জল গড়ায় কোর্ট পর্যন্ত। আর তাতেই অভিযুক্তকে বিনামূল্যে এলাকার শিশুদের স্কুলের বাইরে পড়ানোর নির্দেশ দেন ওই বিচারক।