India in Paris Olympics: অলিগলি থেকেই উঠে আসবে মেরি কম’রা! প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করেই অলিম্পিকে পদকের বাহার আনবে ভারত

টোকিও অলিম্পিকে সাতটি পদক সংগ্রহ করেই স্থির হয়েছিল আগামী বছরের লক্ষ্যমাত্রা। কমনওয়েলথ গেমসে পারদর্শীতার সঙ্গে মেডেলের ছয়লাপ ঘটালেও, বিশ্ব অলিম্পিকের মঞ্চে প্রতিবারই যেন পিছিয়ে থাকে ভারত। আর এই পরিস্থিতিকে শোধরাতেই নীতি আয়োগের স্ট্র্যাটাজি ধরে ২০১৬ সালের করা প্রতিশ্রুতিকে ভালো করে মাথায় চাগিয়ে নিল কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক। সেই বছর নীতি আয়োগ তরফে বলা হয়েছিল, ভারতের উচিত ২০২৪ সালের গ্রীষ্ম অলিম্পিকে ৫০টি পদক জেতা।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে সাতটি পদক জেতা দেশ এই কয়েক বছরের মধ্যে পাঁচ দশকের সংখ্যা কি ছুঁতে পারবে? আপাতত এমন প্রশ্ন মাথা চাড়া দিয়েছে অনেকেরই। আর সেই ভাবনাকেই এবার আক্ষরিক ভাবে সফল করতে যুদ্ধের ময়দানে নেমে পড়েছে আইআইটি মাদ্রাস। মুষ্টিযুদ্ধে ভারতকে ‘মেডেল দৌড়ে’ এগিয়ে দিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকেই হাতিয়ার করেছে তারা।
খেলোয়াড়দের জন্য একটি বিশ্লেষণমূলক মঞ্চ তৈরির ব্যবস্থা করছে এই সংস্থা। জানা গিয়েছে, মুষ্টিযোদ্ধা বা বক্সারদের সার্বিক উন্নতির উদ্দেশ্যে একটি বিশ্লেষণমূলক মঞ্চের আবিস্কার করেছে আইআইটি মাদ্রাস। যেখানে খেলোয়াড়রা নিজেদের দৈনিক প্র্যাকটিসের মধ্যে দিয়েই তাঁদের দুর্বলতাগুলিকে খুঁজে পেতে সক্ষম হবে। আইআইটি মাদ্রাস কর্তৃপক্ষের ধারণা, এই যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে ঠিক কোন খাতে নিজেদের উন্নতি প্রয়োজন তা আন্দাজ করতে পারবে যোদ্ধারা। পাশাপাশি, শারীরিক দুবর্লতা যা হয় তো আগামীতে বাধা হতে পারে সেই বিষয়টিকেও চিহ্নিত করবে এই যন্ত্র। মূলত, কিছু সেন্সর ও ভিডিয়ো ক্যামেরাকে কাজে লাগিয়েই খেলোয়াড়দের এই বিশ্লেষণ করা সম্ভব।
বস্তুত, আইআইটি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বক্সিং রিংয়ের চারপাশে এই যন্ত্রের প্রতিটি ভিডিয়ো ক্যামেরা লাগানো থাকবে। যা যোদ্ধার বাঁ হাত ও ডান হাতকে অনবরত নজরে রাখবে এবং খেলা শেষে সেই ভিডিয়ো ক্যামেরার লেন্সবন্দি প্রতিটি ধাপের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণের মধ্যে দিয়ে যন্ত্রটি একটি নির্দিষ্ট সমীক্ষা প্রদান করবে। এ প্রসঙ্গে আইআইটি মাদ্রাসের রসায়ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও সেন্টার অব এক্সিলেন্স ফর স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের প্রধান অধ্যাপক রঙ্গাথন শ্রীনিবাসন জানান, “এই প্রযুক্তিটি খেলোয়াড় ও প্রশিক্ষকের মধ্যে একটি ভাবনার সেতু তৈরি করবে। যা তাদের বুঝতে সাহায্য করবে কোন খাতে সর্বোচ্চ উন্নতি প্রয়োজন।” ফলত এই সকল সুবিধার জন্য আশা করা যায়, আগামী দিনে ভারত বক্সিংয়ের মধ্যে দিয়ে বিশ্ব স্তরে আরও পদকের সম্মান গ্রহণ করবে। এবং দেশের প্রতিটি অলিগলি থেকেই কন্ঠ উঁচিয়ে বেরিয়ে আসবে মেরি কম বা লোভেলিনার মতো সোনার সন্তানরা।