BR Ambedkar- সংবিধানের স্রষ্টা তিনি, আজ তাঁর মৃত্যুর ৬৬ তম দিবসে জেনে নিন কিছু অজানা তথ্য

৬ ডিসেম্বর এই দিনটি ভারতের(Indian) ইতিহাসে(History) চিরকালই নিজের নামকে খোদাই করে রাখবে। এই দিনই পালিত হয় মহাপরিনির্বাণ দিবস বা ভারতীয় সংবিধানের(Indian Constitution) স্রষ্টা বি আর আম্বেদকরের(BR Ambedkar) প্রয়াণ দিবস। ভারতের ইতিহাসের(India History) পাতায় ডাঃ ভীমরাও রামজি আম্বেদকরের নাম চিরকালই লেখা থাকবে স্বর্ণাক্ষরে। তাঁর বুদ্ধিমত্তা, দৃষ্টিভঙ্গীর কোনো তুলনা নেই বললেই চলে। দলিত সম্প্রদায়ের মানুষরা যেন সমাজে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে, আর পাঁচটা মানুষের মতোই যেন তাঁদের জীবনযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে এই সকল উদ্দেশ্যগুলি পরিপূর্ণ করতে তিনি নিজের গোটা জীবনটা সমর্পণ করেছিলেন। আজ তাঁর মৃত্যুর ৬৬টা বছর কেটে গেলেও মানুষ তাঁকে ভুলতে পারেনি এবং পারবেও না।
প্রসঙ্গত, ১৮৯১ সালের ১৪ই এপ্রিল মধ্যপ্রদেশের একটি ছোট এলাকায় জন্মগ্রহণ তাঁর। নিজে একজন দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ ছিলেন। সেই কারণেই ছোট থেকেই সমাজের নানা অন্ধকার দিকগুলি তাঁর সামনে প্রকাশ্য ছিল। চিরকালই সমাজে অস্পৃশ্যে দর পেয়েছেন। শিক্ষা, সংস্কৃতি, পুজো-পাঠ সব ক্ষেত্রেই কোথাও গিয়ে নিজের প্রতি বা নিজের সম্প্রদায়ের প্রতি এক অবহেলা পেয়েছেন। আর সেই থেকেই তাঁর মধ্যে রোপণ হয়ে যায় বিপ্লবের একটা ছোট্ট বীজ। আর সেই বীজই যে কখন চারা হয়ে আস্ত একটা বট বৃক্ষে পরিণত হবে তা আগেভাগে বোঝেনি তাঁর পরিবারের কেউই।
মহারাষ্ট্রের এলফিনস্টোন উচ্চবিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করে সেই প্রতিষ্ঠানের কলেজে অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে নিজের স্নাতকের পড়াশোনা শেষ করেন। এরপর ২২ বছর বয়সে ১৯১৩ সাল নাগা বেরিয়ে পড়েন আমেরিকার উদ্দেশ্যে। সেখানে কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের অর্থনীতির পড়াশোনাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যান এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি গ্রহণ করেন। এরপর ১৯১৬ সাল নাগাদ লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স থেকে নিজের গবেষণার পড়াশোনা শেষ করেন। এরপর ১৯২৩ সালে নাগাদ লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে ডিএসসি ডিগ্রি ধারন করেন। এরপর আগামী কিছু বছরের মধ্যে এলএলডি(LLD) ও ডিএলআইটিটি(D.Litt) উপাধি গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন… Google Doodle Today- পিৎজা প্রেমীদের জন্য ঐতিহাসিক দিন, আচমকা কেন নয়া রূপে সেজে উঠল গুগল ডুবল
প্রসঙ্গত, আজ তাঁর ৬৬তম প্রয়াণ দিবসে দাঁড়িয়ে তাঁকে আমরা শুধু মাত্র একজন সংবিধানের স্রষ্টা হিসাবেই জেনেছি। সংবিধান রচনা ছাড়াও ভারতীয় সমাজে নিম্ন সম্প্রদায়ের মানুষ অর্থাৎ দলিত সম্প্রদায়ের মানুষের অগ্রগতির জন্য নিজের গোটা জীবন সমর্পণ করেন। পাশাপাশি, কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আম্বেদকর অর্থনীতি নিয়ে(Economics) পিএইচডি(PHD) ডিগ্রি গ্রহণ করেন। এরপর লন্ডন স্কুল ইকোনমিক্স থেকে আইন, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা শেষ করেন। নিজের প্রারম্ভিক জীবনে বাবাসাহেব একজন অর্থনীতির অধ্যাপক হিসাবে কাজ করতেন। তার সঙ্গেই আবার স্বাধীনতার পূর্বে তিনি রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। এই সময় নানা মিটিং, মিছিল, সম্মেলনেই তাঁকে দেখা যেত। পরের জীবনে তিনি রাজনীতির বাইরে এসে সামাজিক কাজ কর্মে যুক্ত হন। মানুষের স্বাধীনতা ও দলিত সম্প্রদায়ের অগ্রগতি ও সমাজে স্বাধীনতা নিয়ে কণ্ঠ তোলেন তিনি। এছাড়াও, সংবিধান রচনায় অংশগ্রহণ ছাড়াও, বাবাসাহেব ভারতের সর্বোচ্চ ব্যাঙ্ক অর্থাৎ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রদান করেছিল।